চাই না এ লাশের মিছিল by অদিতি রহমান
হয়তো মায়ের স্বপ্ন ছিল একমাত্র মেয়েটিকে লেখাপড়া করাবেন। মানুষ হয়ে মেয়ে তার জীবনের দুঃখের অবসান ঘটাবে। হয়তো বোনের স্বপ্ন ছিল, শ্রমে-ঘামে রক্ত পানি করা অর্থে যে দুটি ভাই-বোন লেখাপড়া করছে, তারা একদিন ওর চেয়ে ভালো চাকরি করে সংসারের অভাব-অনটন দূর করে দেবে।
য়তো কেউ হকেউ স্বল্প বেতন থেকে খুব ক্ষুদ্র একটি অংশ সঞ্চয় করছিল সংসার পাতবে বলে। কত শত স্বপ্ন মাত্র চার-পাঁচ ঘণ্টায় পুড়ে ছাই হয়ে বাতাসে মিলিয়ে গেল! দশ দিন পার হয়েছে, এখনও নিশ্চিন্তপুরের বাতাসে লাশের গন্ধ। বিদগ্ধ হৃদয়ের একটানা গোঙানিতে একই হাহাকার_ মা কোথায়, সন্তান কোথায়, স্ত্রী কোথায়? 'তোমরা কোথায়'_ বুকফাটা আর্তনাদ খান খান হয়ে ফিরছে এখনও নিশ্চিন্তপুরজুড়ে।
২৪ সেপ্টেম্বর রাতের প্রথম প্রহর। টিভি স্ক্রলে বারবার চোখ আটকাচ্ছিল আশুলিয়ায় একটি গার্মেন্টে আগুন লাগার খবরটিতে, তখন ভাবনায়ও আসেনি এমন ভয়াবহ পরিণতির কথা। কারণ গার্মেন্টে আগুন লাগার ঘটনা নতুন নয়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হবে নিশ্চয়। অথচ রাতভর শত শত মানুষের সামনে জ্বলে পুড়ে কয়লা হয়ে গেল ১১১টি তাজা প্রাণ! অসহায়ত্ব কোথায় গিয়ে ঠেকছে আমাদের! সাদা পলি ব্যাগে ভরা ভস্মীভূত এত লাশ একসঙ্গে কেউ কি দেখেছে কখনও?
বিশেষ ছুটি থাকায় একদিন পর প্রতিটি পত্রিকায় স্পর্শকাতর সব ব্যানার হেডিং, বিশেষ আয়োজনে পাতাজুড়ে মর্মান্তিক সব খবর। সমকালের বিশেষ আয়োজনে 'সম্পাদকের কথা' কলামে সম্পাদক গোলাম সারওয়ার লিখেছেন কিছু কিছু মর্মান্তিক ঘটনা এতই বেদনাবিদ্ধ, যা ব্যানার শিরোনামও যেন বহন করতে পারে না। সমকালের রিপোর্টার সাহাদাত হোসেন পরশ তার রিপোর্টে বর্ণনা দিয়েছেন, নিচতলা থেকে এক এক করে ভবনের ওপরের দিকে যতই উঠছি, ততই ধীরে ধীরে যেন কমে আসছিল হার্টবিট! পুরো চেতনাই নিথর হয়ে আসছিল, পা যেন মেঝের সঙ্গে আটকে যাচ্ছিল। শ্রমিকের আত্মা যেন ভবনের স্তব্ধতা ভেঙে ভেতর থেকে ডেকে উঠছে। কোনো একটি টিভি চ্যানেলের রিপোর্টার বর্ণনা দিচ্ছিলেন এ হৃদয়বিদারক ঘটনার। আগুন লাগার খবর শুনেই এক মা তার সন্তানের খোঁজে ভবনের বাইরে একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে রুদ্ধশ্বাসে কেবল দৌড়াচ্ছিলেন। কারখানার ভেতর থেকে বাঁচাও বাঁচাও গগনবিদারি চিৎকার আর শত শত স্বজনের আহাজারিতে কেঁপে কেঁপে উঠছিল পুরো নিশিন্তপুর। কান্না এখনও থামেনি। এ কান্না থামার নয়। যে হারিয়েছে তার প্রিয়জন, তিনিই কেবল জানেন তার মর্মবেদনা।
যশোরের অভয়নগরের হুমায়ুন আর জেনিয়ার বিয়ে হয়েছে কেবল দু'মাস হলো। নতুন সংসার, নতুন স্বপ্ন- মনের মতো করে সাজাতে কিছুদিন আগে দু'জনে চাকরি নেন তাজরীন ফ্যাশনে। আগুনের লেলিহান শিখায় স্বপ্ন পুড়ে ছারখার। সহমরণ হেেলা স্বামী-স্ত্রীর। অভাব অনটনের সংসারে শাপলা ছিল আয়ের বাতি। চার ভাই-বোনের সংসার তার আয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিল। সংসারে সচ্ছলতা আনতে রংপুর থেকে ঢাকায় আসেন মা মাকসুদা, মেয়ে রোজিনা। দু'জনে অপারেটরের কাজ নেন এই গার্মেন্টে। লিজা, সুইটি, পপির লেখাপড়ার খরচসহ ব্যায়ভার বহন করা কষ্টকর হয়ে পড়েছিল নীলফামারীর মুক্তিযোদ্ধা রোকনউদ্দিনের। তাই স্ত্রী লাকী বেগম গার্মেন্টে কাজ নিয়েছিলেন স্বামীকে সহযোগিতা করতে। এমন শত শত ইচ্ছা, আশা, স্বপ্নের মৃত্যু ঘটেছে আগুনের লেলিহান শিখায়!
একজনের দেখাদেখি আরেকজন দলে দলে গ্রাম থেকে শহরে ছুটে আসে, কিশোরী, তরুণী ,অর্ধবয়সী ওরা। তাদের একেকটি হাত দেশের রফতানি আয়ের বৃহত্তম খাত গার্মেন্ট শিল্পের মূল হাতিয়ার। কোনো কোনো সমাজবিজ্ঞানীর মতে, গ্রাম থেকে আসা এই তরুণীরা শ্রেণীগত নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে। তাদের শ্রম, নিখুঁত কর্মদক্ষতা দেশের বিশাল অর্থনৈতিক অর্জন। কখনও ইজ্জত দিয়ে, কখনও প্রাণ দিয়ে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে তারা। কিন্তু তাদের প্রাপ্তি কতটুকু?
আমার বাসার গৃহকর্মী মেয়েটি বলছিল, 'আফা গরিব নারীর মরণ হয় স্বামীর হাতের মাইর খাইয়া আর আগুনে পুইড়া। এই আমাগো নিয়তি।' কিন্তু আমরা কি এই ধরনের অগি্নকাণ্ডকে নিয়তি বা নিছক দুর্ঘটনা বলে মেনে নেব? গত বিশ বছরে দেশের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় ২১২টি অগি্নকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৭০০ শ্রমিক। এ পর্যন্ত গার্মেন্টে যত অগি্নকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা দুর্ঘটনা বলে পার পেয়ে গেছেন মালিকরা। দায়সারা তদন্ত কমিটি গঠন, ষড়যন্ত্রের গন্ধ, পারস্পরিক দোষারোপ, নাশকতা ইত্যাদি বিষয়ের মধ্য দিয়ে চাপা পড়ে গেছে মূল কারণ। কেবল শ্রমিকের লাশের সংখ্যাই বেড়েছে। একেকটি পরিবার হয়েছে সর্বস্বান্ত। কারণ তারাই পরিবারের খুঁটি, বেঁচে থাকার অবলম্বন।
আমরা প্রতিবারই দেখেছি, গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে অগি্নকাণ্ডের ঘটনায় কোনো শ্রমিকের মৃত্যু হলে মালিক কিংবা তাদের পক্ষের কোনো কর্মকর্তার অবহেলার বিষয়টি স্পষ্ট হলেও তাদের কোনো শাস্তি হয় না। আর শাস্তি হয় না বলেই তারা সতর্ক হয় না। আমরা জানি গার্মেন্ন্ট কারখানার পরিবেশগত নানা ত্রুটির কথা। শ্রমবান্ধব পরিবেশ নেই অধিকাংশ কারখানায়। শ্রম আইন বা কারখানা আইন যা আছে- শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষায় ততটা উপযোগী নয়, কিন্তু সে আইনও মানা হয় না পুরোপুরি। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা পোশাক কারখানাগুলোকে একটি গার্মেন্টপল্লীর আওতায় আনার উদ্যোগ প্রায় এক যুগ আগের। সরকারেরও সমর্থন আছে তাতে, কিন্তু কথা আর কালির অপচয় হচ্ছে কেবল।
নারীর শ্রম বলেই কি এত উপেক্ষা- এমন প্রশ্ন কমবেশি উঁকি দেয় অনেকের মনে। দেশে বেকার নারীর অভাব নেই, একজন গেলে আরেকজন পাওয়া যাবে, একশ' জন আগুনে পুড়ে মারা গেলে দু'শ জন পাওয়া যাবে মনোভাবটা কী এমন! কিন্তু প্রতিনিয়ত এমন ধরনের দুর্ঘটনায় রফতানি আয়ের বৃহত্তম এই শিল্পের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে সেটা কি আসলেই ভাবছেন এই শিল্পের কর্ণধাররা? তাছাড়া এত এত শ্রমিকের মৃত্যু বলব না, হত্যার দায় কি এড়ানো অতটা সহজ? এর মাশুল যে দিতে হবে না আমাদের এতটা নিশ্চিন্তই বা থাকি কী করে আমরা! হ
২৪ সেপ্টেম্বর রাতের প্রথম প্রহর। টিভি স্ক্রলে বারবার চোখ আটকাচ্ছিল আশুলিয়ায় একটি গার্মেন্টে আগুন লাগার খবরটিতে, তখন ভাবনায়ও আসেনি এমন ভয়াবহ পরিণতির কথা। কারণ গার্মেন্টে আগুন লাগার ঘটনা নতুন নয়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হবে নিশ্চয়। অথচ রাতভর শত শত মানুষের সামনে জ্বলে পুড়ে কয়লা হয়ে গেল ১১১টি তাজা প্রাণ! অসহায়ত্ব কোথায় গিয়ে ঠেকছে আমাদের! সাদা পলি ব্যাগে ভরা ভস্মীভূত এত লাশ একসঙ্গে কেউ কি দেখেছে কখনও?
বিশেষ ছুটি থাকায় একদিন পর প্রতিটি পত্রিকায় স্পর্শকাতর সব ব্যানার হেডিং, বিশেষ আয়োজনে পাতাজুড়ে মর্মান্তিক সব খবর। সমকালের বিশেষ আয়োজনে 'সম্পাদকের কথা' কলামে সম্পাদক গোলাম সারওয়ার লিখেছেন কিছু কিছু মর্মান্তিক ঘটনা এতই বেদনাবিদ্ধ, যা ব্যানার শিরোনামও যেন বহন করতে পারে না। সমকালের রিপোর্টার সাহাদাত হোসেন পরশ তার রিপোর্টে বর্ণনা দিয়েছেন, নিচতলা থেকে এক এক করে ভবনের ওপরের দিকে যতই উঠছি, ততই ধীরে ধীরে যেন কমে আসছিল হার্টবিট! পুরো চেতনাই নিথর হয়ে আসছিল, পা যেন মেঝের সঙ্গে আটকে যাচ্ছিল। শ্রমিকের আত্মা যেন ভবনের স্তব্ধতা ভেঙে ভেতর থেকে ডেকে উঠছে। কোনো একটি টিভি চ্যানেলের রিপোর্টার বর্ণনা দিচ্ছিলেন এ হৃদয়বিদারক ঘটনার। আগুন লাগার খবর শুনেই এক মা তার সন্তানের খোঁজে ভবনের বাইরে একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে রুদ্ধশ্বাসে কেবল দৌড়াচ্ছিলেন। কারখানার ভেতর থেকে বাঁচাও বাঁচাও গগনবিদারি চিৎকার আর শত শত স্বজনের আহাজারিতে কেঁপে কেঁপে উঠছিল পুরো নিশিন্তপুর। কান্না এখনও থামেনি। এ কান্না থামার নয়। যে হারিয়েছে তার প্রিয়জন, তিনিই কেবল জানেন তার মর্মবেদনা।
যশোরের অভয়নগরের হুমায়ুন আর জেনিয়ার বিয়ে হয়েছে কেবল দু'মাস হলো। নতুন সংসার, নতুন স্বপ্ন- মনের মতো করে সাজাতে কিছুদিন আগে দু'জনে চাকরি নেন তাজরীন ফ্যাশনে। আগুনের লেলিহান শিখায় স্বপ্ন পুড়ে ছারখার। সহমরণ হেেলা স্বামী-স্ত্রীর। অভাব অনটনের সংসারে শাপলা ছিল আয়ের বাতি। চার ভাই-বোনের সংসার তার আয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিল। সংসারে সচ্ছলতা আনতে রংপুর থেকে ঢাকায় আসেন মা মাকসুদা, মেয়ে রোজিনা। দু'জনে অপারেটরের কাজ নেন এই গার্মেন্টে। লিজা, সুইটি, পপির লেখাপড়ার খরচসহ ব্যায়ভার বহন করা কষ্টকর হয়ে পড়েছিল নীলফামারীর মুক্তিযোদ্ধা রোকনউদ্দিনের। তাই স্ত্রী লাকী বেগম গার্মেন্টে কাজ নিয়েছিলেন স্বামীকে সহযোগিতা করতে। এমন শত শত ইচ্ছা, আশা, স্বপ্নের মৃত্যু ঘটেছে আগুনের লেলিহান শিখায়!
একজনের দেখাদেখি আরেকজন দলে দলে গ্রাম থেকে শহরে ছুটে আসে, কিশোরী, তরুণী ,অর্ধবয়সী ওরা। তাদের একেকটি হাত দেশের রফতানি আয়ের বৃহত্তম খাত গার্মেন্ট শিল্পের মূল হাতিয়ার। কোনো কোনো সমাজবিজ্ঞানীর মতে, গ্রাম থেকে আসা এই তরুণীরা শ্রেণীগত নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে। তাদের শ্রম, নিখুঁত কর্মদক্ষতা দেশের বিশাল অর্থনৈতিক অর্জন। কখনও ইজ্জত দিয়ে, কখনও প্রাণ দিয়ে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে তারা। কিন্তু তাদের প্রাপ্তি কতটুকু?
আমার বাসার গৃহকর্মী মেয়েটি বলছিল, 'আফা গরিব নারীর মরণ হয় স্বামীর হাতের মাইর খাইয়া আর আগুনে পুইড়া। এই আমাগো নিয়তি।' কিন্তু আমরা কি এই ধরনের অগি্নকাণ্ডকে নিয়তি বা নিছক দুর্ঘটনা বলে মেনে নেব? গত বিশ বছরে দেশের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় ২১২টি অগি্নকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৭০০ শ্রমিক। এ পর্যন্ত গার্মেন্টে যত অগি্নকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা দুর্ঘটনা বলে পার পেয়ে গেছেন মালিকরা। দায়সারা তদন্ত কমিটি গঠন, ষড়যন্ত্রের গন্ধ, পারস্পরিক দোষারোপ, নাশকতা ইত্যাদি বিষয়ের মধ্য দিয়ে চাপা পড়ে গেছে মূল কারণ। কেবল শ্রমিকের লাশের সংখ্যাই বেড়েছে। একেকটি পরিবার হয়েছে সর্বস্বান্ত। কারণ তারাই পরিবারের খুঁটি, বেঁচে থাকার অবলম্বন।
আমরা প্রতিবারই দেখেছি, গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে অগি্নকাণ্ডের ঘটনায় কোনো শ্রমিকের মৃত্যু হলে মালিক কিংবা তাদের পক্ষের কোনো কর্মকর্তার অবহেলার বিষয়টি স্পষ্ট হলেও তাদের কোনো শাস্তি হয় না। আর শাস্তি হয় না বলেই তারা সতর্ক হয় না। আমরা জানি গার্মেন্ন্ট কারখানার পরিবেশগত নানা ত্রুটির কথা। শ্রমবান্ধব পরিবেশ নেই অধিকাংশ কারখানায়। শ্রম আইন বা কারখানা আইন যা আছে- শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষায় ততটা উপযোগী নয়, কিন্তু সে আইনও মানা হয় না পুরোপুরি। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা পোশাক কারখানাগুলোকে একটি গার্মেন্টপল্লীর আওতায় আনার উদ্যোগ প্রায় এক যুগ আগের। সরকারেরও সমর্থন আছে তাতে, কিন্তু কথা আর কালির অপচয় হচ্ছে কেবল।
নারীর শ্রম বলেই কি এত উপেক্ষা- এমন প্রশ্ন কমবেশি উঁকি দেয় অনেকের মনে। দেশে বেকার নারীর অভাব নেই, একজন গেলে আরেকজন পাওয়া যাবে, একশ' জন আগুনে পুড়ে মারা গেলে দু'শ জন পাওয়া যাবে মনোভাবটা কী এমন! কিন্তু প্রতিনিয়ত এমন ধরনের দুর্ঘটনায় রফতানি আয়ের বৃহত্তম এই শিল্পের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে সেটা কি আসলেই ভাবছেন এই শিল্পের কর্ণধাররা? তাছাড়া এত এত শ্রমিকের মৃত্যু বলব না, হত্যার দায় কি এড়ানো অতটা সহজ? এর মাশুল যে দিতে হবে না আমাদের এতটা নিশ্চিন্তই বা থাকি কী করে আমরা! হ
No comments