উত্তরা-মিরপুর হয়ে মতিঝিল পৌঁছাবে মেট্রো রেল by রেজা রায়হান
প্রস্তাবিত মেট্রো রেল প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত খুঁটির ওপর রেলপথ নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হলে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী দ্রুতগতিতে যাতায়াত করতে পারবে। ওঠানামার জন্য থাকবে ১৬টি স্টেশন।
এদিকে গতকাল সোমবার জাপান সরকার এ প্রকল্পে ২১০ কোটি ডলার অর্থায়নের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা সফররত জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) ভাইস প্রেসিডেন্ট তোশিয়ুকি কোরিওনাগি ঘোষণাটি দেন।
প্রকল্পের বিস্তারিত নকশা (ডিটেইল ডিজাইন) প্রণয়ন ও আনুষঙ্গিক পরামর্শ সেবার কাজে অর্থ জোগানোর জন্য প্রাথমিকভাবে ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তোশিয়ুকি। এই অর্থ চলতি বছরই ছাড় করা হবে।
অর্থায়নের বিষয়টি জানাতে ইআরডি ও জাইকা গতকাল রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট তোশিয়ুকি কোরিওনাগি এবং বিদায়ী ইআরডি সচিব ইকবাল মাহমুদ বক্তব্য দেন। এ সময় জাইকার প্রধান প্রতিনিধি তাকাউ তোদা ও সদ্য যোগ দেওয়া ইআরডি সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৭০ কোটি ডলার। এর মধ্যে জাইকা ২১০ কোটি ডলার দেবে। বাকি ৬০ কোটি ডলার বাংলাদেশ সরকার জোগান দেবে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) সূত্রে জানা গেছে, বার্ষিক ১ শতাংশ সুদে ১০ বছরের রেয়াতিকালসহ জাইকার ঋণ পরিশোধের মেয়াদ হচ্ছে ৪০ বছর। ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জাইকা ঋণের অর্থ ছাড় করবে এবং ২০২২ সাল থেকে দুটি বার্ষিক কিস্তিতে এ ঋণ ২০৫১ সালের জুলাই পর্যন্ত পরিশোধিত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রস্তাবিত মেট্রো রেল ব্যবস্থা বাংলাদেশে সত্যি সত্যিই চালু হলে তাতে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী দ্রুত গতিতে যাতায়াত করতে পারবে। এটি যানজট-কবলিত রাজধানীর গণপরিবহনে নবদিগন্তের সূচনা করবে।
মেট্রো রেলের চূড়ান্ত রুট হচ্ছে- উত্তরা তৃতীয় ফেজ-পল্লবী, মিরপুর-১০, রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ দিয়ে (চন্দ্রিমা উদ্যান-সংসদ ভবন) খামারবাড়ী হয়ে ফার্মগেট-সোনারগাঁও হোটেল-শাহবাগ-টিএসসি-দোয়েল চত্বর-তোপখানা রোড-বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। এ রুটের ১৬টি স্টেশন হচ্ছে : উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, আইএমটি, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয়সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও হোটেল, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক। মোট দৈর্ঘ্য হবে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার।
মেট্রো রেলের প্রতিটি খুুঁটির ব্যাস হবে ২ মিটার, ভূমিস্থ অংশের ভিত্তি হবে ৩ মিটার ও উচ্চতা হবে ১৩ মিটার। একটি থেকে অন্য পিলারের দূরত্ব হবে ৩০ থেকে ৪০ মিটার। খুঁটির ওপরে দুটি লাইনে রেলপথ তৈরি হবে এবং এর প্রস্থ হবে প্রায় ৯.১ মিটার।
গতকালের সংবাদ সম্মেলনে তোশিয়ুকি কোরিওনাগি বলেন, 'জাপান সরকার মেট্রো রেল প্রকল্পে মোট ২১০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে জাপানি জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। প্রকল্পটি শুরু করতে জাইকা প্রাথমিকভাবে ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার দেবে। এরপর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বাকি অর্থ ছাড় করা হবে।'
তোশিয়ুকি বলেন, ঢাকার মতো বড় শহরে মেট্রো রেলের খুব প্রয়োজন। গাজীপুর থেকে ঢাকা আসতে তাঁর সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় ব্যয়ের কথা উল্লেখ করে তোশিয়ুকি বলেন, মেট্রো রেল হয়ে গেলে একই দূরত্বে আসতে আধা ঘণ্টা লাগবে। এক প্রশ্নের জবাবে তোশিয়ুকি বলেন, 'প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বচ্ছতা নিয়ে আমাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। কারণ বাস্তবায়ন তদারকির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও স্বাধীন একটি সংস্থা নিয়োগ করা হবে।'
ইআরডি সচিব ইকবাল মাহমুদ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রকল্পের কাজ কখন শুরু হবে, তা এখনো বলার সময় হয়নি। ডিটেইলড ডিজাইন করার পর আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে। এর পরই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। ইআরডি সচিব ও জাইকা ভাইস প্রেসিডেন্ট আভাস দেন, ২০১৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও গত রবিবার একই আশ্বাস দেন।
মেট্রো রেলের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) বলা হয়েছে, প্রকল্পটি তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে। পল্লবী থেকে হোটেল সোনারগাঁও পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশ ২০১৯ সালের মধ্যে; হোটেল সোনারগাঁও থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ৪.৪ কিলোমিটার ২০২০ সালের মধ্যে এবং উত্তরা (তৃতীয় ফেজ) থেকে পল্লবী পর্যন্ত ৪.৭ কিলোমিটার ২০২২ সালের মধ্যে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। সেকশন ১ ও ২ ভূমির ওপর দিয়ে (এলিভেটেড) নির্মাণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। সেকশন-৩ : উত্তরা (তৃতীয় পর্যায়) থেকে পল্লবী অংশ নীচ দিয়ে (অ্যাড গ্রেড) নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও ইতিমধ্যে উত্তরা (তৃতীয় ফেজ) এলাকায় রাজউক আবেদনকারীদের প্লট বরাদ্দ করায় এ অংশটির ওপর দিয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জাইকার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
মেট্রো রেল ছাড়া আরো তিনটি প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৮০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ দেবে জাপান সরকার। এর মধ্যে ভেড়ামারা কম্বাইন্ড পাওয়ার সাইকেল প্ল্যান্ট প্রকল্পের জন্য দেবে ৪৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড ট্রান্সমিশন প্রকল্পে দেবে ২৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে দেবে ১০ কোটি ডলার।
প্রকল্পের বিস্তারিত নকশা (ডিটেইল ডিজাইন) প্রণয়ন ও আনুষঙ্গিক পরামর্শ সেবার কাজে অর্থ জোগানোর জন্য প্রাথমিকভাবে ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তোশিয়ুকি। এই অর্থ চলতি বছরই ছাড় করা হবে।
অর্থায়নের বিষয়টি জানাতে ইআরডি ও জাইকা গতকাল রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট তোশিয়ুকি কোরিওনাগি এবং বিদায়ী ইআরডি সচিব ইকবাল মাহমুদ বক্তব্য দেন। এ সময় জাইকার প্রধান প্রতিনিধি তাকাউ তোদা ও সদ্য যোগ দেওয়া ইআরডি সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৭০ কোটি ডলার। এর মধ্যে জাইকা ২১০ কোটি ডলার দেবে। বাকি ৬০ কোটি ডলার বাংলাদেশ সরকার জোগান দেবে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) সূত্রে জানা গেছে, বার্ষিক ১ শতাংশ সুদে ১০ বছরের রেয়াতিকালসহ জাইকার ঋণ পরিশোধের মেয়াদ হচ্ছে ৪০ বছর। ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জাইকা ঋণের অর্থ ছাড় করবে এবং ২০২২ সাল থেকে দুটি বার্ষিক কিস্তিতে এ ঋণ ২০৫১ সালের জুলাই পর্যন্ত পরিশোধিত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রস্তাবিত মেট্রো রেল ব্যবস্থা বাংলাদেশে সত্যি সত্যিই চালু হলে তাতে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী দ্রুত গতিতে যাতায়াত করতে পারবে। এটি যানজট-কবলিত রাজধানীর গণপরিবহনে নবদিগন্তের সূচনা করবে।
মেট্রো রেলের চূড়ান্ত রুট হচ্ছে- উত্তরা তৃতীয় ফেজ-পল্লবী, মিরপুর-১০, রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ দিয়ে (চন্দ্রিমা উদ্যান-সংসদ ভবন) খামারবাড়ী হয়ে ফার্মগেট-সোনারগাঁও হোটেল-শাহবাগ-টিএসসি-দোয়েল চত্বর-তোপখানা রোড-বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। এ রুটের ১৬টি স্টেশন হচ্ছে : উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, আইএমটি, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয়সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও হোটেল, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক। মোট দৈর্ঘ্য হবে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার।
মেট্রো রেলের প্রতিটি খুুঁটির ব্যাস হবে ২ মিটার, ভূমিস্থ অংশের ভিত্তি হবে ৩ মিটার ও উচ্চতা হবে ১৩ মিটার। একটি থেকে অন্য পিলারের দূরত্ব হবে ৩০ থেকে ৪০ মিটার। খুঁটির ওপরে দুটি লাইনে রেলপথ তৈরি হবে এবং এর প্রস্থ হবে প্রায় ৯.১ মিটার।
গতকালের সংবাদ সম্মেলনে তোশিয়ুকি কোরিওনাগি বলেন, 'জাপান সরকার মেট্রো রেল প্রকল্পে মোট ২১০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে জাপানি জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। প্রকল্পটি শুরু করতে জাইকা প্রাথমিকভাবে ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার দেবে। এরপর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বাকি অর্থ ছাড় করা হবে।'
তোশিয়ুকি বলেন, ঢাকার মতো বড় শহরে মেট্রো রেলের খুব প্রয়োজন। গাজীপুর থেকে ঢাকা আসতে তাঁর সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় ব্যয়ের কথা উল্লেখ করে তোশিয়ুকি বলেন, মেট্রো রেল হয়ে গেলে একই দূরত্বে আসতে আধা ঘণ্টা লাগবে। এক প্রশ্নের জবাবে তোশিয়ুকি বলেন, 'প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বচ্ছতা নিয়ে আমাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। কারণ বাস্তবায়ন তদারকির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও স্বাধীন একটি সংস্থা নিয়োগ করা হবে।'
ইআরডি সচিব ইকবাল মাহমুদ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রকল্পের কাজ কখন শুরু হবে, তা এখনো বলার সময় হয়নি। ডিটেইলড ডিজাইন করার পর আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে। এর পরই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। ইআরডি সচিব ও জাইকা ভাইস প্রেসিডেন্ট আভাস দেন, ২০১৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও গত রবিবার একই আশ্বাস দেন।
মেট্রো রেলের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) বলা হয়েছে, প্রকল্পটি তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে। পল্লবী থেকে হোটেল সোনারগাঁও পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশ ২০১৯ সালের মধ্যে; হোটেল সোনারগাঁও থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ৪.৪ কিলোমিটার ২০২০ সালের মধ্যে এবং উত্তরা (তৃতীয় ফেজ) থেকে পল্লবী পর্যন্ত ৪.৭ কিলোমিটার ২০২২ সালের মধ্যে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। সেকশন ১ ও ২ ভূমির ওপর দিয়ে (এলিভেটেড) নির্মাণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। সেকশন-৩ : উত্তরা (তৃতীয় পর্যায়) থেকে পল্লবী অংশ নীচ দিয়ে (অ্যাড গ্রেড) নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও ইতিমধ্যে উত্তরা (তৃতীয় ফেজ) এলাকায় রাজউক আবেদনকারীদের প্লট বরাদ্দ করায় এ অংশটির ওপর দিয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জাইকার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
মেট্রো রেল ছাড়া আরো তিনটি প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৮০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ দেবে জাপান সরকার। এর মধ্যে ভেড়ামারা কম্বাইন্ড পাওয়ার সাইকেল প্ল্যান্ট প্রকল্পের জন্য দেবে ৪৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড ট্রান্সমিশন প্রকল্পে দেবে ২৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে দেবে ১০ কোটি ডলার।
No comments