কৃষিতে ২৫ শতাংশ ভতর্ুকি
সরকার কৃষি বিপস্নবের মাধ্যমে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লৰ্যে সব কৃষককে নগদ ২৫ শতাংশ ভতর্ুকি প্রদানের সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। কৃষকরা ট্রাক্টর, ধান কাটার যন্ত্র এবং পাওয়ার থ্রেসারসহ সব আধুনিক কৃষি উপকরণ কেনার জন্য সরাসরি এ ভতর্ুকি পাবেন।
এ মতে সরকার প্রাথমিকভাবে প্রায় দেড় শ' কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এদিকে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বৃহস্পতিবার সংসদে বলেছেন, দেশকে খাদ্য উৎপাদনের উদ্বৃত্ত করার লৰ্যে সরকার নানান পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বর্তমান মহাজোট সরকার এই দেশে যে বাসত্মবিকই কৃষি উন্নয়ন বাসত্মবায়িত করতে চায়_ সরকারের এই সব উদ্যোগ তারই প্রমাণ। বর্তমান সরকারের পৰ থেকে বহুবার বলা হয়েছে, তারা কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ করবে এবং দেশে কৃষির উন্নয়নে সম্ভাব্য সব কিছুই করবে। এ সরকার দেশের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে এবং কৃষকদের কল্যাণে সম্ভাব্য সবকিছু করতে বদ্ধপরিকর। একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকার 'কৃষি খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি' প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে ২৫ জেলায় বাসত্মবায়ন করবে। এসব প্রকল্প ও ঘোষণার মাধ্যমে সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু এ কথা ভুললে চলবে না, ১৫ কোটি মানুষ অধু্যষিত এই ৰুদ্র ভূখ-ে সমস্যার অনত্ম নেই। এ দেশে প্রতিবছরই জনসংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু কৃষিজমি এক ইঞ্চিও বাড়ছে না। বরং শিল্পস্থাপন, অপরিকল্পিত নগরায়ন প্রভৃতি কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছরই কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে।দেশে প্রতিবছরই জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশে প্রতিবছর নতুন করে ২০ লাখ লোকের খাদ্য চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু নগরায়ন ও শিল্পায়নের কারণে কৃষিজমি কমে আসছে। কৃষিজমি ও বনাঞ্চল কমে আসায় শুধু উন্নয়নের পথে হুমকিই সৃষ্টি হচ্ছে না, সেই সঙ্গে দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশও মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন। এমন একটি সঙ্কটময় মুহূর্তে সরকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লৰ্যে নগদ ২৫ শতাংশ কৃষি ভতর্ুকি প্রদানের সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে বর্তমান সরকারের একটি মহৎ ও সাহসী পদৰেপ। তবে আগে প্রাথমিক প্রতিবন্ধকসমূহ কাটিয়ে ওঠা দরকার। বর্তমান সরকারকে যে কোন মূল্যে দেশের অতি মূল্যবান কৃষিজমি রৰা করতে হবে। এই কৃষিজমির পরিমাণ প্রতিবছরই বাড়াতে হবে। দেশে উপকূলীয় এলাকায় ইতোমধ্যে লবণাক্ততার কারণে কৃষিৰেতে মারাত্মক অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ছাড়া দেশে মোট জনসংখ্যা একটি সুনির্দিষ্ট সীমায় না রাখা পর্যনত্ম দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত করা সম্ভব নয়। কারণ দেশে বর্তমানে প্রতিবছরই কৃষিজমি কমছে এবং জনসংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশে শুধু কৃষি উন্নয়ন নয়, সব উন্নয়নের ৰেত্রে এটাই প্রধান বাধা। চীনে সুপরিকল্পিতভাবে কৃষিজমি সংরৰণ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সেখানে পরিকল্পিতভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশেও এসব বিষয়ে কঠোর পদৰেপ গ্রহণ প্রয়োজন। কেবলমাত্র সরকারের পৰে তা সম্ভব নয়। সরকার, বিরোধী দলসহ দেশের প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষকে এই লৰ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ দেশের অসত্মিত্বের স্বার্থেও সুনির্দিষ্ট পরিমাণ কৃষিজমি সংরৰণ প্রয়োজন। সেই সঙ্গে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করতে হবে। এ ছাড়া দেশকে খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত করা বাসত্মবিকই দুঃসাধ্য।
No comments