বিজ্ঞান কণিকা- ক্যান্সারের জিন আবিষ্কার
পৃথিবীব্যাপী অন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার বাড়ছে। এ ক্যান্সারটিতে বংশানুক্রমে আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা অনেক বেশি। তবে এই বিশেষ ক্যান্সারটি থেকে রক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি আশা জাগানিয়া খবর দিযয়েছেন যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক।
তারা অন্ত্রের ক্যান্সারের জন্য দায়ী দুটি জিন আবিষ্কারের দাবি করেছেন। বংশানুক্রমে যেসব লোক অন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন এমন ২০ জনের ওপর গবেষণা চালিয়ে গবেষকরা এটি আবিষ্কার করার কথা জানিয়েছেন। গবেষক দলের প্রধান ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়ান টমলিনসন বলেন, ‘এই জিন আবিষ্কারের ফলে যাদের অন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে তা আগে থেকেই শনাক্ত করা যাবে এবং আক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই প্রতিরোধ করা যাবে।’ তবে এটি নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণার পর সুনির্দিষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আশাবাদ ব্যক্ত করছেন গবেষক দলটি। এ আবিষ্কারটিকে যুগান্তকারী বলে আখ্যায়িত করেছেন তারা।মঙ্গলের ফুল মঙ্গলের ফুল পাবেন কোথায়? কেন, মঙ্গলেই। নাসার সঙ্গে যোগাযোগ করুন শিগগির।মঙ্গলে পাঠানো নাসার রোবট ‘কিউরিওসিটি রোভার’ সম্প্রতি মঙ্গলের মাটিতে ফুলের অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছে। সেই ফুলের ধ্বংসাবশেষের অনেকগুলো ছবিও পাঠিয়েছে কিউরিওসিটি।
এনবিসি নিউজের ‘ফটো ব্লগ’-এ এসব ছবি ছাপানো হয়েছে। এনবিসির খবরে বলা হয়েছে, কিউরিওসিটির ৩৬০ ডিগ্রী এ্যাঙ্গেলে চিত্রগ্রহণের সক্ষমতা যাচাইয়ের অংশ হিসেবে তোলা এসব ছবিতে ফুলের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মার্কিন আলোকচিত্রী কেন ক্রেমার এসব খ- খ- ছবি একত্র করে এবং তাতে রং চড়িয়ে বাস্তবের রূপ দিয়েছেন।
তবে কেউ কেউ বলছেন, এটা পাথরের অথবা কোনো মহাকাশযানের খ-াংশের ছবি হতে পারে।
জুবায়ের আব্দুল বারি
কোমলমতি শিশুরা
বেশি জনপ্রিয়
নরম ও কোমল স্বভাবের বাচ্চারা সবসময় হাসিখুশি ও উৎফুল্ল থাকে। এমনকি তারা তাদের সমবয়সী বা একই মেধাস্তরের বাচ্চাদের চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পায়। সম্প্রতি ৯-১১ বছর বয়সী বাচ্চাদের ওপর পরিচালিত এক পবেষণা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
স্বভাবগত কোমলতা ও দয়ালু মনোভাবের কারণে তারা তাদের বয়সী অন্য বাচ্চাদের চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা লাভ করে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বাচ্চাদের ওপর এ গবেষণা পরিচালনা করেন। গবেষকরা বলেন, ইতিবাচক আচরণে উৎসাহ দেয়া হলে বাচ্চারা সহজে এর প্রতি আকৃষ্ট হয়। এমনকি সমবয়সী অন্যরাও এর দ্বারা প্রভাবিত হয়। এর ফলে হয়তো শ্রেণীকক্ষে বাচ্চারা তাদের সহপাঠীর কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
নয় থেকে এগারো বছর বয়সী স্কুলগামী ৪০০ বাচ্চার চার সপ্তাহ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এ গবেষণা সম্পাদন করা হয়। এক্ষেত্রে গবেষকরা একটি সম্পূর্ণ শ্রেণীকক্ষ নির্দিষ্ট করে গবেষণা পরিচালনা করেন। বাচ্চাদের একেকটি দলকে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি করে স্থান ভ্রমণ করানো হয়। বাচ্চাদের তাদের শ্রেণীকক্ষের আচরণসহ ভ্রমণের ঘটনাগুলোও একটি ডায়েরিতে নোট করতে গবেষকরা নির্দেশ দেন। এ বিষয়গুলো সরাসরি তাদের সহপাঠীদের আচরণে সাথে জড়িত নয়। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ক্রিস্টিন লাউস বাচ্চাদের আচরণগত প্রভাব দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। খুব সাধারণ একটি আচরণ ও শ্রেণীকক্ষে বাচ্চাদের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। পর্যবেক্ষণের পূর্বে দেখা যায়, বাচ্চারা তাদের নিজেদের মধ্যে পছন্দের সহপাঠী নির্বাচনে তাদের বেশি প্রাধান্য দেয় যারা স্কুলের বিভিন্ন কর্মকা-ের সাথে জড়িত। চার সপ্তাহ পর্যবেক্ষণের পর বাচ্চাদের আবার তাদের পছন্দের সহপাঠী নির্বাচন করতে দেয়া হয়। দেখা গেল যে, শ্রেণীকক্ষে সহপাঠীদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত উদার ও কোমল স্বভাবের সহপাঠীদেরই তারা নির্বাচন করেন। ড. লাউস বলেন, সবচেয়ে মজার বিষয় হলো যে, সাধারণ একটি ইতিবাচক আচরণও সমমনা বা একই দলভুক্তদের মধ্যে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক সৃষ্টিতে সহায়ক হয়। তিনি পরামর্শ দেন যে, বাচ্চাদের মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে এ ধরনের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি সহপাঠীর দ্বারা নিপীড়ন বন্ধে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে ড. লাউস মন্তব্য করেন। উদার ও কোমল স্বভাবের বাচ্চারাই কেবল নিজেদের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি করে না বরং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও এটি সমানভাবে প্রযোজ্য বলেও গবেষকরা উল্লেখ করেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
No comments