কথোপকথন নয় বছর পর উৎসব করছি
‘কলিম শরাফী স্মরণে নাট্যোৎসব’-এর আয়োজন করেছে নাগরিক নাট্যাঙ্গন
অনসাম্বল। আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় ছয়
দিনের এ উৎসব উদ্বোধন করা হবে।
উৎসব নিয়ে কথা হলো সংগঠনটির সাধারণ
সম্পাদক জামালউদ্দিন হোসেন-এর সঙ্গে।নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বল কত দিন পর উৎসব করছে?
নয় বছর পর। মাঝে তো বছর চারেক আমি দেশের বাইরে ছিলাম। এর পরও কয়েকবার যাওয়া-আসা করেছি। তখন আমাদের দলের কার্যক্রমে একটু স্থবিরতা চলে এসেছিল। দেশে ফেরার পর সাংগঠনিক দিক থেকে সবার মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ফিরিয়ে আনতে একটু সময় লেগেছে।
আপনারা উৎসবের শিরোনাম করেছেন ‘কলিম শরাফী স্মরণে নাট্যোৎসব’। কেন?
কলিম শরাফী ছিলেন নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আমৃত্যু তিনিই সভাপতি ছিলেন। তাই এবারের উৎসব তাঁকে স্মরণ করেই আয়োজন করছি। আমাদের স্লোগান হলো, ‘ভরা থাক স্মৃতিসুধায়’।
উৎসবে নাটকের কোন কোন দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন?
এই উৎসবে থিয়েটার করবে মেরাজ ফকিরের মা, নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় করবে রক্তকরবী। উদ্বোধনী দিনে মঞ্চস্থ করব আমাদের নতুন নাটক যুগলবন্দী, মনোজ মিত্রের লেখা। শেষ দিন ২ জানুয়ারি হবে আমাদের বিবিসাব নাটকের শততম প্রদর্শনী। ভারতের কলকাতা থেকে উৎসবে অংশ নিচ্ছে বহুরূপী। এই দলটি দুটি নাটকের প্রদর্শনী করবে—দীপদত্ত ও ছাঁচভাঙা মূর্তি।
বহুরূপীকে আমন্ত্রণ জানানোর বিশেষ কোনো কারণ আছে কি?
১৯৪৮ সালে বহুরূপী প্রতিষ্ঠা করেন শম্ভু মিত্র। তখন এই দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন কলিম শরাফী। এবার উৎসবটি যেহেতু তাঁকে স্মরণ করে, তাই আমরা বহুরূপীকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছি। ২০১০ সালে বহুরূপী তাদের একটি উৎসবে আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। আমরা সেখানে মনজুরে মাওলার কাব্যনাটক আমি নই মঞ্চস্থ করেছিলাম।
উৎসবে আর কিছু থাকছে?
আজ আমরা আলোকচিত্রের একটি প্রদর্শনী করব। আমরা চাই, দর্শকেরা উৎসবটিকে সার্থক করে তুলুন।
No comments