লন্ডনে আলোচনা- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দুই দলই সংলাপে রাজি by কামাল আহমেদ
আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আলোচনায় বসতে সম্মত আছে। লন্ডনে এক আলোচনায় দুই দলের নেতারা তাঁদের এ সম্মতির কথা জানিয়েছেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই দাবি করে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সব কটিকেই বিতর্কিত করে ফেলা হয়েছে। বিচার বিভাগে দলীয়করণের অভিযোগ তুলে তাঁরা বলেন, আদালতের অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের কারণে সংসদের সার্বভৌম ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলা হয়, বিরোধী দল সংসদে এসে তাদের প্রস্তাব উত্থাপন করলে আলোচনার মাধ্যমে সব বিরোধের নিষ্পত্তি সম্ভব।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাংলাদেশ-বিষয়ক সর্বদলীয় কমিটির আমন্ত্রণে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় হাউস অব কমনসের পোর্ট ক্লিউস হাউসে। সর্বদলীয় কমিটির প্রধান টোরি পার্টির অ্যান মেইন, লেবার পার্টির রুশনারা আলী, ব্যারনেস পলাউদ্দিন ছাড়াও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি আব্বাস ফয়েজ এতে বক্তব্য দেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকেরাও উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগতিক ব্রিটিশ সাংসদ এবং লর্ড সভার দুই সদস্যই বলেন, আলোচনার মাধ্যমে দেশটিতে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা না করা গেলে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার আগ্রহ ও ধৈর্য হারাবে।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লর্ড অ্যাভবেরির সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এবং এম কে আনোয়ারের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী। আর বিএনপির দলে ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শমসের মোবিন চৌধুরী ও সাংসদ মাহবুবউদ্দিন খোকন।
লর্ড অ্যাভবেরি ও অ্যান মেইন এমপি উভয়েই তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা পুনর্বহালে নির্বাচনের আগে আইন সংশোধন সম্ভব না হলে সে ক্ষেত্রে নির্বাচনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং পদ্ধতিগত সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করে সমঝোতার জন্য উভয় দলের প্রতি আহ্বান জানান।
তবে বিএনপির পক্ষ থেকে শমসের মবিন বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন প্রশ্নে রাষ্ট্রপতি যখন দেশের ২৩টি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন, তখন ১৮টি দলই বলেছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া শুধু নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থার বিলোপ সাধন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের কোনো বিষয় নয় এবং সে কারণে এ বিষয়ে দলীয়ভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং যেটা হয়েছে, তা আদালতের সিদ্ধান্তের কারণেই হয়েছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আদালতের মূল আদেশে আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার কথা। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগে কোনো বিতর্ক ছাড়াই সংসদে সংশোধনী পাস করা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য সৎ নয়।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বিরোধী দলের উচিত হবে এসব বিষয় সংসদে উপস্থাপন করা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে পাঁচ হাজারের মতো নির্বাচন হয়েছে এবং এসব নির্বাচনে বিএনপি প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ না করলে এটা সম্ভব ছিল না।
সাবের হোসেন ও এইচ টি ইমাম দুজনেই আন্তরিকতার সঙ্গে খোলা মন নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান। জবাবে বিএনপির নেতা এম কে আনোয়ার বলেন, আলোচনার বিষয়বস্তুর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গটি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
লন্ডনের এই আলোচনার ধারাবাহিকতায় ঢাকায় আরও সংলাপের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রথম আলোর এক প্রশ্নে উভয় দলের নেতারা ইতিবাচক জবাব দেন। তবে সরকার উদ্যোগ নিয়ে বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাব দেননি সরকারি দলের নেতারা।
ব্যারনেস পলাউদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিরোধ নিয়ে আলোচনার জন্য লন্ডনে আসতে হয় এবং বিদেশের মাটিতে তাঁরা এক সুরে কথা বলতে পারেন না। একে অন্যের সমালোচনা করেন।
অ্যামনেস্টির আব্বাস ফয়েজ অভিযোগ করেন, উভয় দলই বিরোধী দলে থাকলে মানবাধিকারের প্রশ্নে সোচ্চার হয়। কিন্তু সরকারে গেলে তা ভুলে যায়। তিনি র্যা ব প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং অভিযোগ করেন, নিরাপত্তা বাহিনী কাউকে আটক করলেই স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য শারীরিক নির্যাতনের পথ বেছে নেয়। এটি বন্ধের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালে সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে একটি আইনের খসড়া সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিবেচনাধীন রয়েছে। এ সময় আব্বাসের পাশাপাশি অ্যান মেইন ও লর্ড অ্যাভবেরি উভয় দলের কাছে জানতে চান এই আইনটি সম্মিলিতভাবে তাঁরা পাস করার উদ্যোগ নেবেন কি না। উভয় দলের নেতারা এ বিষয়ে তাঁদের সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলা হয়, বিরোধী দল সংসদে এসে তাদের প্রস্তাব উত্থাপন করলে আলোচনার মাধ্যমে সব বিরোধের নিষ্পত্তি সম্ভব।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাংলাদেশ-বিষয়ক সর্বদলীয় কমিটির আমন্ত্রণে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় হাউস অব কমনসের পোর্ট ক্লিউস হাউসে। সর্বদলীয় কমিটির প্রধান টোরি পার্টির অ্যান মেইন, লেবার পার্টির রুশনারা আলী, ব্যারনেস পলাউদ্দিন ছাড়াও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি আব্বাস ফয়েজ এতে বক্তব্য দেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকেরাও উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগতিক ব্রিটিশ সাংসদ এবং লর্ড সভার দুই সদস্যই বলেন, আলোচনার মাধ্যমে দেশটিতে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা না করা গেলে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার আগ্রহ ও ধৈর্য হারাবে।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লর্ড অ্যাভবেরির সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এবং এম কে আনোয়ারের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী। আর বিএনপির দলে ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শমসের মোবিন চৌধুরী ও সাংসদ মাহবুবউদ্দিন খোকন।
লর্ড অ্যাভবেরি ও অ্যান মেইন এমপি উভয়েই তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা পুনর্বহালে নির্বাচনের আগে আইন সংশোধন সম্ভব না হলে সে ক্ষেত্রে নির্বাচনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং পদ্ধতিগত সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করে সমঝোতার জন্য উভয় দলের প্রতি আহ্বান জানান।
তবে বিএনপির পক্ষ থেকে শমসের মবিন বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন প্রশ্নে রাষ্ট্রপতি যখন দেশের ২৩টি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন, তখন ১৮টি দলই বলেছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া শুধু নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থার বিলোপ সাধন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের কোনো বিষয় নয় এবং সে কারণে এ বিষয়ে দলীয়ভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং যেটা হয়েছে, তা আদালতের সিদ্ধান্তের কারণেই হয়েছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আদালতের মূল আদেশে আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার কথা। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগে কোনো বিতর্ক ছাড়াই সংসদে সংশোধনী পাস করা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য সৎ নয়।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বিরোধী দলের উচিত হবে এসব বিষয় সংসদে উপস্থাপন করা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে পাঁচ হাজারের মতো নির্বাচন হয়েছে এবং এসব নির্বাচনে বিএনপি প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ না করলে এটা সম্ভব ছিল না।
সাবের হোসেন ও এইচ টি ইমাম দুজনেই আন্তরিকতার সঙ্গে খোলা মন নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান। জবাবে বিএনপির নেতা এম কে আনোয়ার বলেন, আলোচনার বিষয়বস্তুর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গটি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
লন্ডনের এই আলোচনার ধারাবাহিকতায় ঢাকায় আরও সংলাপের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রথম আলোর এক প্রশ্নে উভয় দলের নেতারা ইতিবাচক জবাব দেন। তবে সরকার উদ্যোগ নিয়ে বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাব দেননি সরকারি দলের নেতারা।
ব্যারনেস পলাউদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিরোধ নিয়ে আলোচনার জন্য লন্ডনে আসতে হয় এবং বিদেশের মাটিতে তাঁরা এক সুরে কথা বলতে পারেন না। একে অন্যের সমালোচনা করেন।
অ্যামনেস্টির আব্বাস ফয়েজ অভিযোগ করেন, উভয় দলই বিরোধী দলে থাকলে মানবাধিকারের প্রশ্নে সোচ্চার হয়। কিন্তু সরকারে গেলে তা ভুলে যায়। তিনি র্যা ব প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং অভিযোগ করেন, নিরাপত্তা বাহিনী কাউকে আটক করলেই স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য শারীরিক নির্যাতনের পথ বেছে নেয়। এটি বন্ধের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালে সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে একটি আইনের খসড়া সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিবেচনাধীন রয়েছে। এ সময় আব্বাসের পাশাপাশি অ্যান মেইন ও লর্ড অ্যাভবেরি উভয় দলের কাছে জানতে চান এই আইনটি সম্মিলিতভাবে তাঁরা পাস করার উদ্যোগ নেবেন কি না। উভয় দলের নেতারা এ বিষয়ে তাঁদের সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন।
No comments