সাগর-বনের হাতছানি by পল্লব মোহাইমেন
বেশ সকালেই ঘুম ভাঙল। পর্যটন মোটেলের বারান্দায় দাঁড়াতেই ভেজা বাতাসের ছোঁয়া লাগল শরীরে। সামনে বড় বড় দুটি আমলকী গাছের পাতা থেকে পানি ঝরছে। আগের দিন জোরালো বাতাস আর মেঘলা আকাশ থাকলেও বৃষ্টি ছিল না।
পরের সকালেই বৃষ্টি হয়ে গেছে এক পশলা। ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবস’ বলে কথা। কুয়াকাটায় আমাদেরও প্রথম দিবস সেটা।
সারা দিনই বৃষ্টি, কখনো টিপটিপ, কখনো অঝোর ধারা। মোটেল থেকে হেঁটে সমুদ্র সৈকতের একেবারে কাছেই খাবার ঘর। বিস্তর ঘুরে আগের রাতে খাওয়ার জন্য এই রেস্তোরাঁটাই বেছে নিয়েছি। সকালের নাশতা সেরে সোজা সৈকত। বর্ষাকালের শুরু, তাই পানি অনেকটাই ঘোলা। আকাশ ভরা মেঘ। তাই সূর্যোদয় চোখে পড়েনি। সমুদ্রে উত্তাল ঢেউ, সেগুলো আছড়ে পড়ছে নারকেল ও তালগাছের সৈকতে। তবে ভয় লাগে না একেবারেই। কুয়াকাটায় সমুদ্র যেন কোমল। কুয়াকাটা যাচ্ছি শুনে অনেকেই বলেছিলেন খুবই কষ্টের যাত্রা, রাস্তার যে অবস্থা! তবে প্রথম আলোর পটুয়াখালী প্রতিনিধি শংকরলাল দাশ ও কলাপাড়া প্রতিনিধি নেসার উদ্দিন আগেই বলেছিলেন, বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা ১০০ কিলোমিটার রাস্তা ঠিক হয়ে গেছে, তবে ফেরি পড়বে চারটি। যাওয়ার পথে তার প্রমাণ মিলল। মসৃণ রাস্তা। তবে কলাপাড়া উপজেলা সদর থেকে কুয়াকাটা ২২ কিলোমিটার পথে তিনটি ফেরি পার হতে হয়। সময় একটু বেশি লাগলেও রাস্তার কষ্টটা আর নেই।
কুয়াকাটায় একটা বিষয়ে বিস্ময় লাগল। রাত ১২টার পরও সৈকতে কিছু পর্যটক। সপরিবারে আমরাও রাতের সৈকত উপভোগ করেছি। মধ্যরাতেও নিরাপদ সৈকত। দিনেও দেখলাম, সমুদ্রে নামার সময় অনেকেই সৈকতে স্যান্ডেল, কাপড়চোপড় রেখে যাচ্ছেন নির্দ্বিধায়। দীর্ঘ সময় পরও সেগুলো যথাস্থানেই থাকছে।
কুয়াকাটার মূল সৈকতে সময়টা তো ভালো কাটবেই। আর এই সৈকতের ডান-বাম দুই দিকেই যাওয়া যায় ঘুরতে। সৈকতে দেখা গেল ৪০-৫০ জন হলুদ জ্যাকেট পরা লোক, যাঁদের সঙ্গে আছে মোটরবাইক আর ক্যামেরা। তাঁরা ক্যামেরাম্যান ও গাইড। সৈকত ধরে ডান দিকেও যাওয়া যায়, বাঁ দিকেও যাওয়া যায়। তবে যেতে হবে বাইকে করে।
ডান দিকে প্রায় সাত-আট কিলোমিটার গেলে লেম্বু বা লেবুর চর। এই চরে লেবুগাছ নেই, লেবু মগের নামে এর নামকরণ। মোটরবাইকের ভাড়া ২০০ টাকা। সৈকত ধরে বাইকে যাত্রা শুরু হলো। অসংখ্য ছোট ছোট শামুক-ঝিনুক। সঙ্গের শিশুরাও যেন কুড়িয়ে শেষ করতে পারে না। লেবুর চরের কাছাকাছি যেতেই গাইডরা বললেন, ‘থামেন থামেন! ছবি তোলেন।’ থামতেই দেখা গেল সৈকতের বালুতে অসংখ্য লাল কাঁকড়া ছোটাছুটি করছে তীব্র গতিতে। এখানকার পুরো সৈকতে যেন চলছে লালের অবিরাম ছোটাছুটি। লেবুর চরে একটা ঝুপড়ি দোকান। চা-টার পাশাপাশি এখানে পাওয়া যায় ইলিশ, চিংড়ি আর কাঁকড়া ভাজা। মাছ দেখিয়ে দিলে চোখের সামনেই ভেজে দেয় দোকানি। লেবুর চরের সামনে সমুদ্র। সেখানে ছোট ছোট খাল এসে মিশেছে। ওপারে ফাতরার জঙ্গল। এটা সুন্দরবনের অংশ। আষাঢ়ের প্রথম দিন, ২ নম্বর সতর্ক সংকেত। তাই ওপারে যে ট্রলার দিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে, সেগুলো বন্ধ। এপার থেকে দেখা হলো সুন্দরবনের একটা অংশ। হাতের স্মার্টফোনে গুগল ম্যাপ তখন সেটাকে দেখাচ্ছে ‘সুন্দরবনস ডেলটা’ হিসেবে।
বিকেলটা আর সৈকতে নয়। কুয়াকাটা থেকে পিচঢালা সড়কে ১৫ কিলোমিটারের পথ পেরিয়ে মিশ্রিপাড়া ধর্মসুখ বৌদ্ধবিহার। এখানে আছে ৩৬ ফুট উঁচু বৌদ্ধমূর্তি। বিহারের পাশেই রাখাইনপল্লি। সেখানে রাখাইন তাঁতে কাপড় বোনাও দেখা যায় একটু ঘোরাফেরা করলেই। কুয়াকাটা সৈকতে বেড়িবাঁধের পাড়েও আছে আরেকটা বৌদ্ধবিহার—কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার। সেটির স্থাপত্যশৈলী দেখার মতো। এখানে আছে পিতলের তৈরি বুদ্ধমূর্তি।
আগের দিন গেছি সৈকতের ডান দিকে। পরের দিন বাঁ দিকে যাওয়ার পালা। বাঁ দিকটায় চর গঙ্গামতী। কুয়াকাটা সৈকত ধরে ওই ডান দিকের মতোই ৮-১০ কিলোমিটার পথ। বাহনও সেই বাইক, ভাড়াও এক। এ পাশটায় ঝাউগাছ, কেওড়াগাছের সংখ্যা অনেক। তবে বেশির ভাগ গাছের শেকড় থেকে মাটি সরে গেছে। কারণ হিসেবে জানা গেল সিডরের ঝড়ে এই ক্ষতিটা হয়ে গেছে। গঙ্গামতীর চর দেখে মনে হয় একখণ্ড সুন্দরবন।
ফেরার পথে আবার কুয়াকাটা সৈকতে। বর্ষাকালের প্রথম দিনে কিছু মাছ ধরার নৌকা গেছে সমুদ্রে। এগুলোর উদ্দেশ্য মাছ আছে কি না তা দেখে আসা। এমনই একটা নৌকাকে ধরা হলো। সেটিতে পাওয়া গেল কিছু মাছও। একটা ইলিশ, কিছু তুলার ডান্ডি (সামুদ্রিক বেলে), লইট্টা আর গুলশা মাছ কিনেও নেওয়া হলো। তারপর সোজা সেলিম ভাইয়ের দোকান মানে খাবার ঘরে। পরে সেই মাছ রান্না করেও আমাদের দেওয়া হলো দুপুর আর রাতের খাবারে।
আষাঢ়ের দ্বিতীয় দিন বৃষ্টি ছিল না, তবে মেঘলা আকাশ। কুয়াকাটার সবই মুগ্ধ করছে। কিন্তু মনে কী যেন হলো না এমন কাঁটা খচখচ করছে। সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত কোনোটাই তো দেখা হলো কুয়াকাটায়। সন্ধ্যার আগে আগে হোটেলের বারান্দা থেকে দেখা গেল রোদ। সূর্য তখন ডুবছে। সবাই মিলে দে দৌড়। সৈকতে গিয়ে পাওয়া গেল সূর্যাস্ত। মুগ্ধতার ষোলোকলাই যেন পূর্ণ হলো।
যাবেন যেভাবে
ঢাকার সায়েদাবাদ ও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে কুয়াকাটার সরাসরি বাস পাওয়া যায়। সরাসরি যাবে সুগন্ধা, মেঘনা ও আবদুল্লাহ পরিবহন। সাকুরা পরিবহনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসও আছে। তবে সাকুরার বাস যাবে কলাপাড়া পর্যন্ত। সেখান থেকে বাস বা অটোরিকশায় যেতে পারেন কুয়াকাটা। আর কেউ চাইলে বরিশাল হয়েও যেতে পারেন কুয়াকাটা। বরিশাল থেকে সরাসরি অনেকগুলো বাস আছে।
থাকার জন্য বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল রয়েছে কুয়াকাটায়। এর মধ্যে আছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল ও ইয়ুথ-ইন, বেসরকারি স্কাই প্যালেস, নীলাঞ্জনা, কুয়াকাটা ইন, গ্রেভার-ইন, ঘোষ ইন্টারন্যাশনাল, সাগরকন্যা রিসোর্ট ইত্যাদি।
সারা দিনই বৃষ্টি, কখনো টিপটিপ, কখনো অঝোর ধারা। মোটেল থেকে হেঁটে সমুদ্র সৈকতের একেবারে কাছেই খাবার ঘর। বিস্তর ঘুরে আগের রাতে খাওয়ার জন্য এই রেস্তোরাঁটাই বেছে নিয়েছি। সকালের নাশতা সেরে সোজা সৈকত। বর্ষাকালের শুরু, তাই পানি অনেকটাই ঘোলা। আকাশ ভরা মেঘ। তাই সূর্যোদয় চোখে পড়েনি। সমুদ্রে উত্তাল ঢেউ, সেগুলো আছড়ে পড়ছে নারকেল ও তালগাছের সৈকতে। তবে ভয় লাগে না একেবারেই। কুয়াকাটায় সমুদ্র যেন কোমল। কুয়াকাটা যাচ্ছি শুনে অনেকেই বলেছিলেন খুবই কষ্টের যাত্রা, রাস্তার যে অবস্থা! তবে প্রথম আলোর পটুয়াখালী প্রতিনিধি শংকরলাল দাশ ও কলাপাড়া প্রতিনিধি নেসার উদ্দিন আগেই বলেছিলেন, বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা ১০০ কিলোমিটার রাস্তা ঠিক হয়ে গেছে, তবে ফেরি পড়বে চারটি। যাওয়ার পথে তার প্রমাণ মিলল। মসৃণ রাস্তা। তবে কলাপাড়া উপজেলা সদর থেকে কুয়াকাটা ২২ কিলোমিটার পথে তিনটি ফেরি পার হতে হয়। সময় একটু বেশি লাগলেও রাস্তার কষ্টটা আর নেই।
কুয়াকাটায় একটা বিষয়ে বিস্ময় লাগল। রাত ১২টার পরও সৈকতে কিছু পর্যটক। সপরিবারে আমরাও রাতের সৈকত উপভোগ করেছি। মধ্যরাতেও নিরাপদ সৈকত। দিনেও দেখলাম, সমুদ্রে নামার সময় অনেকেই সৈকতে স্যান্ডেল, কাপড়চোপড় রেখে যাচ্ছেন নির্দ্বিধায়। দীর্ঘ সময় পরও সেগুলো যথাস্থানেই থাকছে।
কুয়াকাটার মূল সৈকতে সময়টা তো ভালো কাটবেই। আর এই সৈকতের ডান-বাম দুই দিকেই যাওয়া যায় ঘুরতে। সৈকতে দেখা গেল ৪০-৫০ জন হলুদ জ্যাকেট পরা লোক, যাঁদের সঙ্গে আছে মোটরবাইক আর ক্যামেরা। তাঁরা ক্যামেরাম্যান ও গাইড। সৈকত ধরে ডান দিকেও যাওয়া যায়, বাঁ দিকেও যাওয়া যায়। তবে যেতে হবে বাইকে করে।
ডান দিকে প্রায় সাত-আট কিলোমিটার গেলে লেম্বু বা লেবুর চর। এই চরে লেবুগাছ নেই, লেবু মগের নামে এর নামকরণ। মোটরবাইকের ভাড়া ২০০ টাকা। সৈকত ধরে বাইকে যাত্রা শুরু হলো। অসংখ্য ছোট ছোট শামুক-ঝিনুক। সঙ্গের শিশুরাও যেন কুড়িয়ে শেষ করতে পারে না। লেবুর চরের কাছাকাছি যেতেই গাইডরা বললেন, ‘থামেন থামেন! ছবি তোলেন।’ থামতেই দেখা গেল সৈকতের বালুতে অসংখ্য লাল কাঁকড়া ছোটাছুটি করছে তীব্র গতিতে। এখানকার পুরো সৈকতে যেন চলছে লালের অবিরাম ছোটাছুটি। লেবুর চরে একটা ঝুপড়ি দোকান। চা-টার পাশাপাশি এখানে পাওয়া যায় ইলিশ, চিংড়ি আর কাঁকড়া ভাজা। মাছ দেখিয়ে দিলে চোখের সামনেই ভেজে দেয় দোকানি। লেবুর চরের সামনে সমুদ্র। সেখানে ছোট ছোট খাল এসে মিশেছে। ওপারে ফাতরার জঙ্গল। এটা সুন্দরবনের অংশ। আষাঢ়ের প্রথম দিন, ২ নম্বর সতর্ক সংকেত। তাই ওপারে যে ট্রলার দিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে, সেগুলো বন্ধ। এপার থেকে দেখা হলো সুন্দরবনের একটা অংশ। হাতের স্মার্টফোনে গুগল ম্যাপ তখন সেটাকে দেখাচ্ছে ‘সুন্দরবনস ডেলটা’ হিসেবে।
বিকেলটা আর সৈকতে নয়। কুয়াকাটা থেকে পিচঢালা সড়কে ১৫ কিলোমিটারের পথ পেরিয়ে মিশ্রিপাড়া ধর্মসুখ বৌদ্ধবিহার। এখানে আছে ৩৬ ফুট উঁচু বৌদ্ধমূর্তি। বিহারের পাশেই রাখাইনপল্লি। সেখানে রাখাইন তাঁতে কাপড় বোনাও দেখা যায় একটু ঘোরাফেরা করলেই। কুয়াকাটা সৈকতে বেড়িবাঁধের পাড়েও আছে আরেকটা বৌদ্ধবিহার—কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার। সেটির স্থাপত্যশৈলী দেখার মতো। এখানে আছে পিতলের তৈরি বুদ্ধমূর্তি।
আগের দিন গেছি সৈকতের ডান দিকে। পরের দিন বাঁ দিকে যাওয়ার পালা। বাঁ দিকটায় চর গঙ্গামতী। কুয়াকাটা সৈকত ধরে ওই ডান দিকের মতোই ৮-১০ কিলোমিটার পথ। বাহনও সেই বাইক, ভাড়াও এক। এ পাশটায় ঝাউগাছ, কেওড়াগাছের সংখ্যা অনেক। তবে বেশির ভাগ গাছের শেকড় থেকে মাটি সরে গেছে। কারণ হিসেবে জানা গেল সিডরের ঝড়ে এই ক্ষতিটা হয়ে গেছে। গঙ্গামতীর চর দেখে মনে হয় একখণ্ড সুন্দরবন।
ফেরার পথে আবার কুয়াকাটা সৈকতে। বর্ষাকালের প্রথম দিনে কিছু মাছ ধরার নৌকা গেছে সমুদ্রে। এগুলোর উদ্দেশ্য মাছ আছে কি না তা দেখে আসা। এমনই একটা নৌকাকে ধরা হলো। সেটিতে পাওয়া গেল কিছু মাছও। একটা ইলিশ, কিছু তুলার ডান্ডি (সামুদ্রিক বেলে), লইট্টা আর গুলশা মাছ কিনেও নেওয়া হলো। তারপর সোজা সেলিম ভাইয়ের দোকান মানে খাবার ঘরে। পরে সেই মাছ রান্না করেও আমাদের দেওয়া হলো দুপুর আর রাতের খাবারে।
আষাঢ়ের দ্বিতীয় দিন বৃষ্টি ছিল না, তবে মেঘলা আকাশ। কুয়াকাটার সবই মুগ্ধ করছে। কিন্তু মনে কী যেন হলো না এমন কাঁটা খচখচ করছে। সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত কোনোটাই তো দেখা হলো কুয়াকাটায়। সন্ধ্যার আগে আগে হোটেলের বারান্দা থেকে দেখা গেল রোদ। সূর্য তখন ডুবছে। সবাই মিলে দে দৌড়। সৈকতে গিয়ে পাওয়া গেল সূর্যাস্ত। মুগ্ধতার ষোলোকলাই যেন পূর্ণ হলো।
যাবেন যেভাবে
ঢাকার সায়েদাবাদ ও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে কুয়াকাটার সরাসরি বাস পাওয়া যায়। সরাসরি যাবে সুগন্ধা, মেঘনা ও আবদুল্লাহ পরিবহন। সাকুরা পরিবহনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসও আছে। তবে সাকুরার বাস যাবে কলাপাড়া পর্যন্ত। সেখান থেকে বাস বা অটোরিকশায় যেতে পারেন কুয়াকাটা। আর কেউ চাইলে বরিশাল হয়েও যেতে পারেন কুয়াকাটা। বরিশাল থেকে সরাসরি অনেকগুলো বাস আছে।
থাকার জন্য বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল রয়েছে কুয়াকাটায়। এর মধ্যে আছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল ও ইয়ুথ-ইন, বেসরকারি স্কাই প্যালেস, নীলাঞ্জনা, কুয়াকাটা ইন, গ্রেভার-ইন, ঘোষ ইন্টারন্যাশনাল, সাগরকন্যা রিসোর্ট ইত্যাদি।
No comments