বিএমএ নির্বাচনের ডামাডোলে শিকেয় উঠেছে স্বাস্থ্যসেবা by তৌফিক মারুফ
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বিএমএ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের স্বাস্থ্যসেবা শিকেয় ওঠার জোগাড়। প্রচার-প্রচারণার ডামাডোলে ঢাকাসহ সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে চলছে একধরনের বিশৃঙ্খল অবস্থা। একদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ স্বাচিপ, আরেকদিকে বিএনপি সমর্থিত ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাবের প্যানেলের পক্ষে দুই ভাগ হয়ে নেমে পড়েছেন চিকিৎসকরা।
নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, জনসংযোগ ও সভা-সমাবেশে সরগরম এখন প্রতিটি হাসপাতাল। ফলে চিকিৎসালয়গুলোতে ছড়িয়েছে উৎসবের মেজাজ আর পিছু হটেছে চিকিৎসাসেবার গুরুত্ব। এই নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন স্থানে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটছে। এমনকি মামলাও হচ্ছে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নিয়ে কিছু উত্তেজনাকর পরিস্থিতিও তৈরি হচ্ছে কোথাও কোথাও।
এ পরিস্থিতির মুখে পুরো নির্বাচনপ্রক্রিয়াই কিছুটা ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রশাসনিক পর্যায়ের কর্মকর্তাও নির্বাচনে প্রকাশ্যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিএমএ সূত্র জানায়, ২৯ নভেম্বরের নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশের চিকিৎসকরা এখন সরব এবং দুই ভাগ। কেন্দ্রীয় প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন দেশের বিভিন্ন এলাকা। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও চিকিৎসকদের সঙ্গে সভা ও জনসংযোগ চলছে। স্বাচিপ ও ড্যাবের পক্ষে চলছে জোর প্রচারণা।
এদিকে দুই প্যানেলই কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছে নিজ নিজ প্যানেলের মহাসচিব প্রার্থী নিয়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বাচিপের দায়িত্বশীল একজন চিকিৎসক নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের প্যানেলের অবস্থা খুবই ভালো। আশা করা যায় আমরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হব। তবে মহাসচিব প্রার্থী ও স্বাচিপের মহাসচিব পদে থাকা অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনালের পক্ষে ভোট চাইতে গেলেই অনেকে প্রশ্ন তোলেন তাঁর বাবা ও পরিবারের পরিচয় নিয়ে। জামায়াতে ইসলামীর একজন নেতা ও সংসদ সদস্যের ছেলে কিভাবে আওয়ামী লীগের এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতৃত্বে এলেন- এ নিয়ে আমাদের অনেক কথা শুনতে হয়।'
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত ড্যাবের সিনিয়র এক নেতা বলেন, 'আমাদের মহাসচিব প্রার্থী ও ড্যাবের বর্তমান মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ আছে। এরই মধ্যে ১৩টি মামলায় তাঁর সাজা হওয়ায় আমরা ভোটারদের কাছে ছোট হয়ে আছি। সম্মুখীন হচ্ছি নানা প্রশ্নের। বিশেষ করে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, যাঁর জন্য বিএনপি সমর্থিত পুরো চিকিৎসক সমাজের মান-সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়েছে তাঁকেই কেন আবার বিএমএর মহাসচিব পদে মনোনয়ন দেওয়া হলো? এমনকি ড্যাবের প্যানেল শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে না শেষ মুহূর্তে সরে আসবে তা নিয়েও অনেকের মধ্যে সংশয় আছে।'
এ বিষয়ে ড্যাবের মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ভোটের সময় ভোটারদেরকে বিভ্রান্ত করতে নানা অপপ্রচার ছড়ানো স্বাভাবিক। এসবে আমরা কান না দিয়ে বরং ভোটের জন্য কাজ করছি। আশা করি, আমরা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হব। ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত রুখে দিয়ে এবার ড্যাবের পক্ষে নীরব ভোট বিপ্লব ঘটবে।'
ডা. জাহিদ অভিযোগ করেন, 'আমরা পুরো প্যানেল নিয়ে একসঙ্গে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা ও সভা করতে গেলে নানা কৌশলে সরকারি দলের লোকজন বাধার সৃষ্টি করে। কোনো কোনো এলাকায় আমাদের প্যানেলের হয়ে কাজ করায় কোনো কোনো চিকিৎসককে বদলি করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া ব্যানার খুলে বা ছিঁড়ে ফেলা, ভয়-ভীতি দেখানোর ঘটনাও আছে। তার পরও সাধারণ চিকিৎসকরা ঠিকই সাড়া দিচ্ছেন।'
ড্যাবে জাহিদবিরোধী গ্রুপ বলে পরিচিত বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মাজহারুল ইসলাম দোলনের পক্ষে থাকা ড্যাবের বিভিন্ন শাখার কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করেছে বিএনপি। গত বুধবার এ-সংক্রান্ত একটি বিবৃতিও ছাপা হয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়।
অন্যদিকে স্বাচিপের মনোনয়ন নিয়ে প্রথমদিকে নিজেদের মধ্যে কিছুটা কোন্দল থাকলেও দুই দিন আগে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হকের বাসায় এক সমঝোতা বৈঠকের পর এখন সবাই এক হয়ে মাঠে নেমেছেন। শুরু থেকে কয়েক দিন স্বাচিপ প্যানেলের যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী ডা. এম এ আজিজ সংক্ষুব্ধ হয়ে প্রচারণায় নামেননি। তবে গতকাল শনিবার থেকে তিনি সক্রিয় হয়েছেন।
স্বাচিপ সূত্র জানায়, নির্বাচনী কার্যক্রম নিয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামে স্বাচিপের দুই গ্রুপ মুখোমুখি। ভোটার না হতে পারায় টাঙ্গাইলে ক্ষুব্ধ এক স্বাচিপ সমর্থক আদালতে মামলা করেছেন।
বিএমএর বর্তমান মহাসচিব ও স্বাচিপ প্যানেলের অন্যতম নির্বাচনী সংগঠক অধ্যাপক ডা. সারফুদ্দিন আহম্মেদ গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা সারা দেশে ভোটারদের কাছে যাচ্ছি। বিভিন্ন টিম বিভিন্ন দিকে যাচ্ছে। আমি নিজে বরিশাল-ঝালকাঠি হয়ে এখন উত্তরবঙ্গের পথে রয়েছি।'
আমাদের রাজশাহী অফিস জানায়, গতকাল শনিবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের কায়ছার মেমোরিয়াল অডিটোরিয়ামে প্যানেল পরিচিতি সভায় যোগ দেন স্বাচিপ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী ডা. মাহমুদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ডা. এম ইকবাল আর্সলান, সহসভাপতি প্রার্থী ডা. তবিবুর রহমান শেখসহ স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, উপাধ্যক্ষ ও হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের প্রধান ডা. দায়েম উদ্দিন, মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. খলিলুর রহমান, শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান নওসাদ আলীসহ রামেক হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, অধ্যাপক ও বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা।
গতকাল দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালের ১৪ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তিন-চার জন ইন্টার্নি চিকিৎসক রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। সকাল থেকে ওই ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া নতুন রোগীদের চিকিৎসা দিতে তাঁরা হিমশিম খাচ্ছিলেন। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের ক্ষেত্রে তাঁরা কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় ওই রোগীদের রবিবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে একজন ইন্টার্নি চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান। তিনি বলেন, ওয়ার্ডের সিনিয়র চিকিৎসকরা তাঁদের দায়িত্ব দিয়ে বিএমএর নির্বাচনী সভায় চলে যাওয়ায় রোগীদের কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে স্বাচিপের রাজশাহী শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. দায়েম উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিয়েই চিকিৎসকরা সভায় যোগ দিয়েছেন। এমনকি ১২টা পর্যন্ত বহির্বিভাগের সময় শেষ করেই সভা শুরু হয়েছে দুপুর সাড়ে ১২টায়। কাজেই চিকিৎসাসেবার কোনো সমস্যা হয়নি।
এ পরিস্থিতির মুখে পুরো নির্বাচনপ্রক্রিয়াই কিছুটা ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রশাসনিক পর্যায়ের কর্মকর্তাও নির্বাচনে প্রকাশ্যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিএমএ সূত্র জানায়, ২৯ নভেম্বরের নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশের চিকিৎসকরা এখন সরব এবং দুই ভাগ। কেন্দ্রীয় প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন দেশের বিভিন্ন এলাকা। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও চিকিৎসকদের সঙ্গে সভা ও জনসংযোগ চলছে। স্বাচিপ ও ড্যাবের পক্ষে চলছে জোর প্রচারণা।
এদিকে দুই প্যানেলই কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছে নিজ নিজ প্যানেলের মহাসচিব প্রার্থী নিয়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বাচিপের দায়িত্বশীল একজন চিকিৎসক নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের প্যানেলের অবস্থা খুবই ভালো। আশা করা যায় আমরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হব। তবে মহাসচিব প্রার্থী ও স্বাচিপের মহাসচিব পদে থাকা অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনালের পক্ষে ভোট চাইতে গেলেই অনেকে প্রশ্ন তোলেন তাঁর বাবা ও পরিবারের পরিচয় নিয়ে। জামায়াতে ইসলামীর একজন নেতা ও সংসদ সদস্যের ছেলে কিভাবে আওয়ামী লীগের এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতৃত্বে এলেন- এ নিয়ে আমাদের অনেক কথা শুনতে হয়।'
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত ড্যাবের সিনিয়র এক নেতা বলেন, 'আমাদের মহাসচিব প্রার্থী ও ড্যাবের বর্তমান মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ আছে। এরই মধ্যে ১৩টি মামলায় তাঁর সাজা হওয়ায় আমরা ভোটারদের কাছে ছোট হয়ে আছি। সম্মুখীন হচ্ছি নানা প্রশ্নের। বিশেষ করে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, যাঁর জন্য বিএনপি সমর্থিত পুরো চিকিৎসক সমাজের মান-সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়েছে তাঁকেই কেন আবার বিএমএর মহাসচিব পদে মনোনয়ন দেওয়া হলো? এমনকি ড্যাবের প্যানেল শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে না শেষ মুহূর্তে সরে আসবে তা নিয়েও অনেকের মধ্যে সংশয় আছে।'
এ বিষয়ে ড্যাবের মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ভোটের সময় ভোটারদেরকে বিভ্রান্ত করতে নানা অপপ্রচার ছড়ানো স্বাভাবিক। এসবে আমরা কান না দিয়ে বরং ভোটের জন্য কাজ করছি। আশা করি, আমরা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হব। ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত রুখে দিয়ে এবার ড্যাবের পক্ষে নীরব ভোট বিপ্লব ঘটবে।'
ডা. জাহিদ অভিযোগ করেন, 'আমরা পুরো প্যানেল নিয়ে একসঙ্গে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা ও সভা করতে গেলে নানা কৌশলে সরকারি দলের লোকজন বাধার সৃষ্টি করে। কোনো কোনো এলাকায় আমাদের প্যানেলের হয়ে কাজ করায় কোনো কোনো চিকিৎসককে বদলি করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া ব্যানার খুলে বা ছিঁড়ে ফেলা, ভয়-ভীতি দেখানোর ঘটনাও আছে। তার পরও সাধারণ চিকিৎসকরা ঠিকই সাড়া দিচ্ছেন।'
ড্যাবে জাহিদবিরোধী গ্রুপ বলে পরিচিত বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মাজহারুল ইসলাম দোলনের পক্ষে থাকা ড্যাবের বিভিন্ন শাখার কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করেছে বিএনপি। গত বুধবার এ-সংক্রান্ত একটি বিবৃতিও ছাপা হয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়।
অন্যদিকে স্বাচিপের মনোনয়ন নিয়ে প্রথমদিকে নিজেদের মধ্যে কিছুটা কোন্দল থাকলেও দুই দিন আগে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হকের বাসায় এক সমঝোতা বৈঠকের পর এখন সবাই এক হয়ে মাঠে নেমেছেন। শুরু থেকে কয়েক দিন স্বাচিপ প্যানেলের যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী ডা. এম এ আজিজ সংক্ষুব্ধ হয়ে প্রচারণায় নামেননি। তবে গতকাল শনিবার থেকে তিনি সক্রিয় হয়েছেন।
স্বাচিপ সূত্র জানায়, নির্বাচনী কার্যক্রম নিয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামে স্বাচিপের দুই গ্রুপ মুখোমুখি। ভোটার না হতে পারায় টাঙ্গাইলে ক্ষুব্ধ এক স্বাচিপ সমর্থক আদালতে মামলা করেছেন।
বিএমএর বর্তমান মহাসচিব ও স্বাচিপ প্যানেলের অন্যতম নির্বাচনী সংগঠক অধ্যাপক ডা. সারফুদ্দিন আহম্মেদ গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা সারা দেশে ভোটারদের কাছে যাচ্ছি। বিভিন্ন টিম বিভিন্ন দিকে যাচ্ছে। আমি নিজে বরিশাল-ঝালকাঠি হয়ে এখন উত্তরবঙ্গের পথে রয়েছি।'
আমাদের রাজশাহী অফিস জানায়, গতকাল শনিবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের কায়ছার মেমোরিয়াল অডিটোরিয়ামে প্যানেল পরিচিতি সভায় যোগ দেন স্বাচিপ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী ডা. মাহমুদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ডা. এম ইকবাল আর্সলান, সহসভাপতি প্রার্থী ডা. তবিবুর রহমান শেখসহ স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, উপাধ্যক্ষ ও হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের প্রধান ডা. দায়েম উদ্দিন, মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. খলিলুর রহমান, শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান নওসাদ আলীসহ রামেক হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, অধ্যাপক ও বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা।
গতকাল দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালের ১৪ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তিন-চার জন ইন্টার্নি চিকিৎসক রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। সকাল থেকে ওই ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া নতুন রোগীদের চিকিৎসা দিতে তাঁরা হিমশিম খাচ্ছিলেন। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের ক্ষেত্রে তাঁরা কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় ওই রোগীদের রবিবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে একজন ইন্টার্নি চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান। তিনি বলেন, ওয়ার্ডের সিনিয়র চিকিৎসকরা তাঁদের দায়িত্ব দিয়ে বিএমএর নির্বাচনী সভায় চলে যাওয়ায় রোগীদের কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে স্বাচিপের রাজশাহী শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. দায়েম উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিয়েই চিকিৎসকরা সভায় যোগ দিয়েছেন। এমনকি ১২টা পর্যন্ত বহির্বিভাগের সময় শেষ করেই সভা শুরু হয়েছে দুপুর সাড়ে ১২টায়। কাজেই চিকিৎসাসেবার কোনো সমস্যা হয়নি।
No comments