অসুস্থ শিশুর ঝাড়ফুঁক পানিপড়া নিতে ভিড়!
রোগ থেকে মুক্তির আশায় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার অষ্টমীরচরের মুদাফৎ কালিকাপুর হাজীপাড়া গ্রামের সাড়ে তিন বছরের এক শিশুর কাছ থেকে পানিপড়া, তেলপড়া ও ঝাড়ফুঁক নিতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ আসছে। শিশুটি অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী—স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী চক্র এমন প্রচারণা চালিয়ে শিশুটির কাছ থেকে ‘ওষুধ’ নিতে উদ্বুদ্ধ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন লোকমান হাকিম বলেন, এসবের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। শিশুটি নিজেই অসুস্থ। তার দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। একশ্রেণীর মানুষ শিশুটির মাধ্যমে ফায়দা লুটছে। অবিলম্বে এ ব্যাপারে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার শিশুটির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা কয়েক শ নারী-পুরুষের ভিড়। ভিড় ঠেলে লোকজন পানিপড়া নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। স্থানীয় একটি দালাল চক্র সেখানকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে।
চিকিৎসা নিতে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক লোকের আগমন ঘটায় এ চরে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ, পান ও চিড়া-মুড়ির দোকান। স্থানীয় শিশুরা তেল ও পানির বোতল, খালি বোতল বিক্রি করছে। এই চর থেকে চলাচলকারী নৌকার মাঝিদের আয়ও কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।
সুমন নামের ওই শিশুটির মা সুন্দরী বেগমের দাবি, সুমন জন্মসূত্রেই অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। তার বাবা সাইদুর রহমান দাবি করেন, সুমন যখন কথা বলতে শেখে তখনই প্রথম সে পানিপড়া, তেলপড়া ও ঝাড়ফুঁক দিয়ে তার অসুস্থ মা ও ফুফুকে সুস্থ করে তোলে। এরপর এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দূর-দূরান্ত থেকে অসুস্থ লোকজন পানিপড়া, ঝাড়ফুঁক, তেল নিতে সুমনের কাছে আসতে থাকে।
বাতের ব্যথায় আক্রান্ত রৌমারীর দাঁতভাগা এলাকার হাজেরা বেগম জানান, লোকজনের কাছে শুনে তিনি পানিপড়া নিতে এসেছেন। মুদাফৎ কালিকাপুর গ্রামের ইমদাদুল হক ও জহুরুল ইসলাম, রাজীবপুর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের আবু আসাদ, নয়াবাড়ী গ্রামের নুরুজ্জামান, আছিয়া, রৌমারী উপজেলার টাপুরচর এলাকার আবদুল ছাত্তার, মোজামেঞ্চল, তালুকার চর গ্রামের আবুল কাশেম ও কোদালকাটি গ্রামের এমদাদুল হকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা পেটের পীড়া, মাথাব্যথা, বুক ব্যথা, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। এ কারণে তেল-পানিপড়া ও ঝাড়ফুঁক নিতে এসেছেন। বিনিময়ে খুশি হয়ে শিশুটিকে যে যা পারেন দেন। এ ছাড়া গ্রামবাসী স্থানীয় মসজিদ ও মক্তবের উন্নয়নের জন্য একটি দানবাক্স বসিয়েছে। লোকজন সেখানে সামর্থ্য অনুযায়ী দান করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কয়েকজন জানান, একটি চক্র শিশুটির অসাধারণ ক্ষমতা আছে এমন প্রচারণা চালিয়ে মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাঁরা আরও জানান, শিশুটি নিজেই অসুস্থ। তার শরীরে অসংখ্য ঘা। সে নিজেই অপুষ্টিতে ভুগছে।
অষ্টমীরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পরিবারটিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু লোকজন কোনো কথা মানছে না। চিলমারীর ঢুষমারা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আতাউর রহমান বলেন, ১২ নভেম্বর শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে চিলমারী হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ওই দিনই বিকেলে পরিবার তাকে নিয়ে আসে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোছাদ্দেক বিল্লা বলেন, কয়েক হাজার মানুষ পানিপড়া নেওয়ার জন্য হাসপাতালে ভিড় জমালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতিক্রমে শিশুটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার শিশুটির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা কয়েক শ নারী-পুরুষের ভিড়। ভিড় ঠেলে লোকজন পানিপড়া নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। স্থানীয় একটি দালাল চক্র সেখানকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে।
চিকিৎসা নিতে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক লোকের আগমন ঘটায় এ চরে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ, পান ও চিড়া-মুড়ির দোকান। স্থানীয় শিশুরা তেল ও পানির বোতল, খালি বোতল বিক্রি করছে। এই চর থেকে চলাচলকারী নৌকার মাঝিদের আয়ও কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।
সুমন নামের ওই শিশুটির মা সুন্দরী বেগমের দাবি, সুমন জন্মসূত্রেই অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। তার বাবা সাইদুর রহমান দাবি করেন, সুমন যখন কথা বলতে শেখে তখনই প্রথম সে পানিপড়া, তেলপড়া ও ঝাড়ফুঁক দিয়ে তার অসুস্থ মা ও ফুফুকে সুস্থ করে তোলে। এরপর এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দূর-দূরান্ত থেকে অসুস্থ লোকজন পানিপড়া, ঝাড়ফুঁক, তেল নিতে সুমনের কাছে আসতে থাকে।
বাতের ব্যথায় আক্রান্ত রৌমারীর দাঁতভাগা এলাকার হাজেরা বেগম জানান, লোকজনের কাছে শুনে তিনি পানিপড়া নিতে এসেছেন। মুদাফৎ কালিকাপুর গ্রামের ইমদাদুল হক ও জহুরুল ইসলাম, রাজীবপুর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের আবু আসাদ, নয়াবাড়ী গ্রামের নুরুজ্জামান, আছিয়া, রৌমারী উপজেলার টাপুরচর এলাকার আবদুল ছাত্তার, মোজামেঞ্চল, তালুকার চর গ্রামের আবুল কাশেম ও কোদালকাটি গ্রামের এমদাদুল হকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা পেটের পীড়া, মাথাব্যথা, বুক ব্যথা, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। এ কারণে তেল-পানিপড়া ও ঝাড়ফুঁক নিতে এসেছেন। বিনিময়ে খুশি হয়ে শিশুটিকে যে যা পারেন দেন। এ ছাড়া গ্রামবাসী স্থানীয় মসজিদ ও মক্তবের উন্নয়নের জন্য একটি দানবাক্স বসিয়েছে। লোকজন সেখানে সামর্থ্য অনুযায়ী দান করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কয়েকজন জানান, একটি চক্র শিশুটির অসাধারণ ক্ষমতা আছে এমন প্রচারণা চালিয়ে মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাঁরা আরও জানান, শিশুটি নিজেই অসুস্থ। তার শরীরে অসংখ্য ঘা। সে নিজেই অপুষ্টিতে ভুগছে।
অষ্টমীরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পরিবারটিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু লোকজন কোনো কথা মানছে না। চিলমারীর ঢুষমারা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আতাউর রহমান বলেন, ১২ নভেম্বর শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে চিলমারী হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ওই দিনই বিকেলে পরিবার তাকে নিয়ে আসে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোছাদ্দেক বিল্লা বলেন, কয়েক হাজার মানুষ পানিপড়া নেওয়ার জন্য হাসপাতালে ভিড় জমালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতিক্রমে শিশুটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
No comments