লাউয়াছড়ায় ১৪ কোটি বছর প্রাচীন প্রজাতির জীবন্ত প্রাণী! by ফেরদৌস আহমেদ
১৪ কোটি বছরের প্রাচীন প্রজাতির ২টি সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী খুঁজে পেলেন বণ্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. রেজা খান ও বণ্যপ্রাণী গবেষক তানিয়া খান। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘চিকিলা ফুলেরি’(CHIKILA FULLERI)। ফলে এটি প্রমাণিত হলো যে, ১৪ কোটি বছর পূর্বে এঅঞ্চলে প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল।
বুধবার সকালে মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরের ঝর্ণার পাশে গর্ত খুঁড়ে তারা ১৯ সেন্টিমিটার ও ১৭ সেন্টিমিটার আকারের ২টি প্রাণী খুঁজে পেয়েছেন। এর মধ্যে ১টি প্রাণী ছেড়ে দিয়েছেন এবং অন্যটি গবেষক দল ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকায় নিয়ে যাবেন।
জানা যায়, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতীয় গবেষকরা লন্ডনের ‘রয়্যাল সোসাইটি অব জার্নালে’ এই প্রাণীটির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ১৪ কোটি বছর আগে প্রাণীদের আভির্ভাব হয়েছিলো বিশ্বে। তাদের একটি দল হয়তো ভারতবর্ষে রয়ে যায় এবং অন্য দলটি আফ্রিকা ও আরেকটি দল দক্ষিণ আমেরিকায় রয়ে যায়।
গবেষকরা জানান, এই প্রাণীটি বেশিক্ষণ শুকনা বা ডাঙায় থাকতে পারে না পানি ছাড়া। এরা হাত পা ছাড়া ব্যাঙ সদৃশ প্রাণী। এরা সাপ নয়, কেঁচো নয়, এরা উভচর প্রাণী। এদের মেরুদণ্ড আছে। ১০ ইঞ্চি গভীর মাটির নিচে এরা বাস করে থাকে। এরা মাটির নিচে বাস করে, খাদ্য গ্রহণ করে, ঘুমায় এবং মাটির নিচেই মারা যায়। এই প্রাণীটির কোনো বিবর্তন নেই।
তারা জানান, লোকজন মনে করতে পারে এটি কেঁচো বা দুমুখো সাপ। তবে আমরা মনে করছি এটি ‘চিকিলা ফুলেরি’ প্রাণী। তবে এটি চিকিলা ফুলেরি কিনা সে ব্যাপারে চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তারা ডিএনএ টেস্ট করবেন বলে জানান।
তারা আরও জানান, এধরনের একটি প্রাণীর অস্তিত্ব গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতে পাওয়া যায়। ভারতের জিওলজিক্যাল সার্ভে মিউজিয়ামে এই প্রাণীর নকশা রয়েছে। এছাড়া এই প্রজাতির প্রাণীর ভিন্ন নামে ভারতের আসামেও রয়েছে বলে তারা জানান। এছাড়া গত ৫ বছর ধরে ভারতীয় বিজ্ঞানী ও গবেষকরা এই প্রাণীটির আবাস, বসবাসস্থল, বিচরণ ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং গত ২ বছর ধরে তারা পুরো উদ্যমে এই প্রাণীটি খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছেন।
তারা আরও জানান, এই ‘চিকিলা ফুলেরি’ প্রাণীটি সম্বন্ধে ‘এলকক’ নামের ভারতীয় এক গবেষক ১৯০৪ সালে তথ্য প্রদান করেন।
বণ্যপ্রাণী গবেষক তানিয়া খান বাংলানিউজকে জানান, গত সেপ্টেম্বরে তিনি লাউয়াছড়ার ভেতরে ঝর্ণার পাশে ‘চিকিলা ফুলেরি’ সরীসৃপের একটি কঙ্কাল পেয়ে ছবি তুলে ড. রেজা খানকে ই-মেইলে তা পাঠান। তারপর প্রাথমিকভাবে ধরা হয়, এটি ‘চিকিলা ফুলেরি’রই কঙ্কাল। এরপর বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে বুধবার সকালে মৌলভীবাজারের বন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় একইস্থানে গর্ত খুঁড়ে ২টি জীবিত চিকিলা ফুলেরি খুঁজে পান।
প্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. রেজা খান বাংলানিউজকে বলেন, আজ জীবিত এই প্রাণীটি খুঁজে পাওয়ার পর ১০০ ভাগ প্রমাণিত হলো যে, বিশ্বব্যাপী যে প্রাণীটি নিয়ে গবেষণা চলছে সেটা বাংলাদেশেই আছে এবং আমাদের দেশের গবেষকরা এতোদিন এটি খুঁজে বের করতে পারেনি বা তাদের সেই সুযোগ হয়নি।
এই প্রাণীটি নিয়ে আমাদের দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের গবেষণা এখন শুরু করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
গবেষকরা জানান, এই প্রাণীটি বেশিক্ষণ শুকনা বা ডাঙায় থাকতে পারে না পানি ছাড়া। এরা হাত পা ছাড়া ব্যাঙ সদৃশ প্রাণী। এরা সাপ নয়, কেঁচো নয়, এরা উভচর প্রাণী। এদের মেরুদণ্ড আছে। ১০ ইঞ্চি গভীর মাটির নিচে এরা বাস করে থাকে। এরা মাটির নিচে বাস করে, খাদ্য গ্রহণ করে, ঘুমায় এবং মাটির নিচেই মারা যায়। এই প্রাণীটির কোনো বিবর্তন নেই।
তারা জানান, লোকজন মনে করতে পারে এটি কেঁচো বা দুমুখো সাপ। তবে আমরা মনে করছি এটি ‘চিকিলা ফুলেরি’ প্রাণী। তবে এটি চিকিলা ফুলেরি কিনা সে ব্যাপারে চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তারা ডিএনএ টেস্ট করবেন বলে জানান।
তারা আরও জানান, এধরনের একটি প্রাণীর অস্তিত্ব গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতে পাওয়া যায়। ভারতের জিওলজিক্যাল সার্ভে মিউজিয়ামে এই প্রাণীর নকশা রয়েছে। এছাড়া এই প্রজাতির প্রাণীর ভিন্ন নামে ভারতের আসামেও রয়েছে বলে তারা জানান। এছাড়া গত ৫ বছর ধরে ভারতীয় বিজ্ঞানী ও গবেষকরা এই প্রাণীটির আবাস, বসবাসস্থল, বিচরণ ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং গত ২ বছর ধরে তারা পুরো উদ্যমে এই প্রাণীটি খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছেন।
তারা আরও জানান, এই ‘চিকিলা ফুলেরি’ প্রাণীটি সম্বন্ধে ‘এলকক’ নামের ভারতীয় এক গবেষক ১৯০৪ সালে তথ্য প্রদান করেন।
বণ্যপ্রাণী গবেষক তানিয়া খান বাংলানিউজকে জানান, গত সেপ্টেম্বরে তিনি লাউয়াছড়ার ভেতরে ঝর্ণার পাশে ‘চিকিলা ফুলেরি’ সরীসৃপের একটি কঙ্কাল পেয়ে ছবি তুলে ড. রেজা খানকে ই-মেইলে তা পাঠান। তারপর প্রাথমিকভাবে ধরা হয়, এটি ‘চিকিলা ফুলেরি’রই কঙ্কাল। এরপর বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে বুধবার সকালে মৌলভীবাজারের বন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় একইস্থানে গর্ত খুঁড়ে ২টি জীবিত চিকিলা ফুলেরি খুঁজে পান।
প্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. রেজা খান বাংলানিউজকে বলেন, আজ জীবিত এই প্রাণীটি খুঁজে পাওয়ার পর ১০০ ভাগ প্রমাণিত হলো যে, বিশ্বব্যাপী যে প্রাণীটি নিয়ে গবেষণা চলছে সেটা বাংলাদেশেই আছে এবং আমাদের দেশের গবেষকরা এতোদিন এটি খুঁজে বের করতে পারেনি বা তাদের সেই সুযোগ হয়নি।
এই প্রাণীটি নিয়ে আমাদের দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের গবেষণা এখন শুরু করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
No comments