তুষ্টির পথচলা
অভিনয়ে তুষ্টির শেকড়টা সেই ছোটবেলায় শুরু পিপলস্ লিটল থিয়েটার দিয়ে। যে কারণে চরিত্রভেদে তার অভিনয়ে সবসময়ই স্বাতন্ত্র্যতা মিলে। দর্শকনন্দিত হয় তুষ্টি অভিনীত নাটকগুলো।
আর বিজ্ঞাপনে তার প্রাণবন্ত উপস্থিতি দর্শকের কাছে তাকে আরও অধিক জনপ্রিয় করে তুলেছে। বিশেষ করে অমিতাভ রেজার নির্দেশনায় ‘হরলিকস্’ এর বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করে তুষ্টি পেয়েছেন বেশ দর্শক গ্রহণযোগ্যতা। বিজ্ঞাপনটি জনপ্রিয় হবার সুবাদে তার কাছের মানুষসহ অনেকেই তাকে ‘ভাবী’ বলে সম্বোধন করেন। তুষ্টিও তা বেশ উপভোগ করেন। জনপ্রিয় এই মডেল তারকা ও অভিনেত্রী বিগত এক সপ্তাহে এক সাথে নতুন ছয়টি মেগা ধারাবাহিক নাটকের কাজ শুরু করেছেন। নাটকগুলো হচ্ছে অরুণ চৌধুরীর ‘কাহিনী’, আশুতোষ সুজনের ‘জিরো পয়েন্ট’, মাসুদ মহিউদ্দিনের ‘মায়া’, অ্যালবার্ট খানের ‘অনন্যা’, দিব্যেন্দু উদাসের মুসাফির খানা ও সুস্ময় সুমনের ‘হ্যালো ইন্সপেক্টর’। প্রতিটি নাটকেই তুষ্টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন বলে জানিয়েছেন। তুষ্টি বলেন, ‘এখন মূলত অভিনয়ই আমার পেশা। তাই মাঝে অভিনয়ে সিরিয়াস না থাকলেও এখন অভিনয়ে বেশি সিরিয়াস হয়েছি আমি। চেষ্টা করছি আমার অভিনীত চরিত্রগুলোকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে।’ উল্লেখ্য তুষ্টি অভিনীত বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটক বর্তমানে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে জাহিদ হাসানের ‘টো টো কোম্পানি’, সৈয়দ আওলাদের ‘সাত সওদাগর’, শামীম জামানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও ‘গুলশান এভিনিউ।’সম্প্রতি তুষ্টি আরো দুটি খ- নাটকের কাজ করলেন। নাটক দুটি হচ্ছে ফাহিম আহমেদের ‘একটি শাড়ি ও তার পরের ঘটনা’ এবং সুমেন হাসানের ‘তৃতীয় স্ত্রীর ভাগ্য লেখা’। শামীমা ইসলাম তুষ্টি এ পর্যন্ত তিনটি চলচ্ছিত্রে কাজ করেছেন। সেগুলো হচ্ছে বেলাল আহমেদের ‘নন্দিত নরকে’, শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘লাল সবুজ’ ও গোলাম রব্বানীর ‘স্বপ্ন ডানায়’। অভিনয় ও বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি শাহীন কলেজে শিক্ষকতাও করছেন। নবাবগঞ্জের মেয়ে তুষ্টির বাবা মুক্তিযোদ্ধা মহিদুল ইসলাম ইদু, মা মাকসুদা ইসলাম। তার জন্মদিন ২৯ সেপ্টেম্বর। শামীমা ইসলাম তুষ্টি এ পর্যন্ত প্রায় বিশটি সামাজিক সচেতনতা মূলক বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। তুষ্টি অভিনীত একমাত্র স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে রাকিবুল হাসান পরিচালিত ‘নারী’। ২০১১ সালে তিনি এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তুষ্টি প্রথম বিজ্ঞাপনে মডেল হন ইস্পাহানি মির্জাপুর চা-এর বিজ্ঞাপনে। এটি নির্মাণ করেছিলেন মুম্বাইয়ের নির্মাতা অমিতাভো।
অভি মঈনুদ্দীন
No comments