সাবরেজিস্ট্রি অফিস কোথায়? দলিল কত টাকার? by ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ
শিরোনামটি আমার নয়। আমি নকল করেছি একজন প্রৌঢ় ভদ্রলোকের কাছ থেকে। তিনি সাভার বাজারের কাছে এক টং দোকানে চা বিক্রি করেন। সেদিন সন্ধ্যায় চা পান করছিলাম তাঁর দোকানে। আমাদের দেশের মানুষ খাদ্য রসিকের মতো রাজনীতি রসিকও।
এই শীতে গরম চায়ে চুমুক দিয়ে দেশের চলমান উষ্ণ রাজনীতি নিয়ে গল্প জমানোটা একটি মজাদার বিষয়। আর তা যদি আমাদের দেশের মতো কাউন মার্কা রাজনীতি হয় তো কথাই নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে কেন্দ্র করে বিএনপির মাঠ গরম নিয়ে মজাদার আলোচনা হচ্ছিল। আগের দিন বেগম খালেদা জিয়া সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। বিএনপি তো চুক্তির ভ্রূণশিশু জন্মাবার আগে থেকেই আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করে আসছিল। এবার বলে ফেলল শুধু ব্যর্থ নয় শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে দিয়ে এসেছেন। যদিও এটি নতুন কোন শব্দ নয়। অনেক আগে থেকে বিএনপি আর তাদের জামায়াত বন্ধুরা এ সমসত্ম নিম্নমানের শব্দ ব্যবহার করে আসছে। সমাজ অনেকটা এগিয়ে গেলেও নতুন প্রজন্ম আধুনিক হলেও এসব 'মেধাবী' রাজনীতিকগণ বদ্ধ পুকুরেই পড়ে আছেন। শব্দ ব্যবহারে গ্রাম্যতা ছাড়াতে পারছেন না।ছেলেবেলায় দেখতাম বাজারের কোণে তিন তাসের জাদুকর লোক জমাত। আসর জমাত শালীন-অশালীন চটকদার কথায়। তখন সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি অতটা প্রসারিত হয়নি। বিনোদন বলতে রেডিও, যাত্রাগান, শহরের হলে সিনেমা দেখা আর ক্বচিৎ এর ওর বাড়িতে টেলিভিশন দেখা। এই সীমাবদ্ধতা সকলের জানার জগতটাকে সীমিত করে দিয়েছিল। তাই জাদুকর আর ক্যানভাসারের চটকদার কথাতেই আপস্নুত হতো। একুশ শতকের এই সময় সমাজ তো অনেক এগিয়ে গেছে। ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে মানুষ। প্রত্যনত্ম গ্রামের মানুষও দেশ জগতের খবর রাখে। তাই তিন তাসের জাদুকরের ব্যাবসায় ভাটা পড়েছে। ক্যানভাসারের কথায় মোহিত না হয়ে যুক্তি দিয়ে সব বুঝতে চায়। অমন সময়ে বিএনপি যেন টাইম মেশিনের ভুল বোতামে চাপ দিয়ে আদি যুগে চলে গেছে। আধুনিক মানুষকে আকৃষ্ট করছে না তবুও অমন সব বসত্মাপচা শব্দ প্রয়োগ করছেন ছোট বড় নেতা নেত্রী সকলেই।
রসিক চা দোকানদারের কথায় যেন এরই বাসত্মব চিত্র প্রকাশ পেল। চায়ের কাপে চিনি নাড়াতে নাড়াতে বললেন, খালেদা জিয়ার কাছে জানতে হবে কোন সাবরেজিস্ট্রি অফিসে বাংলাদেশ বেচার দলিল রেজিস্ট্রি হলো। দলিল করা হলো কত টাকায়। আমি ল্য করলাম দোকানে বসা জনা পাঁচেক মানুষের সকলেই এই কৌতুকে দারম্নন মজা পেল। এভাবে আমাদের জাতীয় নেতা-নেত্রীরা ক্রমে মানুষের কাছে কৌতুকের পাত্র হয়ে যাচ্ছেন।
ইদানীং ল্য করলে দেখা যাবে বিএনপি মহাসচিবের মতো তাঁদের সকল নেতা নেত্রীই লাগাম ছাড়া যান্ত্রিক শব্দ চয়নে কথা বলে যাচ্ছেন। আধুনিক মানুষের সামনে এগুলো যে অকেজো শব্দ তা যেন বুঝতেই চাইছেন না। বিএনপির কোন কোন নেতাকে দেখলে মনে হয় বোধকরি মননের দিক থেকে কিছুটা আধুনিক। এসব নিম্নরম্নচির কথা বলতে ভাল লাগবে না। পাশে দাঁড়িয়ে শুনতেও বিব্রত বোধ করবেন। অথচ তারাও যান্ত্রিকভাবে শব্দ চয়ন করা মহাসচিব বা পুরনো স্ক্রিপ্ট মহড়া দিয়ে আসা নেত্রীর কথারই প্রতিধ্বনি তোলেন। এ দৃশ্যে প্রথমে অবাক হলেও পরে যুক্তি খুঁজে পাই। কারণ রাজনীতিটা এখন নেতা-নেত্রীরা সততা এবং আদর্শের জন্য করেন না। ওটুকু তোলা থাকে তৃণমূল পর্যায়ের কমর্ী সমর্থকদের জন্য। দলীয় সিদ্ধানত্ম (যা আবার চাপিয়ে দেন উপরের এক দু'জন নেতা নেত্রী) যা নেয়া হবে_ নেত্রী যা বলবেন সে সবই ধারণ করতে হবে। অন্যথা হলে দুর্ভাগা 'সংস্কারপন্থী'দের দশা হয়ে যেতে পারে। আমাদের নষ্ট রাজনীতির আছর যেখানেই আছে সেখানেই একই দশা। সেদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিন পদে নির্বাচন হয়ে গেল। আজকাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন সাধারণত নির্বাচন ঘোষণা করে যখন মাননীয় উপাচার্যের দলের প েপ্রয়োজনীয় ভোটার সংগ্রহ সম্পন্ন হয়। অর্থাৎ নির্বাচনের আগে শিক নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়। এ কারণে প্রাথর্ী যেই হোন না কেন বিপুল ভোটে সরকারী দলের প্রাথর্ী জয়লাভ করেন। কোন এক অনুষদের এক তরম্নণ শিক আমাকে বিশেষ পছন্দ করেন। ডিন নির্বাচনের দিন খুব বিষণ্ন বদনে তাঁর গোপন কষ্টটি বললেন, স্যার ডিনের মতো এমন একাডেমিক পদে প্রশাসনের প দলের 'এমন' প্রাথর্ীকে ভোট দিতে হলো। মনে স্বসত্মি পাচ্ছি না। আমি বললাম কেন, গোপন ব্যালট_তুমি তোমার মতো করে ভোট দিলে না কেন? ওর অসহায় উত্তর, আমাদের ওপর কড়া নির্দেশ ছিল। গোপন ব্যালট হলেও তারা নাকি হিসাব মেলাতে পারেন।...আসলে সর্বত্রই এই মডেলের গণতন্ত্র চর্চা চলছে আমাদের দেশে।
কিন্তু কথা হচ্ছে একুশ শতকের এই প্রগতির যুগে বিএনপি ছানি পড়া চোখে জনগণকে দেখছে কেন? মানুষ কি এখনও তুকতাক আর জাদুটোনার যুগে পড়ে আছে যে, প্রলাপ বকলেই তারা সব মেনে নেবে? যুক্তিবুদ্ধি বস্তুনিষ্ঠতায় বিচার করবে না? সম্ভব হলে নিজেরা একবার নিজ দলের সমর্থকদের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের অর্জনকে কতটা বর্জন করছেন তারা। নেতৃত্ব যদি মনে করেন নড়বড়ে দলকে উত্তেজিত করে ঐক্যবদ্ধ করবেন তা হলে তাদের বসবাসের জায়গাটির নাম বোকার স্বর্গই হবে। অসততা দিয়ে তাৎণিক বিজয় সম্ভব হলেও শেষ পর্যনত্ম টিকে থাকা যায় না।
যেকোন রাজনৈতিক বিশেস্নষক বলবেন বিএনপির আজকের এই ছন্নছাড়া আচরণের পেছনে একটি যৌক্তিক ও মনসত্মাত্তি্বক পরিপ্রেতি রয়েছে। যার শুরম্নটা গত টার্মে বিএনপির রাষ্ট্রমতায় থাকাকালীন সময় থেকে শুরম্ন হয়েছিল। কখনও কখনও খুব বেশি অন্যায় করে ফেললে হজমের সমস্যা হয়। উগরে ফেলা সম্ভব না হলে আরও বেশি অন্যায় দিয়ে তা ঢাকার চেষ্টা করে। বিএনপির দশাও তখন তেমনি ছিল। সে সময় সমানত্মরাল সরকার হাওয়া ভবনের রাহুগ্রাস সকলের শুধু জানা নয় বিশ্বাসের জায়গায়ও পৌঁছে গিয়েছিল। আর এতে প্রশ্রয় পেয়ে বিএনপির দাপুটে নেতা-নেত্রী দুনর্ীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন। এ কারণেই বুঝতে পেরেছিলেন পরবতর্ী নির্বাচনে জনরোষের মুখে পড়তে হবে। তাই মতায় থাকতেই নির্বাচনকে প্রভাবিত করার সকল অনৈতিক আয়োজন সম্পন্ন করেছিল বিএনপি। মতার ওপর মৌরম্নসীপাট্টা যখন প্রতিষ্ঠিত তখন নীলনকশার বাসত্মবায়ন ঠেকাতে আওয়ামী লীগসহ সমমনা দলগুলো মাঠে নামে। একটি ভয়ঙ্কর অরাজকতার মুখেমুখি হয় দেশ। আর তা কাল হয়ে যায় বিএনপি-জামায়াত জোটের জন্য। সেনা সমর্থিত তত্তা্ববধায়ক সরকার এসে বিএনপির স্বপ্নসৌধ চুরমার করে দেয়। এ সময় থেকে মনসত্মাত্তি্বক চাপে পড়ে বিএনপি।
বিএনপি আর হাওয়া ভবনের যে দুনর্ীতির কথা মানুষের মুখে মুখে এতদিন প্রচারিত ছিল, তা যেন প্রামাণ্য হতে থাকল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। বিএনপির জন্য এতটা দুঃসময় গেল যে, অবস্থার ফেরে পড়ে স্বয়ং বিএনপি নেত্রী লুকানো কালো টাকা বাইরে আনতে বাধ্য হলেন। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতমুক্ত পরিবেশ পেয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে পড়তে লাগল চারদিকে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গ সামনে চলে এলো। সুন্দর সকালের স্বপ্ন দেখতে লাগল নতুন প্রজন্ম। এই প্রোপটে জামায়াতের বন্ধুত্ব কাল হলো বিএনপির জন্য। নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় যৌক্তিক হলেও বিএনপির জন্য তা বড় রকমের ধাক্কা ছিল।
এরপর থেকেই বিএনপির আচরণে হতাশা স্পষ্ট হতে থাকে। বিএনপির উচিত ছিল প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নিয়ে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে এসে দলকে সুসংগঠিত করা। কিন্তু তা হলো না। এমন ক্রানত্মিকালে শুধু দলকে ভালবাসেন এমন নেতা-নেত্রীরা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরতে পারেন, যাঁরা মতা আর স্বার্থের প্রলোভনের চেয়ে দলকে শক্তিশালী করা জরম্নরী বিবেচনা করেন। এমনটি হলে অন্ধকার পথে রাষ্ট্রমতায় যাওয়ার চেয়ে কলঙ্কমুক্ত করে দলকে সুসংগঠিত করা তাদের জন্য জরম্নরী বিবেচিত হতো। ফলে দলের স্বার্থে মতায় যাওয়ার ইঁদুর দৌড়ের চেয়ে পাঁচশালা বা দশশালা পরিকল্পনায় দলকে গণমানুষের ভালবাসার জায়গায় পৌঁছে দেয়া প্রয়োজন ছিল।
কিন্তু বর্তমান বিএনপি নেতৃত্ব দিয়ে কি তা সম্ভব? নানা ঘাটের জল খাওয়া সুবিধাবাদীদের হাতে এখন বিএনপির নেতৃত্ব। এদের অভীষ্ট মতা এবং স্বার্থসিদ্ধি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্ট করে মৌলবাদী শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করার বিদেশী এজেন্টের ভূমিকায় আছেন অনেকে। এ কারণে নিজ দলের মু-ুপাত করতে এরা দ্বিধা করেন না। এর বড় লণ এদের ভারত বিরোধিতার জিকির।
হতাশা মানুষকে সুস্থ চিনত্মা করতে দেয় না। বিএনপির বর্তমান আচরণ সে সত্যই প্রকাশ করছে। তাই ষড়যন্ত্র সফল করতে যে ধরনের কুশলী পরিকল্পনা দরকার সে পথে এগোতে পারছে বলে মনে হয় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ও সমঝোতা চুক্তিকে নিজস্ব রাজনৈতিক দৃষ্টিতে মোকাবেলার জন্য অপোর প্রয়োজন ছিল। প্রতিটি বিষয় গভীরভাবে পর্যবেণের পর এর ভেতরের দুর্বলতা থাকলে তা বের করে দৃঢ়তার সঙ্গে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা উচিত ছিল। অথচ বিএনপি নেত্রী কাঁটা বিছানো থেকে শুরম্ন করে দেশবিক্রির মতো গ্রাম্যতাও প্রকাশ করে ফেললেন। এর মধ্যে আর যাই থাকুক মেধাবী রাজনীতির ছিটেফোঁটাও ছিল না।
বিএনপি নেতৃত্বকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয় এদেশের মানুষ কি এতটা বোকা? গত নির্বাচন নিয়ে হারম্ন পার্টি হিসেবে আপনারা যতই প্রশ্ন তুলুন আপনারা নিজেরাই জানেন আপনাদের পতনের কারণ। বরঞ্চ উল্টাপাল্টা কথা বলে ভোটারদের অপমানিত করছেন কেন? মনে হয় না ভবিষ্যতে সাজানো নির্বাচন করতে পারবেন। ফলে এই ভোটারের কাছেই যেতে হবে। তারা কি কোন প্রশ্ন তুলবে না তখন? এদেশের সচেতন মানুষ এতটা অজ্ঞ নয় যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর এবং সমঝোতা চুক্তির ভালমন্দ বোঝেনা। ফলে চোখ বন্ধ করে যেভাবে বিরোধিতা করে যাচ্ছেন তাতে তো আপনাদের উটপাখি বলে মনে হচ্ছে। বালুতে মুখ লুকিয়ে ভাবছেন ঝড় এড়াতে পারছেন। চোখ খুলে একবার তাকিয়ে দেখুন যাত্রার বিধ্বসত্ম ভিলেনের প্রলাপ শুনে দর্শক যেভাবে হাসে, আপনাদের এসব পুরনো ধাঁচের ক্যাসেট শুনে সাধারণ মানুষ তেমন উপহাসই করছে। এসব দেখে আমার বার বার মনে প্রশ্ন জাগে বিএনপি কথায় বক্তব্যে আরেকটু কি স্মার্ট হবে না? দুশ্চিনত্মা হয় এই ভেবে বিএনপি বোধহয় পুরোপুরি জামায়াত প্রভাবিতই হয়ে গেল। বর্তমান সময়ে বিএনপির চেয়ে জামায়াতের শঙ্কা বেশি। বিএনপি জামায়াত জোটের শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলিয়ে দেয়ার যে অপচেষ্টা চলছিল তা শেষ পর্যনত্ম ব্যর্থ হয়েছে। দেশপ্রেমকে ছিনতাই করা যায় না। জোট সরকারের পতনের পর মুক্ত পরিবেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আপস্নুত হয়েছে এদেশের মানুষ_বিশেষ করে তরম্নণ প্রজন্ম। অর্থাৎ জামায়েতের প্রেসক্রিপশন প্রয়োগ করেও ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি ক্রমে জোরদার হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সরকারও সক্রিয়। ফলে জামায়াতের রক্তচাপ এখন প্রচ- উর্ধমুখী। দেশকে অরাজকতার মধ্যে ফেলে দিয়ে আত্মরা করা ছাড়া এরা বিকল্প ভাবতে পারছে না। বিএনপি এখন তাদের ইচ্ছে পূরণের পরশ পাথর। বিএনপির ভেতরে থাকা জামায়াত মনোভাবাপন্ন নেতারা তাই এখন অনেক বেশি সক্রিয়।
এই অবস্থা দুশ্চিনত্মায় ফেলতে পারে দেশ ও দল প্রেমিক বিএনপির মুক্তমনের নেতা ও সমর্থকদের। দলকে বাঁচাতে হলে তাদের ঐক্যবদ্ধ ও সরব হতেই হবে। গতানুগতিক ভারত বিরোধিতা এবং দেশ বিক্রি ধরনের নিম্নমানের বক্তৃতার রাজনীতি থেকে বেরম্নতে না পারলে বিএনপি আরও বেশি গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বন্ধু জামায়াত তখন ইয়া নফসিতে ব্যসত্ম থাকবে। বিএনপিকে ঠিক চিনতে পারবে কিনা সন্দেহ।
No comments