উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব- চৌরাসিয়ার বাঁশি মুখরিত প্রাণে by আশীষ-উর-রহমান
রাত দেড়টায় তিনি মঞ্চে এলেন। শীতের রাত, মানে গভীর রাত। ঢাকা শহর তলিয়ে আছে ঘুমে। রাতজাগা পাখির মতো জেগে আছে শুধু রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম। হাজার হাজার উৎসুক শ্রোতার অধীর অপেক্ষা—ঠিক এই মুহূর্তটির জন্য।
মেরুন পাঞ্জাবির ওপর ঘিয়ে রঙের জহর কোট পরা ৭৪ বছর বয়সী মানুষটি মঞ্চে এসে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই স্টেডিয়াম-পূর্ণ দর্শক-শ্রোতা উঠে দাঁড়িয়ে বিপুল করতালি দিয়ে অভিবাদন জানালেন তাঁকে।
বলছি বাঁশির জীবন্ত কিংবদন্তি পদ্মবিভূষণ পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার কথা। তাঁর জন্যই প্রতীক্ষা!
গত রোববার বেঙ্গল-আইটিসি এসআরএ উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের শেষ দিনের অধিবেশনে ছিল হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশিবাদন। এই উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল প্রথম আলো। এ ছাড়া সহযোগিতায় ছিল দ্য ডেইলি স্টার ও মাছরাঙা টেলিভিশন।
শ্রোতাদের অভিবাদনের প্রত্যুত্তরে করজোড়ে বিনয় প্রকাশ করলেন পণ্ডিতজি। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাঁশিতে ছোঁয়ালেন ঠোঁট। পুরো স্টেডিয়াম স্তব্ধ। মৌনতা ভেঙে দিল মায়াবী সুরের মূর্ছনা। এটি ছিল একটি বিশেষ আঙ্গিকের সৃজনশীল পরিবেশনা। তাঁর এই প্রথম পরিবেশনাটির সঙ্গে তবলায় তিনতালের বোল তুললেন পণ্ডিত শুভংকর ব্যানার্জি। পাখোয়াজে ছিলেন ভবানী শংকর। ঘণ্টা খানেক মন্দ্র-মন্থর, মধ্যম ও দ্রুত লয়ের বাদন শেষে থামলেন তিনি।
শ্রোতাদের করতালির বৃষ্টি স্তিমিত হয়ে এলে তাঁদের কাছে জানতে চাইলেন, ‘এবার কী শুনবেন?’ শ্রোতাদের অনুরোধে বাজালেন ‘হংসধ্বনি’। হংসধ্বনি রাগের পরিবেশনাটি দারুণ উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল বাঁশির সঙ্গে তবলার সওয়াল-জওয়াবে। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শ্রোতারা নাছোড়। আবার বাঁশি হাতে তুলে নিলেন তিনি। বাঁশিতে বেজে উঠল কীর্তনের লীলায়িত নৃত্য-ছন্দের মোহন সুর। কীর্তন শুরু হলে সমবেত করতালির বোল উঠল দর্শকদের মধ্য থেকে, তা ছিল সুরের তালে তাল মিলিয়ে শিল্পীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাওয়া। সেই একাত্মতা ছিন্ন হলো, যখন বাঁশি নামিয়ে রাখলেন পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া।
রাত সাড়ে তিনটা পেরিয়ে গেছে। শ্রোতাদের হূদয় সুরে ভরিয়ে দিয়ে তখন মঞ্চ ছাড়ছেন শিল্পী।
বলছি বাঁশির জীবন্ত কিংবদন্তি পদ্মবিভূষণ পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার কথা। তাঁর জন্যই প্রতীক্ষা!
গত রোববার বেঙ্গল-আইটিসি এসআরএ উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের শেষ দিনের অধিবেশনে ছিল হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশিবাদন। এই উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল প্রথম আলো। এ ছাড়া সহযোগিতায় ছিল দ্য ডেইলি স্টার ও মাছরাঙা টেলিভিশন।
শ্রোতাদের অভিবাদনের প্রত্যুত্তরে করজোড়ে বিনয় প্রকাশ করলেন পণ্ডিতজি। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাঁশিতে ছোঁয়ালেন ঠোঁট। পুরো স্টেডিয়াম স্তব্ধ। মৌনতা ভেঙে দিল মায়াবী সুরের মূর্ছনা। এটি ছিল একটি বিশেষ আঙ্গিকের সৃজনশীল পরিবেশনা। তাঁর এই প্রথম পরিবেশনাটির সঙ্গে তবলায় তিনতালের বোল তুললেন পণ্ডিত শুভংকর ব্যানার্জি। পাখোয়াজে ছিলেন ভবানী শংকর। ঘণ্টা খানেক মন্দ্র-মন্থর, মধ্যম ও দ্রুত লয়ের বাদন শেষে থামলেন তিনি।
শ্রোতাদের করতালির বৃষ্টি স্তিমিত হয়ে এলে তাঁদের কাছে জানতে চাইলেন, ‘এবার কী শুনবেন?’ শ্রোতাদের অনুরোধে বাজালেন ‘হংসধ্বনি’। হংসধ্বনি রাগের পরিবেশনাটি দারুণ উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল বাঁশির সঙ্গে তবলার সওয়াল-জওয়াবে। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শ্রোতারা নাছোড়। আবার বাঁশি হাতে তুলে নিলেন তিনি। বাঁশিতে বেজে উঠল কীর্তনের লীলায়িত নৃত্য-ছন্দের মোহন সুর। কীর্তন শুরু হলে সমবেত করতালির বোল উঠল দর্শকদের মধ্য থেকে, তা ছিল সুরের তালে তাল মিলিয়ে শিল্পীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাওয়া। সেই একাত্মতা ছিন্ন হলো, যখন বাঁশি নামিয়ে রাখলেন পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া।
রাত সাড়ে তিনটা পেরিয়ে গেছে। শ্রোতাদের হূদয় সুরে ভরিয়ে দিয়ে তখন মঞ্চ ছাড়ছেন শিল্পী।
No comments