শুরম্ন হয়েছে ঢাকা-দিলস্নী যৌথ ইশতেহার বাসত্মবায়নের কাজ- প্রাধান্য পাচ্ছে অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন
সোহেল রহমান ঢাকা-দিলস্নী যৌথ ইশতেহার বাসত্মবায়নের কাজ শুরম্ন হয়েছে। ৫০ দফা যৌথ ঘোষণার আলোকে নদী খনন ও বিদু্যত খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র খতিয়ে দেখতে ভারতের আলাদা দুটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে রয়েছে।
রেলওয়ে খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতের আরেকটি প্রতিনিধি দল শীঘ্রই বাংলাদেশে আসছে। বিরোধপূর্ণ অমীমাংসিত সমুদ্রসীমা নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল চলতি সপ্তাহে ভারত যাচ্ছে। তিসত্মার পানি চুক্তিসহ অভিন্ন সকল নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আগামী মার্চে দিলস্নীতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচিত ভারত সফরের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা-দিলস্নী যৌথ ইশতেহার বাসত্মবায়নের কাজ শুরম্ন হয়েছে। বাসত্মবায়নের প্রথম দফায় নদী খনন, বিদু্যত খাতের সহযোগিতা এবং রেলওয়ে খাতের অবকাঠামো নির্মাণ এবং বগি ও যন্ত্রপাতি ক্রয়, বঙ্গোপসাগরের অমীমাংসিত সমুদ্রসীমা নির্ধারণ এবং তিসত্মাসহ অভিন্ন নদনদীর পানি বণ্টনের মধ্যে গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নদী খনন, বিদু্যত রফতানিসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং রেলওয়ে খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাংলাদেশকে সরাসরি সহযোগিতা দেয়ার অঙ্গীকার করেছে ভারত। এছাড়া সমুদ্রসীমা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের দ্রম্নত মীমাংসা এবং তিসত্মাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের মতো গুরম্নত্বপূর্ণ ইসু্যগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ।
বিদু্যত খাতে সহযোগিতা যৌথ ঘোষণার ৩১ নম্বর ধারায় বাংলাদেশকে প্রায় আড়াই শ' মেগাওয়াট বিদু্যত দেয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে ভারত। আমদানি করা এই বিদু্যতের জন্য উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায়। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ও ভারতের একটি বিশেষজ্ঞ দল উপকেন্দ্র নির্মাণের প্রাথমিক জরিপ কাজ সম্পন্ন করেছে বলে সূত্র জানায়। দলটি ভেড়ামারায় ৬০ মেগাওয়াটের বিদু্যত কেন্দ্র, পদ্মা নদী ও রেলওয়ের পরিত্যক্ত জমি পরিদর্শন করে। তারা রামকৃষ্ণপুর এলাকায় রেলওয়ের পরিত্যক্ত জমি উপকেন্দ্র নির্মাণের উপযোগী বলে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করে। জমিটির পাশেই রয়েছে পদ্মা নদী এবং ২৩০ কেভি বিদু্যত সঞ্চালন লাইন। অবস্থানগত সুবিধার কারণে এই লাইন দিয়ে সহজে এবং কম খরচে ভারত থেকে আমদানি করা ২৫০ মেগাওয়াট বিদু্যত জাতীয় গ্রিডে সংযোজন করা সম্ভব বলে সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়, প্রায় ১শ একর জমির উপর উপকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হবে এবং ২৩০ কেভির সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে এই উপকেন্দ্রে বিদু্যত আনা হবে। পরে তা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
সূত্র জানায়, অব্যাহত বিদু্যত সঙ্কটের সমাধানে গত সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি ভারত সফরের সময় নয়াদিলস্নীর কাছ থেকে বিদু্যত কেনার প্রসত্মাব দেয় ঢাকা। বাংলাদেশের প্রসত্মাবে সম্মতি দিয়ে ভারত প্রথম দফায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১শ' মেগাওয়াট বিদু্যত দিতে রাজি হয়। প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে তা বাড়িয়ে আড়াই শ' মেগাওয়াট করার প্রতিশ্রম্নতি দেয় ভারত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারত থেকে আমদানি করা বিদু্যত কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ঈশ্বরদী সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা হবে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বহরামপুর লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদু্যত রফতানি করবে ভারত। তবে বিদু্যত আনার জন্য দু'দেশের সীমানত্মে প্রায় ৬০ কিলোমিটারের একটি গ্রিড নির্মাণ করতে হবে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সরবরাহ লাইনগুলো ২৩০ কেভি ভোল্টের হলেও ভারতের সরবরাহ লাইন ৪০০ কেভি ভোল্টের। উভয় লাইনের সমন্বয়ের জন্য গ্রিড ছাড়াও মাঝামাঝি দূরত্বে একটি সাব-স্টেশন নির্মাণ করতে হবে। বিদু্যত খাতের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে নবেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে বিদু্যত সচিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফরে যায়। প্রতিনিধি দলটি ভারতের কয়েকটি বিদু্যত কেন্দ্র পরিদর্শনের পাশাপাশি দেশটির বিদু্যত বিভাগের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে। নবেম্বরের শেষ সপ্তাহে দু'দেশের মধ্যে বিদু্যত সরবরাহ লাইনের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখতে ভারতের বিদু্যত মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলও বাংলাদেশ সফর করে। সূত্র জানায়, ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ নেপাল ও ভুটান থেকে বিদু্যত আমদানির চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভুটান সফরের সময় এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সুনির্দিষ্ট প্রসত্মাব দেয়া হয়। সূত্র জানায়, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদু্যত আমদানি করতে ভারতের গ্রিড ব্যবহার করতে হবে। ভুটান থেকে বিদু্যত আনতে প্রায় ১শ' কিলোমিটারের গ্রিড নির্মাণ করতে হবে।
নৌপথের উন্নয়ন ও নদী খনন যৌথ ঘোষণার আলোকে নদী খনন ও নৌপথের উন্নয়নে প্রাথমিক জরিপের লক্ষ্যে ভারতের একটি প্রতিনিধি দল গত সপ্তাহের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরে আসে। ইন্ডিয়ান ইনল্যান্ড ওয়াটার ওয়েজ অথরিটি সদস্য প্রদীপ কুমারের নেতৃত্বে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এই জরিপ দলের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের নৌ পরিবহন, পানি সম্পদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। দলটি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং আশুগঞ্জ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে ভারতীয় প্রতিনিধি দলটি শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নদী খননের বিষয়ে তিনটি সুনির্দিষ্ট প্রসত্মাব দিয়েছেন। ভারতীয় সহায়তাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ কিভাবে নৌপথের উন্নয়ন করবে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা তা জানতে চেয়েছেন। তারা ভারতের তত্ত্বাবধানের সরাসরি নদী খনন অথবা ড্রেজারসহ খননের যন্ত্রপাতি দেয়ার কথা জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নয়টি ড্রেজার দেয়া হবে বলে জানা গেছে। নদীর খননকাজের জন্য ভারতীয় প্রতিনিধি দল নিজেরা ড্রেজার সরবরাহ কিংবা তৃতীয় কোন দেশ থেকে ড্রেজার দেয়ার প্রসত্মাব দিয়েছে। সূত্র জানায়, ২০০৭ সালে একটি জরিপ রিপোর্টের ভিত্তিতে বাংলাদেশের নদীগুলোর নাব্য বৃদ্ধি এবং বেশ কয়েকটি গুরম্নত্বপূর্ণ পয়েন্টে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে সহায়তা করার জন্য ভারত সরকারকে প্রসত্মাব দেয় বাংলাদেশ। গত বছরের গোড়ার দিকে এই প্রসত্মাবের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে রাজি হয় ভারত। সম্প্রতি ঢাকা-দিলস্নী যৌথ ঘোষণার বিষয়টি অনত্মভর্ুক্ত করা হয়।
সমুদ্রসীমা নিয়ে বৈঠক চলতি সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরের বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমা নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফরে যাবে। আগামী ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি দিলস্নীতে দু'দেশের মধ্যে সমুদ্রসীমার বিরোধ মীমাংসা নিয়ে আলোচনা হবে। সূত্র জানায়, সমুদ্রসীমার বিরোধ মীমাংসায় জাতিসংঘ সালিশ নিষ্পত্তি আদালত গঠন নিয়েই মূলত আলোচনা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। এর আগে গত অক্টোবরে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধ মীমাংসায় জাতিসংঘ সালিশ আদালতের দ্বারস্থ হয় বাংলাদেশ।
সূত্র জানায়, চলতি মাসের শুরম্নতে এই ট্রাইবু্যনাল গঠনের কথা থাকলেও সম্প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কাছে ট্রাইবু্যনাল গঠনের জন্য বাড়তি সময় চাওয়া হয়েছে। ভারতের আবেদনে বাংলাদেশও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। ফলে ভারতের বিরোধ মীমাংসায় কাউন্সিল গঠনে আরও বিলম্ব হতে পারে। তবে ভারতকে কত দিন সময় দেয়া হয়েছে কৌশলগত কারণে তা প্রকাশ করতে চান না মন্ত্রণালয়ের কর্মকতর্ারা। সূত্র জানিয়েছে, সালিশ নিষ্পত্তি আদালত নিরপেক্ষ আরবিট্রেটর নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের পক্ষ থেকে দু'জন ব্যক্তির নাম প্রসত্মাব করা হয়েছে। কোন দেশই তাদের প্রসত্মাবের বিরোধিতা করেনি। জাতিসংঘ আইন অনুযায়ী পাঁচজন আরবিট্রেটর বা সালিশ নিষ্পন্নকারী নিয়ে ট্রাইবু্যনাল কাজ শুরম্ন করবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রথমে ব্রিটিশ আইনবিদ লুই ভনকে আরবিট্রেটর মনোনীত করা হয়। বিপরীতে ভারতের পক্ষ থেকে ভূতত্ত্ববিদ ও সমুদ্র আইনবিশেষজ্ঞ শ্রীনিবাস রাওকে আরবিট্রেটর নিয়োগ দেয়া হয়। উভয়পক্ষের সম্মতিতে জাতিসংঘ অবশিষ্ট তিন আরবিট্রেটর নিয়োগ দেবে। সালিশ নিষ্পত্তি আদালতে ভারত ও মিয়ানমারের বিরম্নদ্ধে আইনী লড়াইয়ের জন্য ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইনী প্রতিষ্ঠান হলিহগকে নিয়োগ দিয়েছে। হলিহগের হয়ে সালিশ প্রক্রিয়ার বাংলাদেশকে আইনী সহায়তা দেবেন পায়াম আখাভান। কানাডার ম্যাগগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক এর আগে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইনজীবী ছিলেন।
মার্চে দিলস্নীতে জেআরসি বৈঠক প্রায় পাঁচ বছর পর আগামী মার্চে নয়াদিলস্নীতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে তিসত্মাসহ অভিন্ন সকল নদীর পানির ন্যায্য বণ্টন নিয়ে আলোচনা করা হবে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিসত্মার পানি বণ্টনে একটি অনত্মর্বর্তীকালীন চুক্তি সাক্ষরের জোর প্রচেষ্টা চালান হবে বলে জানা গেছে। এর আগে চলতি মাসে শুরম্নতে ঢাকায় জেআরসি সচিব এবং গত ডিসেম্বরে জেআরসি বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রসচিব মিজারম্নল কায়েস জানান, তিসত্মাসহ সব অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ চুক্তি করতে চায়। তিনি বলেন, আমরা তিসত্মার পানি বণ্টনে একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করতে চাই। কিনত্মু সেজন্য হাইড্রোলজিক্যাল সার্ভে ডাটা প্রয়োজন, যা সময়সাপেক্ষ। এ কারণে আপাতত এ্যাডহক ভিত্তিতে চুক্তি করতে চাই। যা দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির একটি ভিত্তি তৈরি করে দেবে। শুধু তিসত্মা নয় অভিন্ন সকল নদীর পানি বণ্টন নিয়েও চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ। ২০০৫ সালে ঢাকায় সর্বশেষ জেআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে মেজর হাফিজউদ্দিন আহমেদ এবং ভারতের পক্ষে প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
সূত্র জানিয়েছে, যৌথ ঘোষণার আলোকে রেলখাতে সহযোগিতার উপায় খুঁজে বের করতে ভারতের একটি প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে। দলটি প্রথমে নীলফামারীর সৈয়দপুর যাবে। তারা সৈয়দপুর স্টেশনে আধুনিকায়ন, রেলওয়েতে অত্যাধুনিক বগি সংযোজন এবং অবকাঠামোগত নির্মাণ নিয়ে আলোচনা করবে।
৫০ দফার ১৫টি বাংলাদেশের অনুকূলে, ৫টি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে ঢাকা ও নয়াদিলস্নীর মধ্যে সম্পাদিত ৫০ দফা যৌথ ইশতেহারের ১৫টি বাংলাদেশের অনুকূলে রয়েছে। ভারতের অনুকূলে রয়েছে মাত্র পাঁচটি। সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক মূল্যায়নে এক চিত্র দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশের অনুকূলে থাকা ইসু্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয় স্থাপনে আশ্বাস, ঢাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণ, ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সুবিধা, বাংলাবান্ধা সীমানত্মে নেপাল ও ভুটানে যানবাহন চলাচল, বিএসটিআইয়ের আধুনিকায়নে ভারতের সহযোগিতা, ২৫০ মেগাওয়াট বিদু্যত আমদানি, টিপাইমুখ প্রকল্পের ব্যাপারে দিলস্নীর আশ্বাস, নদী খনন, তিসত্মা ও অন্যান্য নদীর পানি বণ্টনে ভারতের অবস্থান, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগে ট্রানজিট সুবিধা, দহগ্রাম ও আঙ্গুরপোতা ছিটমহলে বিদু্যতায়ন ও ফ্লাইওভার নির্মাণ, সীমানত্মে প্রাণহানি রোধ, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনর্প্রবর্তনে ভারতের প্রশংসা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইন্দিরা গান্ধী শানত্মি পুরস্কার প্রাপ্তি। আশুগঞ্জ বন্দরের ভারতের পোর্ট অব কল সুবিধা, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার, ইছামতি নদী খনন ও সুরক্ষা এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য পদ লাভে বাংলাদেশের সমর্থনের অঙ্গীকার ভারতের অনুকূলে রয়েছে বলে এতে উলেস্নখ করা হয়।
No comments