ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত গাজায় হামাসের সদর দপ্তরে বিমান হামলা
ইসরায়েল গতকাল শনিবার গাজায় হামাসের সরকারি ভবনগুলো লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও রয়েছে। ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা সম্ভাব্য স্থল হামলার জন্য প্রায় ৭৫ হাজার রিজার্ভ সেনা পাঠানোর অনুমোদন দেওয়ার পর এ হামলা চালানো হলো।
গাজা পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইসরায়েল ও মিসরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। গতকাল গাজার দক্ষিণে রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে চারজন। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে তাদের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৮ জনে।
গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস বলেছে, ফিলিস্তিনি সংগঠন প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়ার সরকারি কার্যালয়ে গতকাল ইসরায়েলি বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। ওই কার্যালয়ে মাত্র এক দিন আগে তিনি মিসরের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাশাপাশি গাজার পুলিশ সদর দপ্তরেও হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলের এ হামলার মধ্যেই তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে গতকাল সকালে গাজা যান। তিনি আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান। গাজার কর্মকর্তারা বলেন, ইসরায়েলের বিমান হামলা শুরুর পর এ পর্যন্ত ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আট শিশু ও এক প্রসূতি নারীসহ এদের অর্ধেকই বেসামরিক নাগরিক।
হামাস কর্মকর্তারা বলেন, গতকাল সকালে তাঁদের পদস্থ কর্মকর্তা আবু হাসান সালাহের দপ্তর বিমান হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা বলেন, তিনতলা এ দপ্তরের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে অন্তত ৩০ জনকে তাঁরা বের করেছেন।
বুধবার গাজায় বিমান হামলা শুরুর পর কয়েক দশকের মধ্যে গত শুক্রবার প্রথমবারের মতো জেরুজালেমে একটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। ইসরায়েলের বাণিজ্যকেন্দ্র তেল আবিবেও পরে রকেট ছোড়া হয়।
তেল আবিবে শুক্রবার রাতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় সামরিক অভিযান জোরালো করার ব্যাপারে মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা গাজায় স্থলসেনা পাঠাতে তাঁদের সমর্থন জানান। বৈঠকে গাজায় স্থল অভিযান চালাতে রিজার্ভ সেনার সংখ্যা ৭৫ হাজার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কূটনৈতিক তৎপরতা: মিসরের প্রধানমন্ত্রী হিশাম কান্দিল শুক্রবার গাজা গেছেন। এ সময় তিনি ইসরায়েলের এই অভিযানকে আগ্রাসন বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় কায়রো মধ্যস্থতায় প্রস্তুত বলেও জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শুক্রবার মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে টেলিফোনে তাঁর দেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি ওই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফেরার বিষয়ে তাঁর আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রেসিডেন্ট ওবামা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ওবামা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি তাঁর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। রয়টার্স, এএফপি ও বিবিসি।
গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস বলেছে, ফিলিস্তিনি সংগঠন প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়ার সরকারি কার্যালয়ে গতকাল ইসরায়েলি বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। ওই কার্যালয়ে মাত্র এক দিন আগে তিনি মিসরের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাশাপাশি গাজার পুলিশ সদর দপ্তরেও হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলের এ হামলার মধ্যেই তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে গতকাল সকালে গাজা যান। তিনি আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান। গাজার কর্মকর্তারা বলেন, ইসরায়েলের বিমান হামলা শুরুর পর এ পর্যন্ত ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আট শিশু ও এক প্রসূতি নারীসহ এদের অর্ধেকই বেসামরিক নাগরিক।
হামাস কর্মকর্তারা বলেন, গতকাল সকালে তাঁদের পদস্থ কর্মকর্তা আবু হাসান সালাহের দপ্তর বিমান হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা বলেন, তিনতলা এ দপ্তরের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে অন্তত ৩০ জনকে তাঁরা বের করেছেন।
বুধবার গাজায় বিমান হামলা শুরুর পর কয়েক দশকের মধ্যে গত শুক্রবার প্রথমবারের মতো জেরুজালেমে একটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। ইসরায়েলের বাণিজ্যকেন্দ্র তেল আবিবেও পরে রকেট ছোড়া হয়।
তেল আবিবে শুক্রবার রাতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় সামরিক অভিযান জোরালো করার ব্যাপারে মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা গাজায় স্থলসেনা পাঠাতে তাঁদের সমর্থন জানান। বৈঠকে গাজায় স্থল অভিযান চালাতে রিজার্ভ সেনার সংখ্যা ৭৫ হাজার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কূটনৈতিক তৎপরতা: মিসরের প্রধানমন্ত্রী হিশাম কান্দিল শুক্রবার গাজা গেছেন। এ সময় তিনি ইসরায়েলের এই অভিযানকে আগ্রাসন বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় কায়রো মধ্যস্থতায় প্রস্তুত বলেও জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শুক্রবার মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে টেলিফোনে তাঁর দেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি ওই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফেরার বিষয়ে তাঁর আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রেসিডেন্ট ওবামা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ওবামা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি তাঁর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। রয়টার্স, এএফপি ও বিবিসি।
No comments