কথিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বঘোষিত ভিসির দণ্ড
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় কথিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বঘোষিত উপাচার্য (ভিসি) মাওলানা রফিকুল ইসলামকে (৩৯) ভ্রাম্যমাণ আদালত আবারও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এর আগে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারণা, নিজেকে ভিসি হিসেবে প্রচার ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকালে কথিত অর্জুনপাড়া মদিনাতুল উলুম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে রফিকুল ইসলাম শিক্ষাবিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করেন। দুপুরের দিকে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদেকুল ইসলাম, পুঠিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজেম উদ্দিন পুলিশ নিয়ে সেখানে যান। তাঁরা ১২ নভেম্বর প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি সংবাদের সত্যতা জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাগজপত্র দেখতে চান। এতে রফিকুল ইসলাম পুলিশ ও ইউএনওর ওপর চড়াও হন এবং কাগজপত্র দেখার কোনো এখতিয়ার তাঁদের নেই বলে জানান।
অনুমোদন না থাকলেও কেন তিনি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন—এমন প্রশ্ন করলে রফিকুল ইসলাম তাঁদের প্রতি আরও ক্ষিপ্ত হন ও একপর্যায়ে লোকজন নিয়ে তাঁদের মারতে তেড়ে আসেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি সামলান এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। পরে ইউএনও সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
ইউএনও সাদেকুল ইসলাম কারাদণ্ড দেওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘রফিকুলের প্রতিষ্ঠানের কোনো অনুমোদন বা কাগজপত্র নেই।’
উপজেলার অর্জুনপাড়ায় বিলুপ্ত একটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করেছে বলে এলাকায় প্রচারণা চালানো হয়। রফিকুল ইসলাম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে চ্যান্সেলর ও নিজেকে উপাচার্য হিসেবে উল্লেখ করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি চালাচালি করেন। সর্বশেষ গত ৪ নভেম্বর স্থানীয় একটি দৈনিকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এ নিয়ে প্রথম আলোয় সংবাদ ছাপা হলে এর তদন্ত শুরু হয়। এর আগেও ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
অনুমোদন না থাকলেও কেন তিনি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন—এমন প্রশ্ন করলে রফিকুল ইসলাম তাঁদের প্রতি আরও ক্ষিপ্ত হন ও একপর্যায়ে লোকজন নিয়ে তাঁদের মারতে তেড়ে আসেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি সামলান এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। পরে ইউএনও সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
ইউএনও সাদেকুল ইসলাম কারাদণ্ড দেওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘রফিকুলের প্রতিষ্ঠানের কোনো অনুমোদন বা কাগজপত্র নেই।’
উপজেলার অর্জুনপাড়ায় বিলুপ্ত একটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করেছে বলে এলাকায় প্রচারণা চালানো হয়। রফিকুল ইসলাম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে চ্যান্সেলর ও নিজেকে উপাচার্য হিসেবে উল্লেখ করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি চালাচালি করেন। সর্বশেষ গত ৪ নভেম্বর স্থানীয় একটি দৈনিকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এ নিয়ে প্রথম আলোয় সংবাদ ছাপা হলে এর তদন্ত শুরু হয়। এর আগেও ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
No comments