সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রাজশাহীতে, শীতে বেড়েছে রোগব্যাধি
ঘন কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর রাজশাহীতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল জেলাটিতে। তীব্র ঠান্ডায় জেলার মানুষের জীবনযাত্রা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে; বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা হাসতাপালে ভর্তি হচ্ছেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও ত্রাণ অধিদপ্তরে ২৫ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো সাড়া মেলেনি। আবহাওয়া দপ্তর জানায়, গতকাল সকালে রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়—৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারা দেশে সর্বনিম্ন। সকালে রাজশাহীতে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ এবং বেলা তিনটায় ৭৬ শতাংশ।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শীতে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে পবা উপজেলার চরখিদির গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বৃদ্ধ ও শিশুরা আগুন জ্বেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। কোলের শিশুকে আঁচলে জড়িয়ে বাড়ির আঙিনায় কাজ করছেন এক গৃহবধূ। শীতের প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি বললেন, ‘সরকার এখানটা-ওখানটায় কম্বল দিচ্ছে, আমহারখে দেকতে পায় নাখো। ছেল্যাপিল্যা লিয়ে আমরা যে জাড়ে মইরি গেনু।’
গতকাল বিকেল চারটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে এই প্রতিবেদক ঠান্ডা, সর্দি, কাশিসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক রোগীদের চাপ দেখতে পান।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে অনেক শিশুকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছে। উচ্চশক্তির বাল্ব জ্বালিয়ে শিশুদের শরীর গরম রাখার চেষ্টা করছেন মায়েরা।
হাসপাতালের ২৪ নম্বর শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক তাহামিদুর রহমান বলেন, তাঁদের ওয়ার্ডের শিশুদের শীত থেকে সুরক্ষার রুমহিটার চালানো হয়েছে। তা ছাড়া অতিসংকটাপন্ন শিশুদের কাছে বড় বাল্ব জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান জানান, শীতার্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ১০ হাজার এবং ত্রাণ অধিদপ্তরে ১৫ হাজার কম্বলের জন্য গত শুক্রবার তিনি ফ্যাক্সবার্তা পাঠিয়েছেন। তবে বুধবার (গতকাল) পর্যন্ত কোনো সাড়া পাননি।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শীতে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে পবা উপজেলার চরখিদির গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বৃদ্ধ ও শিশুরা আগুন জ্বেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। কোলের শিশুকে আঁচলে জড়িয়ে বাড়ির আঙিনায় কাজ করছেন এক গৃহবধূ। শীতের প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি বললেন, ‘সরকার এখানটা-ওখানটায় কম্বল দিচ্ছে, আমহারখে দেকতে পায় নাখো। ছেল্যাপিল্যা লিয়ে আমরা যে জাড়ে মইরি গেনু।’
গতকাল বিকেল চারটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে এই প্রতিবেদক ঠান্ডা, সর্দি, কাশিসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক রোগীদের চাপ দেখতে পান।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে অনেক শিশুকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছে। উচ্চশক্তির বাল্ব জ্বালিয়ে শিশুদের শরীর গরম রাখার চেষ্টা করছেন মায়েরা।
হাসপাতালের ২৪ নম্বর শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক তাহামিদুর রহমান বলেন, তাঁদের ওয়ার্ডের শিশুদের শীত থেকে সুরক্ষার রুমহিটার চালানো হয়েছে। তা ছাড়া অতিসংকটাপন্ন শিশুদের কাছে বড় বাল্ব জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান জানান, শীতার্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ১০ হাজার এবং ত্রাণ অধিদপ্তরে ১৫ হাজার কম্বলের জন্য গত শুক্রবার তিনি ফ্যাক্সবার্তা পাঠিয়েছেন। তবে বুধবার (গতকাল) পর্যন্ত কোনো সাড়া পাননি।
No comments