মাথাপিছু আয় দ্রম্নত বৃদ্ধি পাচ্ছে by ড. আতিউর
অর্থনৈতিক রিপোর্টার বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, দেশজ উৎপাদন অব্যাহত প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের অব্যাহত ক্রমবৃদ্ধির কারণে মাথাপিছু জাতীয় আয় দ্রম্নত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০০৪-০৫ অর্থবছর থেকে ২০০৮-০৯ অর্থবছর পর্যনত্ম মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় দাঁড়িয়েছে ৬৯০ মার্কিন ডলার। প্রবৃদ্ধির এ হার অব্যাহত থাকলে আগামী চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নর জাতীয় দারিদ্র্য নিরসনের কথা উলেস্নখ করে বলেন, গত এক বছরের ব্যবধানে ১০ শতাংশ হারে কমেছে দারিদ্র্যের হার। বর্তমান সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশিস্নষ্ট ব্যাংকগুলোর অভ্যনত্মরীণ চাহিদা অনুযায়ী বিনিয়োগ করার কারণেই এটি হয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে দারিদ্র্র্য নিরসনের হার কমলেও আঞ্চলিকভাবে এ হার এখনও উর্ধমুখী রয়েছে। যা নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০০৮-০৯ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর নজরম্নল হুদা ও মুরশিদ কুলী খান, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হাবিবুলস্না বাহার ও সিনিয়র কনসালটেন্ট মালিক কাজেমী উপস্থিত ছিলেন।
গবর্নর বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে আর্থিকখাতের বিপর্যয়ের পরও বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি সনত্মোষজনক। গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৯ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। এর আগের বছরে তা ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্ব পণ্যবাজারে মূল্য পতন ও কৃষিখাতে ভাল স্থানীয় উৎপাদনের কারণে গড় বার্ষিক ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ২০০৮-০৯ অর্থবছরের শুরম্নর দিকে ৯.৯ শতাংশ থেকে ধীরে ধীরে কমতে থাকে। অর্থবছরের শেষে তা ৬.৭ শতাংশে দাঁড়ায়। এর পরও এ হার নিম্নমুখী খাকে। সর্বশেষ ডিসেম্বরে ছিল ৫.১১ শতাংশ।
ড. আতিউর রহমান বলেন, মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় ঢুকতে হলে দেশের মানব সম্পদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে এবং অভ্যনত্মরীণ উৎপাদন ও চাহিদা বৃদ্ধি করতে হবে। একই সঙ্গে কৃষি ও এসএমইতে বিনিয়োগের জন্য সরকার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সংশিস্নষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আয়ের কথা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে সুদের হার কম হবার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের আয় ২০০৮-০৯ অর্থবছর আগের অর্থবছরের ৩১.৫ বিলিয়ন টাকা থেকে কমে ২৫ বিলিয়ন টাকায় দাঁড়ায়। নিট আয় উদ্বৃত্ত থেকে ৭.৭ বিলিয়ন টাকা বিভিন্ন বিধিবদ্ধ তহবিল ও সুদ সঞ্চিত হিসাবে স্থানানত্মরের পর অবশিষ্ট ১৭.৩ বিলিয়ন টাকা সরকারী হিসাবে স্থানানত্মর করা হয়।
No comments