রাজশাহীতে আগেভাগেই কোটি টাকার বালাইনাশক-বাণিজ্য by আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ
আমের মুকুলে হপার পোকার আক্রমণ হতে পারে, এই আশঙ্কায় রাজশাহীর আমচাষিরা ইতিমধ্যে দু-তিনবার বাগানে বালাইনাশক ছিটিয়েছেন। তাঁরা নিজের ও বালাইনাশক বিক্রেতাদের পরামর্শে এই কাজ করছেন।
অথচ গবেষকেরা বলছেন, হপার পোকাকে প্রতিরোধের সময় এখনো আসেনি। অসময়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করতে গিয়ে মাঝপথে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার বালাইনাশকের বাণিজ্য হয়ে যাচ্ছে। তবে আমচাষিরা জানান, গবেষকদের তাত্ত্বিক কথা বাস্তবে কাজে আসে না। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১০ লাখ ছয় হাজার ৮৮১টি গাছে আম হয়েছে। আমের ফলন ছিল এক লাখ ১০ হাজার ৪৮৮ মেট্রিক টন। কিন্তু হপারের আক্রমণে জেলায় আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন জানান, মধ্যম আকারের একটি আমগাছে একবার ছিটানোর জন্য সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের বালাইনাশকের খরচ পড়ে ন্যূনতম ২৫ টাকা। সেই সঙ্গে ছত্রাকনাশকের খরচ পড়ে ৩৪ টাকা। অন্য খরচ বাদে রাজশাহীর একটি গাছে একবার বালাইনাশকের পেছনে ৫৯ টাকা খরচ হয়। সেই হিসাবে ১০ লাখ গাছে খরচ পড়ে পাঁচ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আর ইমিডা ক্লোরপিট গ্রুপের বালাইনাশকের খরচ পড়বে ৭৫ টাকা। ছত্রাকনাশকসহ খরচ হবে ১০৯ টাকা। এই বালাইনাশক একবার সব গাছে ছিটাতে খরচ পড়বে ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
সিনজেন্টা কোম্পানির বিক্রয় সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনসুর রহমান জেলার চারঘাট, পুঠিয়া ও বাঘা উপজেলার দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জানান, হপার দমন করার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। মুকুল আসার এক মাস আগেই তাঁরা চাষিকে গাছে বালাইনাশক ছিটানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। এ সময় অল্প পরিমাণে হপার থাকে। আগেই এদের দমন করা গেলে মুকুলে আক্রমণ কম হবে।
তবে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন জানান, হপার দমনের জন্য আমের মুকুল আসার পর ও ফোটার আগে একবার এবং আমের গুটি মোটরদানার আকার ধারণ করলে আরেকবার বালাইনাশক দিতে হবে। এরপর প্রয়োজন পড়লে আরেকবার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
রাজশাহী ও নওগাঁয় আমচাষিদের পরামর্শ দেন শাহ কৃষিতথ্য পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীর শাহ। তিনি জানান, হপার ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে ডিম পাড়ে। একটি হপার ২০০টি পর্যন্ত ডিম দেয়। ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এর বাচ্চা বের হয়, যা নিম্ফ নামে পরিচিত। এরা আমের মুকুল ও কচি পাতার রস চুষে খায়। এদের মল পাতায় পড়ে পাতা ছত্রাকের আক্রান্তে কালো হয়ে যায়। এ সময় মুকুল এক থেকে দেড় ইঞ্চি পরিমাণ বের হয়, তখনই বালাইনাশক দেওয়ার উত্তম সময়। তবে মা হপারকে মারার জন্য জানুয়ারির শেষ ভাগে একবার দেওয়া যেতে পারে।
বাঘা উপজেলার বলিহার গ্রামের চাষি বিমল সরকারের ২০ বিঘা আমবাগান রয়েছে। তিনি জানান, গত বছর হপারের আক্রমণে তিনি দিশেহারা হয়ে তিন-চারটি প্রতিষ্ঠানের ‘১০ ইসি’ মাত্রার ওষুধ ব্যবহার করেছেন। ‘কিছুতেই কিছু হয়নি। একেবারে সর্বনাশ হয়ে গেছে!’ এই ভয়ে এবার ইতিমধ্যেই তিনি দুবার বাগানে বালাইনাশক ছিটিয়েছেন।
চারঘাটের দক্ষিণ বাকড়া গ্রামের আমচাষি ও ব্যবসায়ী আসাদুল হকের প্রায় ৪০ বিঘার একটি বাগানের প্রায় সব আম গত বছর হপারের আক্রমণে শেষ হয়ে গেছে। আসাদুল জানান, এবার তিনি ৫০ লাখ টাকার আম কিনে রেখেছেন। রয়েছে তাঁর নিজের বাগান। তিনি জানান, হপার-আতঙ্কে ইতিমধ্যে দুবার গাছে বালাইনাশক ছিটিয়েছেন। এতে তাঁর প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কোম্পানির বিশেষজ্ঞ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই বালাইনাশক দিয়েছেন।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন জানান, মধ্যম আকারের একটি আমগাছে একবার ছিটানোর জন্য সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের বালাইনাশকের খরচ পড়ে ন্যূনতম ২৫ টাকা। সেই সঙ্গে ছত্রাকনাশকের খরচ পড়ে ৩৪ টাকা। অন্য খরচ বাদে রাজশাহীর একটি গাছে একবার বালাইনাশকের পেছনে ৫৯ টাকা খরচ হয়। সেই হিসাবে ১০ লাখ গাছে খরচ পড়ে পাঁচ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আর ইমিডা ক্লোরপিট গ্রুপের বালাইনাশকের খরচ পড়বে ৭৫ টাকা। ছত্রাকনাশকসহ খরচ হবে ১০৯ টাকা। এই বালাইনাশক একবার সব গাছে ছিটাতে খরচ পড়বে ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
সিনজেন্টা কোম্পানির বিক্রয় সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনসুর রহমান জেলার চারঘাট, পুঠিয়া ও বাঘা উপজেলার দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জানান, হপার দমন করার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। মুকুল আসার এক মাস আগেই তাঁরা চাষিকে গাছে বালাইনাশক ছিটানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। এ সময় অল্প পরিমাণে হপার থাকে। আগেই এদের দমন করা গেলে মুকুলে আক্রমণ কম হবে।
তবে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন জানান, হপার দমনের জন্য আমের মুকুল আসার পর ও ফোটার আগে একবার এবং আমের গুটি মোটরদানার আকার ধারণ করলে আরেকবার বালাইনাশক দিতে হবে। এরপর প্রয়োজন পড়লে আরেকবার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
রাজশাহী ও নওগাঁয় আমচাষিদের পরামর্শ দেন শাহ কৃষিতথ্য পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীর শাহ। তিনি জানান, হপার ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে ডিম পাড়ে। একটি হপার ২০০টি পর্যন্ত ডিম দেয়। ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এর বাচ্চা বের হয়, যা নিম্ফ নামে পরিচিত। এরা আমের মুকুল ও কচি পাতার রস চুষে খায়। এদের মল পাতায় পড়ে পাতা ছত্রাকের আক্রান্তে কালো হয়ে যায়। এ সময় মুকুল এক থেকে দেড় ইঞ্চি পরিমাণ বের হয়, তখনই বালাইনাশক দেওয়ার উত্তম সময়। তবে মা হপারকে মারার জন্য জানুয়ারির শেষ ভাগে একবার দেওয়া যেতে পারে।
বাঘা উপজেলার বলিহার গ্রামের চাষি বিমল সরকারের ২০ বিঘা আমবাগান রয়েছে। তিনি জানান, গত বছর হপারের আক্রমণে তিনি দিশেহারা হয়ে তিন-চারটি প্রতিষ্ঠানের ‘১০ ইসি’ মাত্রার ওষুধ ব্যবহার করেছেন। ‘কিছুতেই কিছু হয়নি। একেবারে সর্বনাশ হয়ে গেছে!’ এই ভয়ে এবার ইতিমধ্যেই তিনি দুবার বাগানে বালাইনাশক ছিটিয়েছেন।
চারঘাটের দক্ষিণ বাকড়া গ্রামের আমচাষি ও ব্যবসায়ী আসাদুল হকের প্রায় ৪০ বিঘার একটি বাগানের প্রায় সব আম গত বছর হপারের আক্রমণে শেষ হয়ে গেছে। আসাদুল জানান, এবার তিনি ৫০ লাখ টাকার আম কিনে রেখেছেন। রয়েছে তাঁর নিজের বাগান। তিনি জানান, হপার-আতঙ্কে ইতিমধ্যে দুবার গাছে বালাইনাশক ছিটিয়েছেন। এতে তাঁর প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কোম্পানির বিশেষজ্ঞ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই বালাইনাশক দিয়েছেন।
No comments