আজ জামায়াতের হরতাল বিএনপির নৈতিক সমর্থন
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের সামনেসহ সারা দেশে সমাবেশ করার অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের এই হরতালের প্রতি তাদের জোটের প্রধান দল বিএনপি নৈতিক সমর্থন দিয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, 'জামায়াতে ইসলামীকে শান্তিপূর্ণ জনসভা অনুষ্ঠানে সরকারি বাধা প্রদানের অন্যায়, বেআইনি ও স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদে তাদের ডাকা হরতাল কর্মসূচি যৌক্তিক এবং গণতান্ত্রিক।'
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জামায়াতের কর্মসূচি বানচালের জন্য পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীদের মাঠে নামানোর নির্দেশ ন্যক্কারজনক। এ ঘটনায় সরকার দেশকে রাজনৈতিক সংঘাতের পথে ঠেলে দিচ্ছে। এ অবস্থায় নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী জনগণ দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীরভাবে শঙ্কিত। দেশের এমন পরিস্থিতিতে জামায়াতের ডাকা হরতাল কর্মসূচির প্রতি বিএনপি নৈতিক সমর্থন ঘোষণা করছে। এর আগে দুপুরে মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়া সংবিধান পরিপন্থী।
হরতাল আহ্বান প্রসঙ্গে গতকাল জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান জানান, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক শীর্ষ নেতাদের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ (গতকাল সোমবার) সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েও অনুমতি পায়নি জামায়াতে ইসলামী। তিনি বলেন, 'উপরন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর মিডিয়ার সামনে অত্যন্ত কড়া ও রূঢ় ভাষায় বলেছেন, ঢাকাসহ দেশের কোথাও জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশ ও মিছিল করতে দেওয়া হবে না। নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচির অনুমতি না পেয়ে তাই জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল পালন করার আহ্বান জানাচ্ছি।'
জামায়াতের হরতাল আহ্বানের প্রতি বিএনপির পাশাপাশি ১৮ দলীয় জোটের কয়েকটি শরিক দলও সমর্থন দিয়েছে। তবে হরতাল সফল করার জন্য কোনো শরিক দলই সরাসরি মাঠে থাকছে না বলে সূত্র জানায়।
গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের মহাসচিব পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক হয়। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি ছাড়াও জামায়াতকে সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় ওঠে বলে একটি সূত্র জানায়। শরিক দলগুলোর মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বিরোধী দলকে সভা-সমাবেশ করতে বাধা দিচ্ছে। আবেদন জানানোর পরও জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। মির্জা ফখরুল ইসলামের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, এই হরতালের প্রতি বিএনপির সমর্থন আছে কি না? তিনি বলেন, 'এ ব্যাপারে আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার পর বিষয়টি জানানো হবে।' গত রাতেই গুলশানে নিজ কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে জামায়াতের হরতালের প্রতি নৈতিক সমর্থন জানানো হয়। অন্যদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জামায়াতের হরতালের প্রতি বিএনপি নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে।
এদিকে জোটের শরিক ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আব্দুল লতিফ নেজামী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মাঠে না থাকলেও জামায়াতের হরতালের প্রতি ইসলামী ঐক্যজোটের নৈতিক সমর্থন রয়েছে।' শরিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) মহাসচিব এ গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রাজপথে সমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে জামায়াত হরতালের ডাক দিয়েছে। এই হরতালকে আমরা নৈতিকভাবে সমর্থন করি। কিন্তু হরতাল সফলে মাঠে-ময়দানে আমরা থাকব না।'
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জামায়াতের কর্মসূচি বানচালের জন্য পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীদের মাঠে নামানোর নির্দেশ ন্যক্কারজনক। এ ঘটনায় সরকার দেশকে রাজনৈতিক সংঘাতের পথে ঠেলে দিচ্ছে। এ অবস্থায় নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী জনগণ দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীরভাবে শঙ্কিত। দেশের এমন পরিস্থিতিতে জামায়াতের ডাকা হরতাল কর্মসূচির প্রতি বিএনপি নৈতিক সমর্থন ঘোষণা করছে। এর আগে দুপুরে মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়া সংবিধান পরিপন্থী।
হরতাল আহ্বান প্রসঙ্গে গতকাল জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান জানান, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক শীর্ষ নেতাদের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ (গতকাল সোমবার) সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েও অনুমতি পায়নি জামায়াতে ইসলামী। তিনি বলেন, 'উপরন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর মিডিয়ার সামনে অত্যন্ত কড়া ও রূঢ় ভাষায় বলেছেন, ঢাকাসহ দেশের কোথাও জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশ ও মিছিল করতে দেওয়া হবে না। নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচির অনুমতি না পেয়ে তাই জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল পালন করার আহ্বান জানাচ্ছি।'
জামায়াতের হরতাল আহ্বানের প্রতি বিএনপির পাশাপাশি ১৮ দলীয় জোটের কয়েকটি শরিক দলও সমর্থন দিয়েছে। তবে হরতাল সফল করার জন্য কোনো শরিক দলই সরাসরি মাঠে থাকছে না বলে সূত্র জানায়।
গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের মহাসচিব পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক হয়। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি ছাড়াও জামায়াতকে সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় ওঠে বলে একটি সূত্র জানায়। শরিক দলগুলোর মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বিরোধী দলকে সভা-সমাবেশ করতে বাধা দিচ্ছে। আবেদন জানানোর পরও জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। মির্জা ফখরুল ইসলামের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, এই হরতালের প্রতি বিএনপির সমর্থন আছে কি না? তিনি বলেন, 'এ ব্যাপারে আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার পর বিষয়টি জানানো হবে।' গত রাতেই গুলশানে নিজ কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে জামায়াতের হরতালের প্রতি নৈতিক সমর্থন জানানো হয়। অন্যদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জামায়াতের হরতালের প্রতি বিএনপি নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে।
এদিকে জোটের শরিক ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আব্দুল লতিফ নেজামী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মাঠে না থাকলেও জামায়াতের হরতালের প্রতি ইসলামী ঐক্যজোটের নৈতিক সমর্থন রয়েছে।' শরিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) মহাসচিব এ গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রাজপথে সমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে জামায়াত হরতালের ডাক দিয়েছে। এই হরতালকে আমরা নৈতিকভাবে সমর্থন করি। কিন্তু হরতাল সফলে মাঠে-ময়দানে আমরা থাকব না।'
No comments