সংসদ অধিবেশন-বিরোধী দল ফিরে আসুক
বিরোধী দলবিহীন সংসদ অধিবেশন আবারও শুরু হয়েছে। বিরোধী দল যোগদান করবে- এমন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। এ এক দুরারোগ্য ব্যাধির মতো। যতই আবদার-আবেদন জানানো হোক বিরোধী দল থাকবে আপসহীন, তারা সংসদ বর্জন করেই চলবে; আর সরকারি দলও তার নিজ স্বার্থ ও নিজ পথ ছেড়ে এক তিলও সরে আসবে না।
পরিণতি হিসেবে সংসদ থেকে যাবে অকার্যকর, প্রাণহীন। নবম জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই বোঝা গিয়েছিল, এবারও বিরোধী দল সংসদে যাচ্ছে না। সরকারের পক্ষ থেকেও বিরোধী দলকে সংসদে ফিরিয়ে আনার কোনো উদ্যোগ দৃশ্যত দেখা যায়নি। ফলে, বরাবরের মতোই সরকারি দলের সংসদ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে অধিবেশন।
সাংবিধানিক নিয়ম রক্ষার অধিবেশন বসেছে এবার। স্থায়ী হবে কম সময়ের জন্য। কিন্তু স্বল্পস্থায়ী হওয়ার পরও সংসদে সব মত ও পথের সদস্যদের উপস্থিতি অপরিহার্য। বাস্তবতা হচ্ছে, সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রধান এই শর্তটিই পূরণ হচ্ছে না বাংলাদেশে। এরই মধ্যে বিরোধীদলীয় নেতাদের কেউ কেউ সংসদে যাওয়ার কথাও ভাবছেন। কিন্তু তাঁদেরই কিছু নেতা আবার সেই মতের পক্ষে নন। স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে, বিরোধী দল সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার প্রশ্নে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে।
সংবাদ বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সংসদ অধিবেশনকে গুরুত্ববহ মনে করছে না সংসদের বিরোধী দল। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে রাজপথ ও সংসদ উভয়কেই গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। বিরোধী দলের বোঝা উচিত, তাদের নির্বাচিত করা হয়েছে সংসদে গিয়ে জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য। একই সঙ্গে সরকারি দলের ভুলভ্রান্তি ও দুর্নীতির মতো বিষয়গুলো ধরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তারা সেই দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত থাকছে একটি শর্তকে সামনে এনে। সব মহল থেকেই বলা হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিটি সংসদে আলোচিত হওয়া দরকার। বিরোধী দল বলছে, তাদের সদস্যদের সংসদে কথা বলতে দেওয়া হয় না। যদি সেই তথ্য সঠিক হয়ে থাকে, তাহলেও তাদের সংসদে যাওয়া দরকার। সংসদে যাওয়ার পর যদি সরকারি দল বিরোধী দলকে কথা বলতে না দিত, তাহলে সেটা জনগণ দেখতে পারত। কিন্তু তাদের অনুপস্থিতি সেই প্রমাণ দেখাতেও ব্যর্থ হচ্ছে। গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে হলে তাই উভয় পক্ষকেই সংসদ কার্যকর রাখায় ভূমিকা পালন করতে হবে। একই সঙ্গে সরকারেরও উচিত, বিরোধী দলকে সংসদে আনার আন্তরিক উদ্যোগ নেওয়া।
সাংবিধানিক নিয়ম রক্ষার অধিবেশন বসেছে এবার। স্থায়ী হবে কম সময়ের জন্য। কিন্তু স্বল্পস্থায়ী হওয়ার পরও সংসদে সব মত ও পথের সদস্যদের উপস্থিতি অপরিহার্য। বাস্তবতা হচ্ছে, সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রধান এই শর্তটিই পূরণ হচ্ছে না বাংলাদেশে। এরই মধ্যে বিরোধীদলীয় নেতাদের কেউ কেউ সংসদে যাওয়ার কথাও ভাবছেন। কিন্তু তাঁদেরই কিছু নেতা আবার সেই মতের পক্ষে নন। স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে, বিরোধী দল সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার প্রশ্নে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে।
সংবাদ বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সংসদ অধিবেশনকে গুরুত্ববহ মনে করছে না সংসদের বিরোধী দল। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে রাজপথ ও সংসদ উভয়কেই গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। বিরোধী দলের বোঝা উচিত, তাদের নির্বাচিত করা হয়েছে সংসদে গিয়ে জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য। একই সঙ্গে সরকারি দলের ভুলভ্রান্তি ও দুর্নীতির মতো বিষয়গুলো ধরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তারা সেই দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত থাকছে একটি শর্তকে সামনে এনে। সব মহল থেকেই বলা হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিটি সংসদে আলোচিত হওয়া দরকার। বিরোধী দল বলছে, তাদের সদস্যদের সংসদে কথা বলতে দেওয়া হয় না। যদি সেই তথ্য সঠিক হয়ে থাকে, তাহলেও তাদের সংসদে যাওয়া দরকার। সংসদে যাওয়ার পর যদি সরকারি দল বিরোধী দলকে কথা বলতে না দিত, তাহলে সেটা জনগণ দেখতে পারত। কিন্তু তাদের অনুপস্থিতি সেই প্রমাণ দেখাতেও ব্যর্থ হচ্ছে। গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে হলে তাই উভয় পক্ষকেই সংসদ কার্যকর রাখায় ভূমিকা পালন করতে হবে। একই সঙ্গে সরকারেরও উচিত, বিরোধী দলকে সংসদে আনার আন্তরিক উদ্যোগ নেওয়া।
No comments