এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ির ব্রান্ড ও সিসি নির্ধারণ করে দেবে সরকার অর্থমন্ত্রী
এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ ঠিক রেখে ব্রান্ড ও সিসি নির্ধারণ করে দেবে সরকার। এতে নিজের ইচ্ছামতো গাড়ি আমদানির সুযোগ থাকবে না। রবিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, শীঘ্রই এ বিষয়ে সিদ্ধানত্ম নেয়া হবে।
ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) একটি প্রতিনিধি দল রবিবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাৰাত করে। তারা আইসিবিতে সরকারী ২৭ শতাংশ শেয়ারের লভ্যাংশ বাবদ ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার একটি চেক মন্ত্রীর কাছে হসত্মানত্মর করেন। এ সময় আইসিবির পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম খায়রম্নল হোসেন, অর্থ সচিব ড. মোহাম্মদ তারেকসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।অর্থমন্ত্রী মুহিত চেক হসত্মানত্মরের পর সাংবাদিকদের বলেন, অতীতে এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি নিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সরকার তা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। এজন্য গাড়ির ব্রান্ড এবং সিসি নির্ধারণ করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রি, সচিবরা সরকারী গাড়ির সুবিধা ভোগ করছেন। উপজেলা চেয়ারম্যানদেরও গাড়ি দেয়া হবে। তাহলে সংসদ সদস্যরা এ সুবিধা কেন পাবেন না। তাঁরা শুধু সংসদ সদস্যই নন, তাঁরা নির্বাহীদের পর্যবেৰক।
সাংসদদের জন্য সরকারী গাড়ি বরাদ্দের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, সাংসদদের জন্য কোন পরিবহনপুল নেই। আবার সরকারের পরিবহন পুলেও জায়গা নেই। পিপিএ পিপিআর অনুসরণ করে সরকারীভাবে কিনতে গেলে আরও এক বছর লেগে যাবে।
যদি সরকারী গাড়ি দেয়া হয় তাহলে পাঁচ বছর পর এ গাড়িগুলোর কী হবে। কিভাবে বিক্রি করা হবে তা একটি বড় সমস্যা। এসব দিক বিবেচনা করেই শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির চিনত্মাভাবনা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সাংসদদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ওই সময় দেখা যায় সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করে ব্যবহার না করেই তা বিক্রি করে দিয়েছেন। বিগত সরকারের সময় এ নিয়ে মামলাও দায়ের করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ই একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা রহিত করা হয়। তবে বর্তমান সরকার সংসদে অধ্যাদেশটি পাস না করায় তা বাতিল হয়ে যায়। এতে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির ৰেত্রে আগের আইনই বহাল রয়েছে।
No comments