দৈনিক নূ্যনতম ৮ ঘন্টা পড়ালেখা করতে হবে- শিৰকের পরামর্শ
ব্রাদার লিও পেরেরা সিএসসি সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১। ২০১০ সালে অনুষ্ঠিতব্য এস,এস,সি পরীৰার্থীদের সামনে প্রায় এক মাস আছে_ ফেব্রম্নয়ারি মাসের ১১ তারিখ থেকে পরীৰা শুরম্ন।
বাকি সময়টুকু আছে পরীৰার্থীরা যেভাবে ব্যবহার করবে : # প্রত্যেকজন পরীৰার্থীকে সুস্থ থাকতে হবে। রম্নটিন করে দৈনিক নূ্যনতম ৮ ঘন্টা ব্যক্তিগত পড়ালেখা করতে হবে। সম্পূর্ণ পাঠ্যপুসত্মক খুব ভালভাবে পড়তে হবে এবং সাথে সাথে লিখতে হবে। তিন সত্মরের প্রস্তুতি থাকতে হবে। কিছু উত্তর খুব ভালভাবে আয়ত্ত করা, মধ্যম ধরনের ও তুলনামূলক কম ভাল আয়ত্ত করা। মাঝে মাঝে শ্রেণীসাথীদের ও শিৰকদের সাথে বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা উচিত। বিভিন্ন প্রশ্নের সঠিক ও বিসত্মারিত উত্তরগুলো আয়ত্ত করার বিষয় গুরম্নত্ব দিতে হবে এবং একাধিকবার পুনরালোচনা করার বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। আমি মনে করি, পড়ালেখাটা উপভোগ করাটা গুরম্নত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার।২০১০ সালের শিৰার্থীদের জন্য একটি গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয় হলো সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর লিখন। এর জন্য ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। সচেতনভাবে ও গুরম্নত্বসহকারে প্রশ্নোত্তরের চারটি সত্মর_জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দৰতা_ ভালভাবে বুঝে ও চিহ্নত করে লিখবে। প্রাসঙ্গিক, প্রয়োজনীয় ও যৌক্তিক কথায় উত্তর লিখতে চেষ্টা করবে।
২। পরীৰার্থীদের দৈনন্দিন রম্নটিন যেমন হওয়া উচিত বলে মনে করি :
# রম্নটিন করে দৈনিক ৮ ঘন্টা ব্যক্তিগত পড়ালেখা এবং পঠিত বিষয় মূল্যায়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় সময় রাখতে হবে। প্রতিদিন প্রয়োজনীয় বিশ্রাম, কিছু সময় লেখাধুলা/চিত্তবিনোদন করলে ভাল যেন শরীর ও মন বিশ্রাম পায়। দিনের বেলা পড়ালেখা ও রাতে বিশ্রাম নিতে হবে। কঠিন বিষয়গুলোর জন্য বেশি সময় দিতে হবে। নিয়মিত ও সুসম খাদ্য খেতে হবে।
৩। বিদ্যায়তনে পরীৰার্থীদের এই সময়টুকুতে যেভাবে চূড়ানত্ম পরীৰার উপযোগী করে তোলা যায় :
# কোন কোন ৰেত্রে বিশেষ ক্লাসের প্রয়োজন পড়ে, কোন কোন পরীৰার্থীদের ব্যক্তিগত এবং দলগত দিকনির্দেশনা দরাকার হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী পরীৰা নেয়া, পড়ালেখার জন্য বিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধাগুলো ও শিৰকদের পরীৰার্থীদের জন্য সহজলভ্য করা। পড়ালেখা করা ও ভাল ফলের জন্য পরীৰার্থীদের উজ্জীবিত করে তোলা গুরম্নত্বপূর্ণ।
৪। পরীৰার্থীকে পাস ও ভাল গ্রেড পাওয়ার জন্য যা করা যেতে পারে :
# পরীৰার্থীর নিজের ভেতর পাস করার প্রত্যয় ও পরিবেশ তৈরি করা খুব গুরম্নত্বপূর্ণ। প্রথমে প্রত্যেক পরীৰার্থীকে ৩৫-৪০ নম্বর পাওয়ার মতো করে প্রস্তুতি নিতে হবে। কম ও সহজ বিষয়গুলো নিয়ে পরীৰার্থীদের সাথে কাজ করতে হবে। যারা ভাল ফল করতে চায়, বেশি পরিশ্রম করার সাহস রাখে, তাদের বেশি পরিশ্রম করতে হবে, সৃজনশীল উত্তর লিখতে হবে এবং কাজ করতে হবে বোশ সময় ও কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে।
৫। জিপিএ ৫.০০ পাওয়ার জন্য যা করা যেতে পারে :
# জিপিএ ৫.০০ পাওয়া নির্ভর করে দীর্ঘমেয়াদী পড়ালেখা ওপর। তবে তাৎৰণিক প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে_ হাতের লেখা সুন্দর হতে হবে। পরীৰার উত্তরপত্র দৃষ্টিনন্দন হতে হবে। একাধিক বইয়ের সাহায্য নিয়ে নোট তৈরি করতে হবে। উত্তরগুলো মৌলিক, যৌক্তিক, ব্যাপক ও স্পষ্ট হতে হবে। উত্তরের সৃজনশীলতা ও স্বকীয়তা থাকতে হবে। তুলনামূলকভাবে বেশি তথ্য থাকতে হবে। সব প্রশ্নের উত্তর ও পুনরায় পড়ে নিশ্চিত করতে হবে।
৬। বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিৰা ও মানবিক শাখার ৰেত্রে প্রস্তুতি যে রকম হতে পারে:
# বিজ্ঞান শাখার পাঠ্যপুসত্মকভিত্তিক সঠিক, পূর্ণাঙ্গ তথ্য, ব্যবহারিক পরীৰা ও খাতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনীয় চিত্র, গ্রাফ, চার্ট ব্যবহার করতে হবে।
# ব্যবসায় শিৰা ও মানবিক শাখায়, বইয়ের তথ্যের সাথে প্রাসঙ্গিক আলোচনা ও সমসাময়িক ব্যাখ্যা দেয়া, উদাহরণ দেয়া ও উত্তরগুলো একটু আকারে বড় করলে ভাল।
৭। এ সময় অভিভাবকগণ যা করতে পারেন :
# পরীৰার্থীর তদারকি ও পর্যবেৰণ করা দরকার। পরীৰার্থীর সুস্থতা, খাওয়া ও বিশ্রামের দিক লৰ্য রাখতে হবে। দিনের বেলা ও ভোরে পড়ালেখা করা ও গভীর রাতে পড়তে না দেয়া, কিছু চিত্তবিনোদন ও হাল্্কা খেলাধুলা করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন কিছুই অতিরিক্ত না হয়ে যায়।
৮। পরীৰার্থীদের মান উন্নয়নে যা করা যেতে পারে :
# পরীৰায় ভাল জিপিএ পাওয়া সবারই আশা, একই সাথে বিষয়ভিত্তিক গভীর ও ব্যাপক জ্ঞান অর্জন ও উচ্চ মার্গের মানুষ হওয়াও গুরম্নত্বপূর্ণ। পরীৰার্থীদেরকে তিনদিকেই গুরম্নত্ব দিতে হবে ও অর্জন করতে হবে। তবে পরীৰার ঠিক পূর্ববর্তী সময়ে পাঠ্যপুসত্মক পড়া ও লেখার চর্চা করা, শিৰকদের পরামর্শ নেয়া ও সময় বেঁধে নিয়মিত পড়ালেখা করা গুরম্নত্ব পূর্ণ। উত্তরের স্বকীয়তা, মৌলিকতা ও সৃজনশীলতা উত্তরের মান উন্নত করবে।
সকল পরীৰার্থীর প্রতি আমার শুভেচ্ছা ও প্রার্থনা রইলো। সবাই ভাল ও সুস্থ থেকে পরীৰাগুলো লিখ, যেন প্রত্যাশিত ফল অর্জন করতে পার।
No comments