যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে-বিপক্ষে দলের রাজনীতি জোটবদ্ধ হচ্ছে by মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী
মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে আটককৃত নেতাদের বিচারকে কেন্দ্র
করে বাংলাদেশের রাজনীতি পরস্পরবিরোধী ধারার জোটে একদিকে বিভক্ত এবং
অন্যদিকে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। বাংলাদেশের সমাজও এই ইস্যুতে এখন একইভাবে যার যার
অবস্থানে স্থির হয়ে উঠছে।
বলা চলে অনেক দিন পর সমাজ ও রাজনীতি নিজস্ব আয়নার
সম্মুখে এসে দাঁড়িয়েছে, মুখোমুখি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পক্ষ বা
বিপক্ষ অবস্থানে। এমন রাজনৈতিক বাস্তবতা কিছুটা বেদনাদায়ক হলেও বাংলাদেশের
জন্য অবিশ্বাস্য ছিল না। কেননা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন
হলেও সাড়ে তিন বছরের মাথায় দেশটিকে উল্টোপথে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়,
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাবিরোধী ধারায় দীর্ঘদিন পরিচালিত করা হয়,
মুক্তিযুদ্ধকে নামে ব্যবহার করলেও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকেই রাজনীতি,
অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির সর্বত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধকে দূরের
বিষয়, রাজনীতির হাটে কেনাবেচার পণ্যের মতো ব্যবহার করা হয়। ফলে এর মূল্য
সমাজ ও রাজনীতিতে এক সময় বেশ দুর্বল হতে থাকে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল যে, তারা দেশটাকে দ্বিতীয়
পাকিস্তান বানানোর মহাপরিকল্পনা নিয়েই বিনা বাধায় অগ্রসর হয়েছিল। হাতে
তারা বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দলকে পেয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে থাকে। এ
ধরনের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেÑতা অনেকটাই
অকল্পনীয় বিষয় ছিল। কিন্তু ইতিহাসে বাস্তব সত্য হচ্ছে, ২০১০ সাল থেকে
বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্তদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়,
বিচারকাজ চলতে থাকে। স্বপ্নের বিচারটির এমন একটি অবসান তৈরি হওয়ার
বাস্তবতায় মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি আঁটঘাঁট বেঁধেই সংঘবদ্ধ হয়ে বিচারের
বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে, দেশে ও বিদেশে সর্বশক্তি নিয়ে
ঝাঁপিয়ে পড়েছে। শুধু জামায়াত এককভাবে সংগঠিত হলে বিষয়টি দাঁড়াত এক রকম, খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কেননা, জামায়াত ১৯৭১ সালে দলগতভাবে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল, এখন যতই বলা হোক না কেন যে, এই বিচারটি কোন দলের বিরুদ্ধে নয়, কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধেÑযারা ১৯৭১ সালে হত্যা, লুটপাট, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিল, কিন্তু জামায়াত বক্তব্যটির মর্মার্থ তাদের মতো করেই বুঝে নিচ্ছে। তারা বিচারটিকে শুধু কয়েক নেতার বিরুদ্ধে হিসেবে দেখছে না, তারা এটিকে তাদের দল, দলীয় রাজনীতির সঙ্গে একাকার করে দেখছে। ফলে এই বিচারের বিরুদ্ধে দলগতভাবেই তারা কাজ করছে। সেটি বোধগম্য। তবে দুঃখজনক অভিজ্ঞতা হচ্ছে, বিএনপিসহ বেশ কিছু দল এই বিচারকে মনে প্রাণে গ্রহণ করতে পারছে না, তারা জামায়াতের নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবির প্রতি মৌন ও নৈতিক সমর্থন প্রদান করছে, রাজনৈতিকভাবে জামায়াতের পাশে দাঁড়িয়েছে। গঠন করেছে ১৮ দলীয় জোট। জোটের প্লাটফর্মে জামায়াতের বিচারবিরোধী কর্মকা- নির্বিঘেœ পরিচালিত করতে সাহায্য করছে। বিএনপির আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনাল প্রসঙ্গেও এমন কিছু কথা বলার চেষ্টা করেছেনÑযা শুনে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা সন্দেহ দানা বাধছে হয়। বিচার সম্পর্কেও তাদের বক্তব্য অনেকটাই পরিষ্কার যে, তারা এই বিচারটি না হলেই সব চাইতে খুশি হতেন। বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগের পর ব্যারিস্টার মওদুদসহ বেশ ক’জন প্রভাবশালী আইনজীবী আইনের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে বিচারটি তামাদি হয়ে যাওয়ার কথাও জাতিকে শুনিয়েছেন, নতুন করে বিচার শুরু করার দাবিও করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে বিএনপি দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধী বিচারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দৃঢ় অবস্থান না নিলেও নানা প্রশ্ন তুলে বিএনপি বিচারটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেরি করছে না, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কয়েকটি জনসভায় আটককৃতদের মুক্তির দাবিও করেছেন। অধিকন্তু বিএনপি তথা ১৮ দল তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে আন্দোলন করার নামে মাঠে নেমেছে, যখন জামায়াত এই বিচারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে, পুলিশকে হামলা করা, হরতাল ও অবরোধে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, পোড়াপুড়িতে অংশ নিচ্ছে। ১৮ দলের পক্ষ থেকে বলার চেষ্টা করা হচ্ছে যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তারাও চাচ্ছে, তবে সেই বিচারটি হতে হবে স্বচ্ছ। তবে একবারও বিএনপি বা ১৮ দলীয় নেতৃবৃন্দ অস্বচ্ছতার কোন তথ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেনি কিংবা করেনি। বিএনপি এখানে মুখে এককথা বলছে, বাস্তবে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। বস্তুত ১৮ দলীয় জোটের আন্দোলনের যে সব কর্মসূচী তা মূলতই বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে জোরদার করা হচ্ছে। ডিসেম্বর মাসে যে সব হরতাল ও অবরোধ পালিত হয়েছে তা মূলতই ১৮ দলীয় জোটের শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বহন করে, জোট থেকে সরকার উৎখাতেরও দাবি করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনের আড়ালে বিএনপির সকল কর্মী-সমর্থককে মাঠে নামাচ্ছে, তাদের সঙ্গে জামায়াতের নেতাকর্মীরাও নামছেÑযারা বিচারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখছে। অথচ বিএনপি দাবি করছে, দলটি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের দল। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তিনি একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বাধীনতার একটি ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। এসব ভূমিকাকে খাটো করে দেখার কোন কারণ নেই। কিন্তু ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির অনুকূলে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্বয়ং জিয়াউর রহমানের ভূমিকা সকলের কাছেই স্পষ্ট। বিএনপির প্রথম শাসনকালে মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সরকার, সংসদ এবং রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করতে জিয়াউর রহমান দ্বিধা করেননি। তখন মুক্তিযুদ্ধের ধারার রাজনীতিকে এসব বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়। এ ধারা দেশে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত নির্বিঘেœ চলেছিল। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে দেয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধারা দেশে মর্যাদার চাইতে নিগৃহীত হওয়ার অবস্থানে চলে যায়। মুক্তিযুদ্ধের কোন আদর্শের প্রতি বিশ্বাস এ সময়ে লক্ষ্য করা যায়নি। ১৯৯১ সালের পর গণতন্ত্রে উত্তরণ ঘটলেও মুক্তিযুদ্ধের দায়বদ্ধতা তেমন একটা ছিল না। তবে ১৯৯২ পরবর্তী সময় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলন দেশে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতি একটি মোটামুটি আবেগ সৃষ্টি করতে পেরেছিল। এ থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পুনর্জাগরণ হওয়ার সুযোগ ঘটে। এর ফল কিছুটা পাওয়া যায় ১৯৯৬-এর নির্বাচনে। বাংলাদেশে এত বছর মুক্তিযুদ্ধের নানা বিষয় চরম অবজ্ঞা ও অবহেলার শিকার হয়। নব্বইয়ের দশকে তাতে কিছুটা নাড়া পড়ে।
আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে লেখা ও জানার কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ১৯৯৯ সালে ৪ দলীয় জোট গঠিত হয়। দক্ষিণপন্থীদের একটি আদর্শিক জোট হিসেবে এর আবির্ভাব অনেকের কাছেই সেভাবে ধরা দেয়নি। তবে এটি ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত-বিএনপি ও জাপা, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রথম আদর্শিক জোট যার ভিত্তি ছিল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বাংলাদেশ, পাকিস্তানের ভাবাদর্শে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।
২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসার পর সেই আদর্শের বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে সকল শক্তি নিয়োগ করা হয়। বিএনপি অতীতে মধ্য-ডানপন্থী রাজনীতির ধারকবাহক হলেও ২০০১ সালের পর এর অবস্থান প্রান্তিক দক্ষিণ পন্থায় সরে যায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে পুরোপুরি দখল করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। দেশে জঙ্গীবাদ, সাম্প্রদায়িকতাকে সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত করা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় তখন পুরোপুরি দক্ষিণপন্থা ও উগ্রবাদীদের জয়জয়কার ঘটে। এর বিপরীতে ২০০৪ সালে ১৪ দলীয় জোটের উত্থান ঘটে। রাজনীতিতে পরস্পরবিরোধী দু’টো মেরুকরণ ঘটে। একদিকে বিএনপি-জামায়াত-ইসলামী ঐক্যজোটের নেতৃত্বে দক্ষিণপন্থীদের, এর বিপরীতে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির রাজনীতি। চারদলীয় জোট তখন রাষ্ট্র ক্ষমতাকে ব্যবহার করে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, সংস্কৃতিকে গলাটিপে হত্যা করতে সকল শক্তি নিয়োগ করে। হত্যা করা হয় আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নেতাকর্মীদের, বন্ধ করে দেয়া হয় একুশে টিভিকেÑযাকে তখন বাঙালী জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতির শক্তিশালী একটি গণমাধ্যম হিসেবে ধরা হয়, হত্যার চেষ্টা করা হয় আওয়ামী লীগের মূল নেতৃত্বকে, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার জন্য ২০০৬ সালে নীলনক্সার তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন গঠন করে বৈতরণী পার হতে চেয়েছিল। বলা চলে বিএনপি-জামায়াত জোট পুনরায় ক্ষমতায় আসার সকল চেষ্টা করেছিল স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে সমূলে উচ্ছেদ বা খতম করার জন্য। কিন্তু বিধিবাম। পারা গেল না। তবে চারদলীয় জোটের এমন তা-ব গোটা সমাজ, রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে একটি নাড়া দিয়ে যায়। নতুন প্রজন্ম চারদলীয় জোটের শাসনকে বাংলাদেশ সমাজ, রাষ্ট্র ও রাজনীতির জন্য অশুভ হিসেবেই দেখেছে। ফলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির প্রতি দ্রুত গণসমর্থন বেড়ে যায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, ১৪ দল তথা মহাজোট ব্যাপক জনসমর্থন লাভ করে। সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়।
জামায়াত প্রথমে নিজস্ব শক্তিতেই এটি প্রতিহত করতে চেষ্টা করে। যখন বিচারের বিষয়টি গতি পেতে থাকে তখন বিএনপি-জামায়াত জোট নিজেদের শক্তিকে বিস্তৃত করে, গঠিত হয় ১৮ দলীয় জোট। জোটের নবতর সম্প্রসারণ যে বার্তাটি দিচ্ছে তা হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যারা মনে প্রাণে গ্রহণ করতে পারছে না তারা মহাজোট সরকারের ওপর মরণকামড় দেয়ার জন্য অপশক্তির সমাবেশ ঘটিয়েছে। জোট নামে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের কথা বললেও মনের বিষয়টি হচ্ছে বিচারটিকে ভ-ুল করা, সরকারকে উৎখাত করা, মুক্তিযুদ্ধের শক্তি আওয়ামী লীগ ও মহাজোট সরকারকে উৎখাত করা গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি এখানেই ‘তামাদি’ করে রাখা যাবে। ১৮ দলীয় জোটের আদর্শ অবস্থান এ ক্ষেত্রে স্পষ্ট। তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে দেশের মানুষ কতটা সোচ্চার তা এবার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানাদিতে দেখা গেছে, বোঝা গেছে। এতে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিষয়টি ধ্বংস বা তামাদি হয়ে যায়নি, বরং তা নতুনভাবে প্রাণশক্তি সঞ্চার করেছে। এই জাগরণকে ধারণ করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ধারকবাহক সকল রাজনৈতিক দল, শ্রেণী-পেশাজীবী সংগঠন, সাধারণ মানুষকে আরও সংঘবদ্ধ হতে হবে। ১৮ দলীয় জোটের বিপরীতে শক্ত অবস্থা নিতে হবে। তবেই বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে ১৮ দলীয় জোটের যে কোন অশুভ তৎপরতাকে প্রতিহত করা সম্ভব হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের বিরুদ্ধে এর বিরোধী শক্তির যে কোন চক্রান্ত বা আঘাত পরাস্ত হতে বাধ্য।
লেখক : শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট
No comments