শান্ত হয়নি আশুলিয়া-আবারও শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ৫০ জন আহত, ৩০ কারখানা ছুটি
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের কয়েকটি স্থানে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল সোমবার পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক। সংঘর্ষ চলাকালে আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়কে প্রায় ঘণ্টাখানেক যানচলাচল বন্ধ ছিল।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অন্তত ৩০টি পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জামগড়া এলাকায় অবস্থিত কোরিয়ান মালিকানাধীন রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান হিউন অ্যাপারেলস লিমিটেডে শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে গতকাল শিল্পাঞ্চলের জামগড়া, শিমুলতলা ও সরকার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। হিউন অ্যাপারেলসের শ্রমিকরা সকাল ৮টায় কাজে এসে জানতে পারে রবিবার ছাঁটাই হওয়া ১০১ জনকে পুনর্বহাল করা হয়নি। এ খবরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসে এবং আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়। ওই সব কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় নামতে রাজি না হলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানাগুলোতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। এ অবস্থায় জামগড়া, শিমুলতলা, সরকার মার্কেটসহ আশপাশের অন্তত ৩০টি পোশাক কারখানায় কর্তৃপক্ষ সোমবারের জন্য ছুটি ঘোষণা করে।
পরে হিউন অ্যাপারেলসের শ্রমিকদের সঙ্গে যোগ দেয় ছুটি হওয়া পোশাক কারখানার অনেক শ্রমিক। সকাল সাড়ে ৯টায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জামগড়া এলাকায় আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বেরন এলাকার শারমিন গ্রুপের এএম ডিজাইন লিমিটেড কারখানা এবং উইন্ডি গ্রুপ, এনভয় গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা। মহাসড়কে অবস্থান নেওয়া শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে লাঠিপেটা করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। সংঘর্ষে শ্রমিক, পুলিশ ও পথচারীসহ অন্তত ৩০-৩৫ জন আহত হয়। পরে সকাল ১১টায় মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
অন্যদিকে তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডের আগুনের ঘটনায় দোষী কর্মকর্তাদের শাস্তি এবং শ্রমিকদের বেতন ও পুনর্বাসনসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে গতকাল সকাল ৯টায় জিরাবো-বিশমাইল সড়কে নেমে আসে কাঠগড়া এলাকার অরুণিমা গ্রুপের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০-১৫ জন আহত হয়।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পরিচালক গোলাম রউফ কালের কণ্ঠকে জানান, সকালে জামগড়া বাসস্ট্যান্ডে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ সরিয়ে দিলে তারা বাইপাইল, জামগড়া, নরসিংহপুর, বেরন, জিরাবো, কাঠগড়া, পুকুরপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তবে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শিল্পাঞ্চলজুড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জলকামান ও সাঁজোয়াযানের টহল বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। র্যাবও টহল অব্যাহত রেখেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জামগড়া এলাকায় অবস্থিত কোরিয়ান মালিকানাধীন রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান হিউন অ্যাপারেলস লিমিটেডে শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে গতকাল শিল্পাঞ্চলের জামগড়া, শিমুলতলা ও সরকার মার্কেট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। হিউন অ্যাপারেলসের শ্রমিকরা সকাল ৮টায় কাজে এসে জানতে পারে রবিবার ছাঁটাই হওয়া ১০১ জনকে পুনর্বহাল করা হয়নি। এ খবরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসে এবং আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়। ওই সব কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় নামতে রাজি না হলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানাগুলোতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। এ অবস্থায় জামগড়া, শিমুলতলা, সরকার মার্কেটসহ আশপাশের অন্তত ৩০টি পোশাক কারখানায় কর্তৃপক্ষ সোমবারের জন্য ছুটি ঘোষণা করে।
পরে হিউন অ্যাপারেলসের শ্রমিকদের সঙ্গে যোগ দেয় ছুটি হওয়া পোশাক কারখানার অনেক শ্রমিক। সকাল সাড়ে ৯টায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জামগড়া এলাকায় আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বেরন এলাকার শারমিন গ্রুপের এএম ডিজাইন লিমিটেড কারখানা এবং উইন্ডি গ্রুপ, এনভয় গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা। মহাসড়কে অবস্থান নেওয়া শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে লাঠিপেটা করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। সংঘর্ষে শ্রমিক, পুলিশ ও পথচারীসহ অন্তত ৩০-৩৫ জন আহত হয়। পরে সকাল ১১টায় মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
অন্যদিকে তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডের আগুনের ঘটনায় দোষী কর্মকর্তাদের শাস্তি এবং শ্রমিকদের বেতন ও পুনর্বাসনসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে গতকাল সকাল ৯টায় জিরাবো-বিশমাইল সড়কে নেমে আসে কাঠগড়া এলাকার অরুণিমা গ্রুপের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০-১৫ জন আহত হয়।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পরিচালক গোলাম রউফ কালের কণ্ঠকে জানান, সকালে জামগড়া বাসস্ট্যান্ডে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ সরিয়ে দিলে তারা বাইপাইল, জামগড়া, নরসিংহপুর, বেরন, জিরাবো, কাঠগড়া, পুকুরপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তবে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শিল্পাঞ্চলজুড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জলকামান ও সাঁজোয়াযানের টহল বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। র্যাবও টহল অব্যাহত রেখেছে।
No comments