সীমান্ত থেকে ফের দুই বাংলাদেশীকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ- চাঁপাইতে গুলিতে আহত ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে বুধবার রাতে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশী আহত হয়েছে। এ সময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে অপর একজনকে আটক করেছে বিএসএফ।
এদিকে চুয়াডাঙ্গার মোদিনীপুর সীমান্ত থেকে আবারও এক বাংলাদেশীকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। বুধবার রাতে ভারত থেকে গরু নিয়ে আসার পথে পুটখালী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা রিপনকে আটক করে। খবর নিজস্ব সংবাদদাদের।নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জানিয়েছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কিরণগঞ্জ সীমান্তে বুধবার রাত ৮টার দিকে বিএসএফর গুলিতে উপজেলার জমিনপুর গ্রামের তমাসের ছেলে মোঃ শাহীন (২৫) আহত হন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মন্জুরুল আলম জানান, কিরণগঞ্জ সীমান্তের ১৭৯ নং পিলারের পাশ দিয়ে শাহীন ও তার সঙ্গী ইমরান ভারতে প্রবেশের সময় মালদহ ১২৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চুড়ি অনন্তপুর ক্যাম্পের জওয়ানরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় শাহীন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ইমরানকে আটক করেছে বিএসএফ ।
এদিকে এ ঘটনায় শিবগঞ্জের জমিনপুর সীমান্তে বৃহস্পতিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় রক্ষীবাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কিরণগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুর রাশেদ ও বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন চুড়ি অনন্তপুর ক্যাম্পের কমান্ডার অমিত কুমার সিং।
বৈঠকে বিজিবি বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশী আহতের প্রতিবাদ জানিয়েছে। এছাড়া আটক ইমরানকে ফেরত চাইলেও বিএসএফ জানিয়েছে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাকে ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা চুয়াডাঙ্গা থেকে জানিয়েছেন, জীবননগর উপজেলার মোদিনীপুর সীমান্ত থেকে আবারও এক বাংলাদেশী নাগরিককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। বুধবার রাতে ভারত থেকে গরু নিয়ে বাংলাদেশে আসার পথে রিপন নামের ওই বাংলাদেশীকে ধরে নিয়ে যায় পুটখালী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা। এ নিয়ে গত ২০ দিনে ৪ বাংলাদেশীকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেল। আটককৃতরা সবাই ভারতের কারাগারে রয়েছে।
রিপন জীবননগর উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে ওই বাংলাদেশী নাগরিককে ফেরত চেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বিএসএফকে পত্র প্রেরণ করা হলেও বিএসএফ তাতে সাড়া দেয়নি।
No comments