আ.লীগের মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন- স্বাধীনতার চেতনা নস্যাৎকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যারা স্বাধীনতার চেতনা নস্যাৎ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যাতে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি আঘাত হানতে না পারে।
গতকাল সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনের পাশে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।
গতকাল দুপুর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা থেকে মিছিল নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ শিখা চিরন্তনের সামনে সমবেত হন। তাঁদের মুখে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি ধ্বনিত হয়।
বিজয়ের মাসে বিরোধী দলের কর্মসূচির তীব্র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, বিরোধীদলীয় নেত্রী এই বিজয়ের মাসে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছেন। কিসের আন্দোলন? কার বিরুদ্ধে আন্দোলন? এটা কি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য? পরাজিত শক্তি ডিসেম্বর মাসে আত্মসমর্পণ করায় উনি কি ব্যথা পেয়েছেন? পরাজিত শক্তির সঙ্গে হাত মেলাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছেন? উনি কি বিজয় চাননি? আর এ কারণেই ডিসেম্বরকে আন্দোলনের মাস হিসেবে বেছে নিয়েছেন? জাতির কাছে এর বিচারের ভার দিলাম।’
শেখ হাসিনা বলেন, যারা অর্থসম্পদ লুটপাট করেছে, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছে, স্বাধীনতার চেতনা নস্যাৎ করেছে এবং করতে চায়, সময় এসেছে তাদের বিরুদ্ধে জাগ্রত হওয়ার। পরাজিত শক্তি আর যেন স্বাধীনতার ওপর ছোবল মারতে না পারে, সে জন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকার, আলবদর, স্বাধীনতাবিরোধীদের সাধ্য নেই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, অগ্রগতি নস্যাৎ করার। আমরা আলোর পথের যাত্রী। বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে চায়। তারা জানতে চায়, কারা লুটপাট করেছিল, কারা ঘরবাড়ি জ্বালিয়েছিল, ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল। এটাও জানতে চায়, কারা স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। তারা গণহত্যার বিচার চায়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করেন। সংবিধান সংশোধন করে তাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেন। রাজনীতি করার অধিকার দেন। স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেন। পাল্টে দেওয়া হয় ইতিহাস। একুশ বছর পর ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে আমরা তুলে ধরি। ইতিহাস জাগ্রত করতে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার, কেবল তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য নয়; তাঁকে দরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এ সময় সভামঞ্চে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন: এর আগে গতকাল সকাল সাতটায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মাসব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রথমে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর আওয়ামী লীগের সভনেত্রী হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এ মাসের শেষের দিকে যুদ্ধাপরাধীদের রায় আসা শুরু হবে। বিষয়টা ওরা জানতে পেরেছে বলেই মরিয়া হয়ে উঠেছে। চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূরে রেখে বিজয়ের মাসে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। এটাই হওয়া উচিত।’ স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘রায় কী হবে জানি না। এটা আদালতের বিষয়। তবে আশা করি, জাতি যা চায়, এই রায়ে তা প্রতিফলিত হবে।’
গতকাল দুপুর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা থেকে মিছিল নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ শিখা চিরন্তনের সামনে সমবেত হন। তাঁদের মুখে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি ধ্বনিত হয়।
বিজয়ের মাসে বিরোধী দলের কর্মসূচির তীব্র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, বিরোধীদলীয় নেত্রী এই বিজয়ের মাসে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছেন। কিসের আন্দোলন? কার বিরুদ্ধে আন্দোলন? এটা কি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য? পরাজিত শক্তি ডিসেম্বর মাসে আত্মসমর্পণ করায় উনি কি ব্যথা পেয়েছেন? পরাজিত শক্তির সঙ্গে হাত মেলাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছেন? উনি কি বিজয় চাননি? আর এ কারণেই ডিসেম্বরকে আন্দোলনের মাস হিসেবে বেছে নিয়েছেন? জাতির কাছে এর বিচারের ভার দিলাম।’
শেখ হাসিনা বলেন, যারা অর্থসম্পদ লুটপাট করেছে, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছে, স্বাধীনতার চেতনা নস্যাৎ করেছে এবং করতে চায়, সময় এসেছে তাদের বিরুদ্ধে জাগ্রত হওয়ার। পরাজিত শক্তি আর যেন স্বাধীনতার ওপর ছোবল মারতে না পারে, সে জন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকার, আলবদর, স্বাধীনতাবিরোধীদের সাধ্য নেই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, অগ্রগতি নস্যাৎ করার। আমরা আলোর পথের যাত্রী। বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে চায়। তারা জানতে চায়, কারা লুটপাট করেছিল, কারা ঘরবাড়ি জ্বালিয়েছিল, ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল। এটাও জানতে চায়, কারা স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। তারা গণহত্যার বিচার চায়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করেন। সংবিধান সংশোধন করে তাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেন। রাজনীতি করার অধিকার দেন। স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেন। পাল্টে দেওয়া হয় ইতিহাস। একুশ বছর পর ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে আমরা তুলে ধরি। ইতিহাস জাগ্রত করতে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার, কেবল তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য নয়; তাঁকে দরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এ সময় সভামঞ্চে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন: এর আগে গতকাল সকাল সাতটায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মাসব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রথমে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর আওয়ামী লীগের সভনেত্রী হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এ মাসের শেষের দিকে যুদ্ধাপরাধীদের রায় আসা শুরু হবে। বিষয়টা ওরা জানতে পেরেছে বলেই মরিয়া হয়ে উঠেছে। চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূরে রেখে বিজয়ের মাসে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। এটাই হওয়া উচিত।’ স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘রায় কী হবে জানি না। এটা আদালতের বিষয়। তবে আশা করি, জাতি যা চায়, এই রায়ে তা প্রতিফলিত হবে।’
No comments