এবার বিশ্ব বুঝল বাংলাদেশের অবস্থানই সঠিক by মেহেদী হাসান
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাত হলেই সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের আসার সুযোগ দিতে বাংলাদেশকে সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জানায় জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সাম্প্রতিক সময়ে এমন অনেক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। সরকার বলেছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে নয়, মিয়ানমারকে চাপ দেওয়া উচিত।
নতুন করে শরণার্থী না নেওয়ায় দেশে-বিদেশে সমালোচনার পাশাপাশি সিদ্ধান্ত বদলাতে প্রভাবশালী দেশগুলোর চাপ- এত সব সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছে, সঙ্গে চালিয়েছে কূটনৈতিক তৎপরতাও। এবার যেন এরই সুফল মিলতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন স্বীকার করছে, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান মিয়ানমারেই। কাজেই এ সমস্যার সমাধানসহ সেখানকার জাতিগত সংঘাত মোকাবিলা করে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় মিয়ানমারকেই কাজ করতে হবে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, গত জুন থেকেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে নতুন করে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সীমান্ত খোলার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ জোর দিয়ে বলেছে, বছরের পর বছর কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে আছে। নতুন করে শরণার্থী নেওয়া এ দেশের পক্ষে সম্ভব নয়।
গত ১৪ জুন জাতীয় সংসদে দেওয়া এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বাংলাদেশের ওপর চাপ না দিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ না করে তাঁদের মিয়ানমার সফরের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'পাশ্চাত্যের নেতারা এখন মিয়ানমারে যাচ্ছেন। আজ তো মিয়ানমার তাঁদের বন্ধুরাষ্ট্র। আজকের মিয়ানমার আগের মিয়ানমার নয়।' তিনি আরো বলেছিলেন, 'আজ যদি তাঁরা সম্ভাবনাময় বন্ধুরাষ্ট্রটিকে অনুরোধ জানিয়ে সংঘাত নিরসনের চেষ্টা করতেন, তাহলে বুঝতাম, সত্যিই তাঁরা সমাধান চান।'
অতীতে বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ব্যাপারে চুপ থেকে কেবল বাংলাদেশের ওপর প্রভাবশালী দেশগুলোর চাপ সৃষ্টি নিয়ে এভাবে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সংঘাতময় পরিস্থিতিতে দুই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যায়। একটি সুরক্ষা, অন্যটি প্রত্যাবাসন। শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করে, এমন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোর আগ্রহ 'সুরক্ষা'র চেয়ে 'প্রত্যাবাসন'-এ বেশি বলে সমালোচনা রয়েছে। কারণ, এর সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোর অস্তিত্ব নির্ভর করে।
সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন সময় সুযোগ পেলেই শরণার্থী নেওয়ার ব্যাপারে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারসহ (ইউএনএইচসিআর) দাতাদের চাপও এসেছে। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বাংলাদেশের নীতি নিবর্তনমূলক নয়, তবে সংগত কারণেই নতুন করে শরণার্থী না নেওয়ার অবস্থানে দৃঢ় থেকেছে সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, 'শরণার্থী-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কোনো সনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেনি। কোনো আন্তর্জাতিক শরণার্থীবিষয়ক আইন, সনদ বা আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইনে অনুস্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রও বাংলাদেশ নয়। তাই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে আমাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।' তিনি আরো বলেন, 'আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা না থাকা সত্ত্বেও মানবিক কারণে আমরা তাদের এ দেশে থাকতে দিচ্ছি। সীমান্ত খুলে দিতে আমরা বাধ্য নই।'
কূটনৈতিক সূত্রগুলো আরো জানায়, মিয়ানমার থেকে এ দেশে রোহিঙ্গাদের আসার মূল কারণ অর্থনৈতিক বলে মনে করে বাংলাদেশ। সে দেশে রোহিঙ্গাদের কোনো অধিকার নেই, নেই কাজের সুযোগ। আর এ কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারাও ফিরে যেতে উৎসাহিত হয় না।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন জাতিসংঘ মহাসচিবকে লেখা চিঠিতে রোহিঙ্গাদের অধিকার দেওয়ার বিষয়টি তাঁর সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক গতকাল শনিবার দুপুরে কালের কণ্ঠকে বলেছেন, 'মিয়ানমার সরকার যদি রোহিঙ্গাদের অধিকারের দিকে নজর দেয় তবে তা হবে নাটকীয় অগ্রগতি। বাংলাদেশও এটা চাইছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে নিরাপদে বসবাসের সুযোগ পেলে তারা আর এ দেশে আসতে চাইবে না। কারণ রোহিঙ্গারা জানে, বাংলাদেশ তাদের নয়।'
ওই কূটনীতিক বলেন, মিয়ানমার সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতেও উৎসাহিত হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে এত দিন মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক মহলের দৃশ্যত চাপ কেন ছিল না জানতে চাইলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, সামরিক জান্তার শাসনের কারণে মিয়ানমার ছিল কার্যত একঘরে। এখন সেখানে গণতান্ত্রিক সংস্কার-প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বন্ধুরাষ্ট্রগুলো ওই দেশের কাছে তাদের প্রত্যাশার কথা জানানোর সুযোগ পাচ্ছে। গত মে মাসে ঢাকা সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনও মিয়ানমারে সংস্কার-প্রক্রিয়া শুরুর কথা উল্লেখ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
সূত্রগুলো আরো জানায়, মিয়ানমারে সাম্প্রতিক সংঘাতগুলোতে রাষ্ট্র সরাসরি জড়িত ছিল- এ কথা শোনা যায় না। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকেই মিয়ানমারে গেছে- এমন ভাবনা বিভিন্ন মহল থেকে প্রচার করা হলেও মিয়ানমারসহ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে যুক্তি দিয়ে তা নাকচ করেছে ঢাকা। কয়েক দিন আগেও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গাদের বলত 'স্টেটলেস' বা 'রাষ্ট্রহীন'। কিন্তু বাংলাদেশ তাতে জোরালো আপত্তি জানিয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে বুঝিয়েছে, রোহিঙ্গারা রাষ্ট্রহীন নয়। তারা মিয়ানমারের। সেখানে অনুকূল পরিবেশ না থাকায় তারা জীবিকার সন্ধানে বাংলাদেশে আসছে। আন্তর্জাতিক মহলগুলো এবার মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের অধিকার দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
মিয়ানমার বিভিন্ন সময় বাংলাদেশকে আশ্বাস দিয়েছে, নাগরিকত্ব যাচাই সাপেক্ষে দেশটি রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাবে। শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিতদের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার বিধান থাকলেও অনিবন্ধিতদের ক্ষেত্রে তা নেই। অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে উৎসাহিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, গত জুন থেকেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে নতুন করে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সীমান্ত খোলার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ জোর দিয়ে বলেছে, বছরের পর বছর কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে আছে। নতুন করে শরণার্থী নেওয়া এ দেশের পক্ষে সম্ভব নয়।
গত ১৪ জুন জাতীয় সংসদে দেওয়া এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বাংলাদেশের ওপর চাপ না দিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ না করে তাঁদের মিয়ানমার সফরের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'পাশ্চাত্যের নেতারা এখন মিয়ানমারে যাচ্ছেন। আজ তো মিয়ানমার তাঁদের বন্ধুরাষ্ট্র। আজকের মিয়ানমার আগের মিয়ানমার নয়।' তিনি আরো বলেছিলেন, 'আজ যদি তাঁরা সম্ভাবনাময় বন্ধুরাষ্ট্রটিকে অনুরোধ জানিয়ে সংঘাত নিরসনের চেষ্টা করতেন, তাহলে বুঝতাম, সত্যিই তাঁরা সমাধান চান।'
অতীতে বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ব্যাপারে চুপ থেকে কেবল বাংলাদেশের ওপর প্রভাবশালী দেশগুলোর চাপ সৃষ্টি নিয়ে এভাবে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সংঘাতময় পরিস্থিতিতে দুই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যায়। একটি সুরক্ষা, অন্যটি প্রত্যাবাসন। শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করে, এমন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোর আগ্রহ 'সুরক্ষা'র চেয়ে 'প্রত্যাবাসন'-এ বেশি বলে সমালোচনা রয়েছে। কারণ, এর সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোর অস্তিত্ব নির্ভর করে।
সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন সময় সুযোগ পেলেই শরণার্থী নেওয়ার ব্যাপারে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারসহ (ইউএনএইচসিআর) দাতাদের চাপও এসেছে। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বাংলাদেশের নীতি নিবর্তনমূলক নয়, তবে সংগত কারণেই নতুন করে শরণার্থী না নেওয়ার অবস্থানে দৃঢ় থেকেছে সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, 'শরণার্থী-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কোনো সনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেনি। কোনো আন্তর্জাতিক শরণার্থীবিষয়ক আইন, সনদ বা আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইনে অনুস্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রও বাংলাদেশ নয়। তাই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে আমাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।' তিনি আরো বলেন, 'আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা না থাকা সত্ত্বেও মানবিক কারণে আমরা তাদের এ দেশে থাকতে দিচ্ছি। সীমান্ত খুলে দিতে আমরা বাধ্য নই।'
কূটনৈতিক সূত্রগুলো আরো জানায়, মিয়ানমার থেকে এ দেশে রোহিঙ্গাদের আসার মূল কারণ অর্থনৈতিক বলে মনে করে বাংলাদেশ। সে দেশে রোহিঙ্গাদের কোনো অধিকার নেই, নেই কাজের সুযোগ। আর এ কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারাও ফিরে যেতে উৎসাহিত হয় না।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন জাতিসংঘ মহাসচিবকে লেখা চিঠিতে রোহিঙ্গাদের অধিকার দেওয়ার বিষয়টি তাঁর সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক গতকাল শনিবার দুপুরে কালের কণ্ঠকে বলেছেন, 'মিয়ানমার সরকার যদি রোহিঙ্গাদের অধিকারের দিকে নজর দেয় তবে তা হবে নাটকীয় অগ্রগতি। বাংলাদেশও এটা চাইছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে নিরাপদে বসবাসের সুযোগ পেলে তারা আর এ দেশে আসতে চাইবে না। কারণ রোহিঙ্গারা জানে, বাংলাদেশ তাদের নয়।'
ওই কূটনীতিক বলেন, মিয়ানমার সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতেও উৎসাহিত হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে এত দিন মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক মহলের দৃশ্যত চাপ কেন ছিল না জানতে চাইলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, সামরিক জান্তার শাসনের কারণে মিয়ানমার ছিল কার্যত একঘরে। এখন সেখানে গণতান্ত্রিক সংস্কার-প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বন্ধুরাষ্ট্রগুলো ওই দেশের কাছে তাদের প্রত্যাশার কথা জানানোর সুযোগ পাচ্ছে। গত মে মাসে ঢাকা সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনও মিয়ানমারে সংস্কার-প্রক্রিয়া শুরুর কথা উল্লেখ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
সূত্রগুলো আরো জানায়, মিয়ানমারে সাম্প্রতিক সংঘাতগুলোতে রাষ্ট্র সরাসরি জড়িত ছিল- এ কথা শোনা যায় না। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকেই মিয়ানমারে গেছে- এমন ভাবনা বিভিন্ন মহল থেকে প্রচার করা হলেও মিয়ানমারসহ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে যুক্তি দিয়ে তা নাকচ করেছে ঢাকা। কয়েক দিন আগেও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গাদের বলত 'স্টেটলেস' বা 'রাষ্ট্রহীন'। কিন্তু বাংলাদেশ তাতে জোরালো আপত্তি জানিয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে বুঝিয়েছে, রোহিঙ্গারা রাষ্ট্রহীন নয়। তারা মিয়ানমারের। সেখানে অনুকূল পরিবেশ না থাকায় তারা জীবিকার সন্ধানে বাংলাদেশে আসছে। আন্তর্জাতিক মহলগুলো এবার মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের অধিকার দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
মিয়ানমার বিভিন্ন সময় বাংলাদেশকে আশ্বাস দিয়েছে, নাগরিকত্ব যাচাই সাপেক্ষে দেশটি রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাবে। শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিতদের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার বিধান থাকলেও অনিবন্ধিতদের ক্ষেত্রে তা নেই। অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে উৎসাহিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
No comments