কোনো অজুহাতেই বর্জন করা যাবে না- বিএনপির সংসদে ফেরার ইঙ্গিত
সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতার বক্তব্য থেকে। জানা যাচ্ছে, ‘আন্দোলনের অংশ হিসেবে’ তারা সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। আমাদের দেশে বিরোধী দল মানেই তো আন্দোলন, আন্দোলনের ‘অংশ’ হিসেবে শুরু থেকেই কেন বিএনপি সংসদে নিয়মিত হলো না, সে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।
কিন্তু এর পরও বর্তমান সংসদের মেয়াদের শেষ বছরে এসে বিরোধী দল যদি সংসদে নিয়মিত হয়, তাকে আমরা সাধুবাদ জানাতে চাই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘সরকার সংসদকে অকার্যকর করে রেখেছে। আমরা সংসদে ফিরতে চাই, এখন সরকারকে সংসদে ফেরার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’ বিএনপির উচিত আরও স্পষ্ট করে বলা যে পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের এখন কী করতে হবে।
নব্বই-পরবর্তী প্রতিটি সংসদে আমরা দেখেছি যে বিরোধী দল মানেই নানা অজুহাতে সংসদ বর্জন। সংসদীয় গণতন্ত্রে সাময়িক ওয়াকআউটের রেওয়াজ থাকলেও এ ধরনের সংসদ বর্জনের ঘটনা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। সরকারি বা বিরোধী, যে দল থেকেই নির্বাচিত হোক না কেন সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব হচ্ছে নিয়মিত সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়া, কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও আমরা দেখলাম, দীর্ঘদিন ধরে সংসদ বর্জন করার মতো অনৈতিক কাজ করে গেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। সদস্যপদ ধরে রাখার জন্য সংসদে যোগ দিয়ে আবার সংসদ বর্জন করেছে। যদিও সংসদ সদস্য হিসেবে বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা সবই গ্রহণ করে যাচ্ছেন।
বিএনপি এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। এ দাবির পক্ষে জনমত আদায়ে তারা নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে রাজপথে, জনসভায় মিছিল-সমাবেশ করে দলটি যা বলছে, সেই একই কথা তারা সংসদে গিয়ে বলছে না কেন? দুটি একসঙ্গে করতে সমস্যা কোথায়? এখন বিএনপি যদি আন্দোলনের অংশ হিসেবেও সংসদে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাও শুভবুদ্ধির পরিচয় বলেই আমরা মনে করি। তবে একই সঙ্গে আশা করব, এবার বিএনপি স্থায়ীভাবেই সংসদে ফিরে আসবে। দাবিদাওয়া আদায়ে দলটি যেই রাজনৈতিক কর্মসূচিই নিক না কেন, সংসদ বর্জন যেন সে দাবি আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহূত না হয়। আর আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলছে সংসদ বর্জন করে কোনো দল কোনো দাবি আদায় করতে পারেনি।
সংসদের মেয়াদ আর বছর খানেক রয়েছে। আমরা আশা করব, প্রধান বিরোধী দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সংসদের বাকি মেয়াদ প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সংসদে আসার জন্য যে পরিবেশ সৃষ্টির কথা বলেছে, সে বিষয়টির প্রতি আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সরকারি দলের কাছ থেকেও আমরা এ ব্যাপারে আন্তরিক সাড়া আশা করছি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘সরকার সংসদকে অকার্যকর করে রেখেছে। আমরা সংসদে ফিরতে চাই, এখন সরকারকে সংসদে ফেরার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’ বিএনপির উচিত আরও স্পষ্ট করে বলা যে পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের এখন কী করতে হবে।
নব্বই-পরবর্তী প্রতিটি সংসদে আমরা দেখেছি যে বিরোধী দল মানেই নানা অজুহাতে সংসদ বর্জন। সংসদীয় গণতন্ত্রে সাময়িক ওয়াকআউটের রেওয়াজ থাকলেও এ ধরনের সংসদ বর্জনের ঘটনা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। সরকারি বা বিরোধী, যে দল থেকেই নির্বাচিত হোক না কেন সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব হচ্ছে নিয়মিত সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়া, কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও আমরা দেখলাম, দীর্ঘদিন ধরে সংসদ বর্জন করার মতো অনৈতিক কাজ করে গেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। সদস্যপদ ধরে রাখার জন্য সংসদে যোগ দিয়ে আবার সংসদ বর্জন করেছে। যদিও সংসদ সদস্য হিসেবে বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা সবই গ্রহণ করে যাচ্ছেন।
বিএনপি এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। এ দাবির পক্ষে জনমত আদায়ে তারা নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে রাজপথে, জনসভায় মিছিল-সমাবেশ করে দলটি যা বলছে, সেই একই কথা তারা সংসদে গিয়ে বলছে না কেন? দুটি একসঙ্গে করতে সমস্যা কোথায়? এখন বিএনপি যদি আন্দোলনের অংশ হিসেবেও সংসদে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাও শুভবুদ্ধির পরিচয় বলেই আমরা মনে করি। তবে একই সঙ্গে আশা করব, এবার বিএনপি স্থায়ীভাবেই সংসদে ফিরে আসবে। দাবিদাওয়া আদায়ে দলটি যেই রাজনৈতিক কর্মসূচিই নিক না কেন, সংসদ বর্জন যেন সে দাবি আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহূত না হয়। আর আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলছে সংসদ বর্জন করে কোনো দল কোনো দাবি আদায় করতে পারেনি।
সংসদের মেয়াদ আর বছর খানেক রয়েছে। আমরা আশা করব, প্রধান বিরোধী দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সংসদের বাকি মেয়াদ প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সংসদে আসার জন্য যে পরিবেশ সৃষ্টির কথা বলেছে, সে বিষয়টির প্রতি আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সরকারি দলের কাছ থেকেও আমরা এ ব্যাপারে আন্তরিক সাড়া আশা করছি।
No comments