গাড়ির অসুখ সারাচ্ছে ওরা by মাশরেখা মনা
গাড়ি স্টার্ট নিচ্ছে না, ইঞ্জিন গরম হয়ে যাচ্ছে, স্পিড ব্রেকিং সিস্টেমে সমস্যা_ গাড়ির এসব রোগ সারাতে এখন মেয়েরা বেশ পারদর্শী হয়ে উঠছেন। শুধু এসব কেন, গাড়ির যে কোনো সমস্যা তারা বেশ দ্রুত বুঝে তা সারিয়ে দিচ্ছেন। কাজের ক্ষেত্রে মনোযোগী বেশি হওয়ার কারণে কাজগুলোতে ভালোও করছেন তারা।
ফলে অনেকেই আজকাল নারী মেকানিকের কাছে যাচ্ছেন তাদের গাড়ির সমস্যা নিয়ে। ষাটোর্ধ্ব আফসার চৌধুরী তার গাড়ির যে কোনো সমস্যায় মেয়ে মেকানিকের কাছেই যান। এর কারণ হিসেবে তিনি বললেন, গাড়ির তেমন কিছু আমি বুঝি না। চার বছর ধরে গাড়ি ভালোই চলছে। ইদানীং ড্রাইভার প্রায়ই গাড়ির এটা নষ্ট, ওটা নষ্ট বলে আমাকে অস্থির করে তুলছে। গাড়ির ড্রাইভারদের সঙ্গে মেকানিকদের একটা যোগাযোগ থাকে। কাজের ক্ষেত্রে চরম অসাধুতা থাকে। কিন্তু মেয়ে মেকানিকের ক্ষেত্রে এ ধরনের অসাধুতা দেখা যায় না। ওরা খুব সৎ। সমস্যাটা ভালোভাবে ধরতে পারে। যতটুকু কাজ করা দরকার ততটুকু করে। ভালো জিনিসটা দেয়। কাজ করিয়ে শান্তি পাই। শারমিন সুলতানারও একই কথা। বললেন, নিজে গাড়ি চালাই। গাড়ির বিষয় মোটামুটি বুঝি। যেহেতু খুব কম হলেও মেয়ে মেকানিক এখন পাই, তাই ওদের দিয়েই কাজ করাই। ওরা সততা এবং বিশ্বস্ততার সঙ্গে কাজ করে। মেয়েদের নিষ্ঠা ও সততার বিষয়টি চিন্তা করে আজকাল হাতেগোনা দু-তিনটি প্রতিষ্ঠান মেয়ে মেকানিক তৈরি করার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। 'আসাহি জাপান অটো সলিউশন' এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এ সংস্থার কর্মকর্তা তারেক আবদুল্লাহ জানান, এখানে যে মেয়েরা কাজ করতে আসে তাদের খুব বেশি শিক্ষা বা টেকনিক্যাল দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। মেয়েদের সাধারণ যোগ্যতা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ তদের নেয়। তাদের বিভিন্ন টেকনিক্যাল ট্রেনিং করিয়ে তারপর কাজে লাগানো হয়। তারেক আবদুল্লাহ বলেন, ক্ষেত্রবিশেষ মেয়ে মেকানিকরা ছেলে মেকানিকদের চেয়ে ভালো কাজ করে। আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কাজের ক্ষেত্রে ওরা খুবই মনোযোগী, একাত্ম এবং বিশ্বাসী। গাড়ির কাজগুলো তারা অনেক দক্ষতা ও বিশ্বাসের সঙ্গে করে। অনেক জায়গায় ছেলেরা তা করছে না, নানাভাবে মালিকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মেয়েরা টেকনিক্যাল ক্ষেত্রে বেশি বেশি ভূমিকা রাখুক এটা আমরা চাই। হ
No comments