জেনারেল জানজুয়ার হেফাজতেই ছিলেন খালেদা ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
একাত্তরের যুদ্ধের সময় ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে পাকিস্তানী জেনারেল জানজুয়া হত্যা করতে চেয়েছিলেন। অথচ সেই জেনারেল জানজুয়ার হেফাজতেই যুদ্ধকালীন সময়ে বন্দী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর মুখে যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে কথা মানায় না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।গণসংযোগ কর্মসূচীতে কারওয়ান বাজারের পথসভায় বিরোধীদলীয় নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘রাজাকার’ বললে এ প্রতিক্রিয়া জানান মহীউদ্দীন।
বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে দ্বিতীয় পথসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন- একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান সরকারের চাকরি করেছেন। এই রাজাকারকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়ে যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা যাবে না।
মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজের পরিচালনা বোর্ডের ১৪তম সভা শেষে সাংবাদিকরা এ নিয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন- এ কথা তাঁর মুখে সাজে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার অবস্থান মানায় না। আর আমার প্রতি তাঁর ক্ষোভের আরও কারণ আছে। একাত্তরে খালেদা জিয়া ছিলেন পাকিস্তানী জেনারেল জানজুয়ার হেফাজতে। ঐ জেনারেল তখন আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তুু পারেননি। আল্লাহর রহমতে আমি বেচে যাই। কাজেই খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে যত তাড়াতাড়ি তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসবেন ততই তাঁর জন্য ও সবার জন্য মঙ্গলজনক।
এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ট্রাইব্যুনালে তুরস্কের প্রতিনিধিদের প্রবেশ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীর হত্যাকা-ের তদন্তে যথাসময়ে যথারীতি একটি ফলাফল পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার সকাল ১১টায় পুলিশ স্টাফ কলেজে এ সভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র সচিব সি কিউ কে মুস্তাক আহমেদ ও পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments