মন বাংলাদেশেই by সৈয়দ ইকবাল
শরীর কানাডা, মন বাংলাদেশ_ এই হচ্ছে কবি-গদ্যকার বন্ধু ইকবাল হাসান। আজই ৬০ বছরে পা দিচ্ছে। একঝাঁক উজ্জ্বল তরুণ সত্তর দশকে ঢাকায় নিজেদের প্রমাণ করতে যাত্রা শুরু করেছিল। আমি ছাড়া প্রায় সবাই আজ ভীষণ সফল। ইমদাদুল হক মিলনের লেখক প্রাপ্তি আকাশছোঁয়া।
আবিদ আজাদ, ত্রিদিব দস্তীদার না থেকেও মানুষের কণ্ঠে। শিহাব সরকার কবি ও সাংবাদিক, প্রতিষ্ঠিত। ফারুক ফয়সল বিশ্ব এনজিওর বড় কর্মকর্তা।
আমাদের শুরুর উত্তাল যৌবনকালে গুরু পেয়েছিলাম রাহাত খান, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, আবদুল মান্নান সৈয়দের মতো বিশিষ্ট মানুষদের।
মান্নান সৈয়দ আমার গল্প পছন্দ করতেন। তার চাপে সাহস করে 'কণ্ঠস্বরে' গল্প দেওয়ায় পরপর দুটি গল্প ছাপা হলো। আনন্দে ইকবাল হাসানকে দেখাতে গিয়ে দেখি আমার আগেই তার কবিতা সায়ীদ ভাই বারবার ছেপেছেন। শুধু এভাবেই নয়, নানাভাবে সে বারবার অতিক্রম করেছে আমাকে। তখন পর্দায় কবরীকে দেখলে চোখের পাতা পড়ত না আমার। অঞ্জনাকে দেখার সময় মুখ আমার গোল্ড ফিশের মতো হাঁ হয়ে যেত। এসব অপরূপ মানুষের সঙ্গে সামনাসামনি জীবনে দেখা হবে ভাবতে পারিনি। ইকবাল হাসান পূর্বাণী সূত্রে আমাকে বগলদাবা করে তাদের আসনে নিয়ে গিয়ে বসাল। ভয়ে কোনো কথাই বের হয়নি তখন। পরে অ্যাড ফার্ম বিটপীতে কাজ শুরু করেছি, নিজেকে স্মার্ট মনে করছি। ওর কবিতা সম্পর্কে বলার ক্ষমতা আমার নেই, আমি কবি নই। গল্প-উপন্যাসের সচ্ছল প্রাণময় ভাষা সে রপ্ত করেছে রাহাত খানের কাছে। ফিচারের বাস্তব বিষয়ের সঙ্গে আবেগ কীভাবে মিশাতে হয় জেনেছে গোলাম সারওয়ারের কাছে। একটা উদাহরণ দিলে বোঝা যাবে। মুনীর চৌধুরীর বিশাল পরিবারের প্রায় অনেকেই আমার ঘনিষ্ঠজন। আমার শিল্পগুরু আবদুল মুক্তাদীর ছিলেন মুনীর চৌধুরীর বোনের স্বামী। টরন্টোতে মিশুক মুনীর, মঞ্জুলী কাজী ভীষণ কাছের মানুষ। প্রথমবার ইকবাল হাসানকে তাদের বাসায় আড্ডায় নিয়ে যেতেই সে মিশুকের শিশুকাল ও বাবা শহীদ মুনীর চৌধুরীর প্রস্থান নিয়ে লিখে ফেলল 'সমকাল' পত্রিকায় 'চোখ ভেসে যায় জলে'। লেখাটি পড়ে কাঁদল বাংলাদেশ। কতদিন আমি মিশুক পরিবারে যাই, আমার দ্বারা তো হলো না এমন লেখা। একটি কথা না বললেই নয়, বাংলা একাডেমীতে একুশের বইমেলায় ইকবাল নেই, এ এক অতি বিরল ঘটনা। বন্ধুত্বে টানের কথা বলি, ২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে আমার মেয়ে অগি্নলার বিয়ে হচ্ছে। ওর মেয়ে সচী আর বন্ধুবর লুৎফুর রহমান রিটনকে নিয়ে কানাডা থেকে ঢাকা, এয়ারপোর্ট থেকে সোজা ইকবাল হাসান অফিসার্স ক্লাবে এসে হাজির। ও আসলে মানুষে-কবিতে মিলিয়ে এক অদ্ভুত প্রাণী। শুনেছি ইকবালরা সেই আল্লামা আমল থেকে প্রতিভাবান হয়। কেন অল্প একটু আমিও হলাম না আফসোস হয়। ইচ্ছা করে বন্ধু ইকবালের সঙ্গে বন্ধুত্বের যাপিত জীবন নিয়ে উপন্যাস লিখি 'অস্থির যুবরাজ', ওর জীবনটা ওরকম। তবে এটাও জানি, নিজে আলস্যে ভরপুর যে ফালতু মানুষ, না হয়েছে তেমন কিছু, না হবে। শুধু বন্ধু কবি ইকবাল হাসানকে বলতে ইচ্ছা করে_ জীবন যতদিন আছে যাপন কর নিজ আনন্দে! শুভ জন্মদিন।
আমাদের শুরুর উত্তাল যৌবনকালে গুরু পেয়েছিলাম রাহাত খান, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, আবদুল মান্নান সৈয়দের মতো বিশিষ্ট মানুষদের।
মান্নান সৈয়দ আমার গল্প পছন্দ করতেন। তার চাপে সাহস করে 'কণ্ঠস্বরে' গল্প দেওয়ায় পরপর দুটি গল্প ছাপা হলো। আনন্দে ইকবাল হাসানকে দেখাতে গিয়ে দেখি আমার আগেই তার কবিতা সায়ীদ ভাই বারবার ছেপেছেন। শুধু এভাবেই নয়, নানাভাবে সে বারবার অতিক্রম করেছে আমাকে। তখন পর্দায় কবরীকে দেখলে চোখের পাতা পড়ত না আমার। অঞ্জনাকে দেখার সময় মুখ আমার গোল্ড ফিশের মতো হাঁ হয়ে যেত। এসব অপরূপ মানুষের সঙ্গে সামনাসামনি জীবনে দেখা হবে ভাবতে পারিনি। ইকবাল হাসান পূর্বাণী সূত্রে আমাকে বগলদাবা করে তাদের আসনে নিয়ে গিয়ে বসাল। ভয়ে কোনো কথাই বের হয়নি তখন। পরে অ্যাড ফার্ম বিটপীতে কাজ শুরু করেছি, নিজেকে স্মার্ট মনে করছি। ওর কবিতা সম্পর্কে বলার ক্ষমতা আমার নেই, আমি কবি নই। গল্প-উপন্যাসের সচ্ছল প্রাণময় ভাষা সে রপ্ত করেছে রাহাত খানের কাছে। ফিচারের বাস্তব বিষয়ের সঙ্গে আবেগ কীভাবে মিশাতে হয় জেনেছে গোলাম সারওয়ারের কাছে। একটা উদাহরণ দিলে বোঝা যাবে। মুনীর চৌধুরীর বিশাল পরিবারের প্রায় অনেকেই আমার ঘনিষ্ঠজন। আমার শিল্পগুরু আবদুল মুক্তাদীর ছিলেন মুনীর চৌধুরীর বোনের স্বামী। টরন্টোতে মিশুক মুনীর, মঞ্জুলী কাজী ভীষণ কাছের মানুষ। প্রথমবার ইকবাল হাসানকে তাদের বাসায় আড্ডায় নিয়ে যেতেই সে মিশুকের শিশুকাল ও বাবা শহীদ মুনীর চৌধুরীর প্রস্থান নিয়ে লিখে ফেলল 'সমকাল' পত্রিকায় 'চোখ ভেসে যায় জলে'। লেখাটি পড়ে কাঁদল বাংলাদেশ। কতদিন আমি মিশুক পরিবারে যাই, আমার দ্বারা তো হলো না এমন লেখা। একটি কথা না বললেই নয়, বাংলা একাডেমীতে একুশের বইমেলায় ইকবাল নেই, এ এক অতি বিরল ঘটনা। বন্ধুত্বে টানের কথা বলি, ২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে আমার মেয়ে অগি্নলার বিয়ে হচ্ছে। ওর মেয়ে সচী আর বন্ধুবর লুৎফুর রহমান রিটনকে নিয়ে কানাডা থেকে ঢাকা, এয়ারপোর্ট থেকে সোজা ইকবাল হাসান অফিসার্স ক্লাবে এসে হাজির। ও আসলে মানুষে-কবিতে মিলিয়ে এক অদ্ভুত প্রাণী। শুনেছি ইকবালরা সেই আল্লামা আমল থেকে প্রতিভাবান হয়। কেন অল্প একটু আমিও হলাম না আফসোস হয়। ইচ্ছা করে বন্ধু ইকবালের সঙ্গে বন্ধুত্বের যাপিত জীবন নিয়ে উপন্যাস লিখি 'অস্থির যুবরাজ', ওর জীবনটা ওরকম। তবে এটাও জানি, নিজে আলস্যে ভরপুর যে ফালতু মানুষ, না হয়েছে তেমন কিছু, না হবে। শুধু বন্ধু কবি ইকবাল হাসানকে বলতে ইচ্ছা করে_ জীবন যতদিন আছে যাপন কর নিজ আনন্দে! শুভ জন্মদিন।
No comments