হঠাৎ ডাকা হরতালে লণ্ডভণ্ড পরীক্ষার সূচি by অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য
রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী আচমকা হরতাল ডেকে বসায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার সময়সূচি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার স্কুলগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা ও কলেজে অনার্স পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। অনিবার্য কারণে কর্তৃপক্ষ এসব পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।
এর ফলে পুরো মাসের শিক্ষা ক্যালেন্ডার বাস্তবায়নে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। একই সঙ্গে ঢাকায় ২৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম বিতরণও স্থগিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সারা দেশের কলেজে ২০১০ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা ছিল আজ। হরতাল ডাকার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত করেছে। একইভাবে সারা দেশের সব স্কুলে অনুষ্ঠেয় বার্ষিক পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
অনেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে কালের কণ্ঠকে বলেছে, পরীক্ষার সময় এভাবে হরতাল দেওয়ার কোনো অর্থ তারা খুুঁজে পাচ্ছে না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বলছেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সব স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে। এখন প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আজকের স্থগিত হওয়া পরীক্ষার নতুন সময়সূচি নিয়ে ভাবতে হবে। তবে রাজধানীর কিছু কিছু বেসরকারি স্কুল স্থগিত হওয়া পরীক্ষাটি আগামী শুক্রবার নেবে বলে জানিয়েছে। সরকারি স্কুল শুক্রবার পরীক্ষা নেবে কি না, এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গতকালই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সব স্কুলকে মঙ্গলবারের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে। মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশীদ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মাউশির আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের এই নির্দেশ দেন। সারা দেশে মাউশির ৯টি আঞ্চলিক দপ্তর রয়েছে। এর আগে হরতালের কারণে মাউশি এভাবে স্কুলের পরীক্ষা স্থগিত করার নির্দেশ দেয়নি।
জানতে চাইলে মহাপরিচালক নোমান উর রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নিরাপত্তার স্বার্থে পরীক্ষা স্থগিত করা হলো'। তিনি বলেন, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য স্কুলে যাওয়া বাচ্চাদের রাস্তায় কিছু হলে দায় নেবে কে? এ জন্য সবকিছু বিবেচনা করে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা শেষে সারা দেশেই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হরতালের খবর শুনে রাজধানী ঢাকার কিছু কিছু স্কুল দুপুরের পরই আজকের পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। সন্ধ্যার কিছু আগে মাউশি মহাপরিচালক স্থগিতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা জানান।
মাউশির সিলেট আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, সন্ধ্যার কিছু আগে পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশনা জানানো হয়। ইতিমধ্যে সিলেট বিভাগের সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি জানিয়ে দেই। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা স্কুলে স্কুলে পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি জানাবেন।
ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক এ কে এম মোস্তফা কামাল বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়েছে। স্থগিত পরীক্ষাটি পরে নেওয়া হবে। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকার ২৪ সরকারি স্কুলের ভর্তি ফরম বিতরণও আজ স্থগিত থাকবে বলে তিনি জানান।
রাজধানীর ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, মঙ্গলবার প্রথম থেকে চতুর্থ এবং ষষ্ঠ, সপ্তম ও নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা ছিল। একটি দল হরতাল ডাকায় পরীক্ষা স্থগিত করতে হয়েছে। আজকে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম বলেন, হরতালের কারণে বিভিন্ন শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ষষ্ঠ, সপ্তম ও নবম শ্রেণীর পরীক্ষা আগামী শুক্রবার ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে।
মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ হাফিজুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে স্থগিত হওয়া পরীক্ষার সময়সূচি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সারা দেশের কলেজে ২০১০ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা ছিল আজ। হরতাল ডাকার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত করেছে। একইভাবে সারা দেশের সব স্কুলে অনুষ্ঠেয় বার্ষিক পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
অনেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে কালের কণ্ঠকে বলেছে, পরীক্ষার সময় এভাবে হরতাল দেওয়ার কোনো অর্থ তারা খুুঁজে পাচ্ছে না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বলছেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সব স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে। এখন প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আজকের স্থগিত হওয়া পরীক্ষার নতুন সময়সূচি নিয়ে ভাবতে হবে। তবে রাজধানীর কিছু কিছু বেসরকারি স্কুল স্থগিত হওয়া পরীক্ষাটি আগামী শুক্রবার নেবে বলে জানিয়েছে। সরকারি স্কুল শুক্রবার পরীক্ষা নেবে কি না, এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গতকালই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সব স্কুলকে মঙ্গলবারের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে। মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশীদ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মাউশির আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের এই নির্দেশ দেন। সারা দেশে মাউশির ৯টি আঞ্চলিক দপ্তর রয়েছে। এর আগে হরতালের কারণে মাউশি এভাবে স্কুলের পরীক্ষা স্থগিত করার নির্দেশ দেয়নি।
জানতে চাইলে মহাপরিচালক নোমান উর রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নিরাপত্তার স্বার্থে পরীক্ষা স্থগিত করা হলো'। তিনি বলেন, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য স্কুলে যাওয়া বাচ্চাদের রাস্তায় কিছু হলে দায় নেবে কে? এ জন্য সবকিছু বিবেচনা করে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা শেষে সারা দেশেই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হরতালের খবর শুনে রাজধানী ঢাকার কিছু কিছু স্কুল দুপুরের পরই আজকের পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। সন্ধ্যার কিছু আগে মাউশি মহাপরিচালক স্থগিতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা জানান।
মাউশির সিলেট আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, সন্ধ্যার কিছু আগে পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশনা জানানো হয়। ইতিমধ্যে সিলেট বিভাগের সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি জানিয়ে দেই। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা স্কুলে স্কুলে পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি জানাবেন।
ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক এ কে এম মোস্তফা কামাল বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়েছে। স্থগিত পরীক্ষাটি পরে নেওয়া হবে। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকার ২৪ সরকারি স্কুলের ভর্তি ফরম বিতরণও আজ স্থগিত থাকবে বলে তিনি জানান।
রাজধানীর ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, মঙ্গলবার প্রথম থেকে চতুর্থ এবং ষষ্ঠ, সপ্তম ও নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা ছিল। একটি দল হরতাল ডাকায় পরীক্ষা স্থগিত করতে হয়েছে। আজকে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম বলেন, হরতালের কারণে বিভিন্ন শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ষষ্ঠ, সপ্তম ও নবম শ্রেণীর পরীক্ষা আগামী শুক্রবার ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে।
মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ হাফিজুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে স্থগিত হওয়া পরীক্ষার সময়সূচি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
No comments