রাজনীতি তাহলে কার জন্য?- জনদুর্ভোগ
গতকাল বিরোধী দলের পাঁচটি পথসভার জন্য পুরো ঢাকা নগরে দুঃসহ যানজটের সৃষ্টি হয়। অবস্থা যে এমন হবে, তা অজানা ছিল না। সম্ভাব্য জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বিএনপি আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছে। এ জন্য বলা যাবে, মানুষের দুর্ভোগের বিষয়ে ওরা সচেতন।
কিন্তু তাতে কি মানুষের দুর্ভোগ বিন্দুমাত্র কমেছে?
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আজ ও আগামী শনিবারও মানুষকে এ ধরনের দুর্ভোগের শিকার হতে হবে, এবং সেটা হবে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে। আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর ও জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মাঠের ভেতরে কাউন্সিল হলে আপত্তির কিছু থাকে না। কিন্তু মুশকিল হলো, আয়োজন জাঁকজমকপূর্ণ করার জন্য মিছিলের পর মিছিল আসতে থাকে, চারপাশের রাস্তাঘাট আটকে যায়। জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতার জন্য মানুষ অনিশ্চয়তায় রয়েছে। যেমন গতকাল ঢাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পথসভায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় অনেকেই রাস্তায় গাড়ি বের করেননি। কারণ, কিছু হলেই নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর একটি অশুভ সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। মানুষ অসহায়। আজ ও শনিবারও মানুষ নির্ভয়ে থাকতে পারবে না। সংঘর্ষের আশঙ্কা না থাকলেও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব যে হবে না, তা কে হলফ করে বলবে?
রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ গণতান্ত্রিক অধিকার। বাংলাদেশের মতো উত্তাল রাজনীতির দেশে এ ধরনের সমাবেশ এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। মানুষও সভা-সমাবেশের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে প্রত্যাশা, তারা মানুষের দুর্ভোগ যথাসম্ভব কমানোর চেষ্টা করবে। কর্মসূচিগুলো মিলনায়তনে করাই ভালো। রাজপথে ব্যাপক জনসমাবেশ ঘটিয়ে শক্তি প্রদর্শনের প্রচলিত ধারাটি তথ্যপ্রযুক্তির এই এসএমএস, ই-মেইল, ফেসবুকের যুগে সেকেলে হয়ে গেছে। আধুনিক ও জনকল্যাণকামী রাজনৈতিক দলগুলোকে এই পুরোনো পদ্ধতি বাদ দিতে হবে। মানুষকে কত কম বিরক্ত করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানো যায়, সেটা ভাবতে হবে।
সরকারি দলের আছে বিটিভি, বেতার। প্রধানমন্ত্রী এসএমএস করে সবাইকে বিজয় দিবসের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাই তাঁদের বক্তব্য প্রচারের জন্য রাজপথে বিশাল মিছিল না করলেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাঁরা অনায়াসে বলতে পারেন, কাউন্সিল অধিবেশনে শুধু প্রতিনিধিরাই আসবেন, লোকলস্কর নিয়ে আসার দরকার নেই। ঢাকঢোল পেটানোর চেয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্ধারিত স্থানে নিজেদের সাংগঠনিক বিষয়গুলো আলোচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণই যখন মূল করণীয়, তাহলে সেখানে কোনো গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি না করাই উত্তম। আওয়ামী লীগ এ রকম একটি সিদ্ধান্ত এখনই জানিয়ে দিলে অন্তত আজ ও শনিবার মানুষ দুর্ভোগ-দুশ্চিন্তার হাত থেকে বাঁচবে। এর সুফল পাবে আওয়ামী লীগই।
অনুরূপভাবে পথঘাট না আটকে বিটিভিসহ ২০-২২টি টিভি চ্যানেলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাঁর ভাষণ দিনে চার-পাঁচবার করে প্রচার করতে পারতেন। অনেক টিভি চ্যানেল আগ্রহ নিয়ে তা নিশ্চয়ই প্রচার করত। সরকারও বিনা পয়সায় বিটিভিতে তা প্রচারের প্রস্তাব দিলে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হতো।
রাজনীতি মানুষের জন্য, এ কথা ভুলে গেলে চলবে না।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আজ ও আগামী শনিবারও মানুষকে এ ধরনের দুর্ভোগের শিকার হতে হবে, এবং সেটা হবে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে। আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর ও জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মাঠের ভেতরে কাউন্সিল হলে আপত্তির কিছু থাকে না। কিন্তু মুশকিল হলো, আয়োজন জাঁকজমকপূর্ণ করার জন্য মিছিলের পর মিছিল আসতে থাকে, চারপাশের রাস্তাঘাট আটকে যায়। জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতার জন্য মানুষ অনিশ্চয়তায় রয়েছে। যেমন গতকাল ঢাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পথসভায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় অনেকেই রাস্তায় গাড়ি বের করেননি। কারণ, কিছু হলেই নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর একটি অশুভ সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। মানুষ অসহায়। আজ ও শনিবারও মানুষ নির্ভয়ে থাকতে পারবে না। সংঘর্ষের আশঙ্কা না থাকলেও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব যে হবে না, তা কে হলফ করে বলবে?
রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ গণতান্ত্রিক অধিকার। বাংলাদেশের মতো উত্তাল রাজনীতির দেশে এ ধরনের সমাবেশ এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। মানুষও সভা-সমাবেশের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে প্রত্যাশা, তারা মানুষের দুর্ভোগ যথাসম্ভব কমানোর চেষ্টা করবে। কর্মসূচিগুলো মিলনায়তনে করাই ভালো। রাজপথে ব্যাপক জনসমাবেশ ঘটিয়ে শক্তি প্রদর্শনের প্রচলিত ধারাটি তথ্যপ্রযুক্তির এই এসএমএস, ই-মেইল, ফেসবুকের যুগে সেকেলে হয়ে গেছে। আধুনিক ও জনকল্যাণকামী রাজনৈতিক দলগুলোকে এই পুরোনো পদ্ধতি বাদ দিতে হবে। মানুষকে কত কম বিরক্ত করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানো যায়, সেটা ভাবতে হবে।
সরকারি দলের আছে বিটিভি, বেতার। প্রধানমন্ত্রী এসএমএস করে সবাইকে বিজয় দিবসের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাই তাঁদের বক্তব্য প্রচারের জন্য রাজপথে বিশাল মিছিল না করলেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাঁরা অনায়াসে বলতে পারেন, কাউন্সিল অধিবেশনে শুধু প্রতিনিধিরাই আসবেন, লোকলস্কর নিয়ে আসার দরকার নেই। ঢাকঢোল পেটানোর চেয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্ধারিত স্থানে নিজেদের সাংগঠনিক বিষয়গুলো আলোচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণই যখন মূল করণীয়, তাহলে সেখানে কোনো গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি না করাই উত্তম। আওয়ামী লীগ এ রকম একটি সিদ্ধান্ত এখনই জানিয়ে দিলে অন্তত আজ ও শনিবার মানুষ দুর্ভোগ-দুশ্চিন্তার হাত থেকে বাঁচবে। এর সুফল পাবে আওয়ামী লীগই।
অনুরূপভাবে পথঘাট না আটকে বিটিভিসহ ২০-২২টি টিভি চ্যানেলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাঁর ভাষণ দিনে চার-পাঁচবার করে প্রচার করতে পারতেন। অনেক টিভি চ্যানেল আগ্রহ নিয়ে তা নিশ্চয়ই প্রচার করত। সরকারও বিনা পয়সায় বিটিভিতে তা প্রচারের প্রস্তাব দিলে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হতো।
রাজনীতি মানুষের জন্য, এ কথা ভুলে গেলে চলবে না।
No comments