ট্রেনে কাটা পড়ে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু
রাজধানীর খিলক্ষেতে ট্রেনে কাটা পড়ে শিরিন আলী (৩৭) নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা মারা গেছেন। তিনি সিটি ব্যাংকের খিলক্ষেত শাখার রিলেশনশিপ ব্যবস্থাপক ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঢাকা রেলওয়ে থানা সূত্র জানায়, স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে রেলওয়ে থানার পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে খিলক্ষেত রেলক্রসিংয়ের কাছে লাইনের ওপর থেকে শিরিনের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। তাঁর পা দুটি দুই টুকরা হয়ে গিয়েছিল। রাত ১০টার দিকে শিরিন ট্রেনে কাটা পড়েন বলে রেলওয়ে পুলিশের ধারণা।শিরিন আলীর ছোট ভাই মো. শাহেদ প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংকে যাওয়ার কথা বলে শিরিন তাঁর একমাত্র মেয়ে সানিলাকে সঙ্গে নিয়ে বাসা থেকে বের হন। শিরিন বলেছিলেন, ছুটির দিন হলেও ব্যাংকে তাঁর কাজ আছে। আর কয়েক দিন ধরে সানিলাকে তার দাদি দেখতে চাইছেন। মেয়ে সানিলাকে তিনি উত্তরায় তার দাদির কাছে পৌঁছেও দিয়েছিলেন।
শাহেদ জানান, মঙ্গলবার অনেক রাত হয়ে গেলেও শিরিন বাসায় না ফেরায় তাঁরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি ধরছিলেন না। রাত ১১টার পর এক পথচারী ফোন করে শিরিনের মৃত্যুর খবর জানান। খিলক্ষেতে গিয়ে তাঁরা রেললাইনে তাঁর রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, চার মাস আগে স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর শিরিন মা-বাবার সঙ্গে পুরান ঢাকার টিপু সুলতান রোডে থাকতেন।
ভাই শাহেদ জানান, শিরিন অটোরিকশায় টিপু সুলতান রোডের বাসা থেকে খিলক্ষেতের কর্মস্থলে যেতেন। অনেক সময় খিলক্ষেত থেকে ট্রেনে কমলাপুরে এসে নামতেন। সেখান থেকে বাসায় ফিরতেন। শাহেদ বলেন, তাঁর কাছে শিরিনের মৃত্যুর কারণ দুর্ঘটনা মনে হচ্ছে না।
ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এটি দুর্ঘটনা না আত্মহত্যা, এখনো তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে শিরিনের লাশ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
No comments