পদ্মা সেতু নিয়ে এখনো সংশয়-দূর হোক আশা-নিরাশার দোলাচল
সংশয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিয়ে। আশা-নিরাশার দোলাচলে দুলছে সম্ভাবনা। একদিকে স্বপ্ন বাস্তবায়নে জটিল হিসাবের জাল, অন্যদিকে সম্পর্কের টানাপড়েন। এই দুইয়ের সম্মিলনে সম্ভাবনা এখন সংশয়াচ্ছন্ন। নানা কারণে পিছিয়ে গেছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ। অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক রাজি হওয়ার পরও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পিছিয়ে যাওয়ায় জটিলতা দেখা দেয়।
অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর বিশ্বব্যাংক নতুন করে অর্থায়নে রাজি হলেও এখনো শুরু হয়নি পদ্মা সেতুর কাজ। মহাজোটের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন দূরস্থ- প্রকল্প নিয়েই এখন নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক নতুন করে অর্থায়নে রাজি হওয়ায় সম্ভাবনা আবার দেখা দিয়েছে। তবে কাজ শুরু হতে অনেক সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে। ওদিকে যারা এই সেতুটির জন্য পিতৃপুরুষের জমিজমা বিসর্জন দিয়েছেন, তাঁরাও হতাশ। ২০০৯ সালে জমি অধিগ্রহণ করা হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি বলে এলাকার মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা।
পদ্মা সেতুর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। সেতুটি নিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন যেমন আবর্তিত হয়েছে, তেমনি সব সরকারের আমলেই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ পদ্মা সেতুর মতো ব্যয়বহুল একটি সেতু নির্মাণের ক্ষমতা রাখে কি না, সেটাও বড় প্রশ্ন। সংগত কারণেই মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে সব সময় প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থায়ন। তবু মানুষের আশা ও স্বপ্নকে সম্মান দেখিয়েই যেন বিগত সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একনেকে পাস হয় পদ্মা সেতু প্রকল্প। সেই থেকে আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু। পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে একটি সেতু নির্মিত হবে এবং দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। অর্থনীতিতে আসবে গতি। খুলে যাবে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত। বাস্তবায়িত হবে ট্রান্স-এশিয়ান রুট। মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে পদ্মা সেতু বিশেষ ভূমিকা রাখবে- এমনই আশা করা হয়েছিল।
সেই আশায়ই পদ্মাপারের তিন জেলার জমি অধিগ্রহণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত সেতু নির্মিত না হলে এলাকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে, এই ভেবে এলাকার মানুষের মধ্যেও দেখা দিয়েছে হতাশা। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। একবার বাতিল হওয়া প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক নতুন করে অর্থায়ন করে না; কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে ব্যতিক্রম ঘটেছে। এখন সব শর্ত মিলে গেলে তবেই শুরু হবে পদ্মা সেতুর কাজ। তবে এই সরকারের আমলে কোনোভাবেই সেতুর মূল কাজ শুরু করা যাবে না বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের একটি দায়িত্ব ছিল। কিন্তু কেন সরকার নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছে, সেটা বিবেচনা করে দেখা দরকার। বিশ্বব্যাংক যখন অর্থায়নে অপারগতা প্রকাশ করে তখন সংসদে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে হিসাব খোলার কথা বলা হয়েছিল। এসব কথা এখন নিছকই কথার কথা হয়ে গেছে। অন্যদিকে প্রকল্পের মূল কাজ শুরুর আগেও অনেক কাজ থাকে। অধিগ্রহণের পর পুনর্বাসন বন্ধ রয়েছে। সংযোগ সড়কের কাজও বন্ধ। এগুলো নতুন করে শুরু করে এলাকার মানুষের মন থেকে হতাশা দূর করা সম্ভব। কিন্তু সেদিকে না গিয়ে সরকার তাকিয়ে আছে বিশ্বব্যাংকের দিকে। আমরা মনে করি, এই প্রকল্প ঘিরে মানুষের মনে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল তা বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে না থেকে সেতুর প্রাথমিক কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে দূর করতে হবে সব সংশয় ও আশা-নিরাশার দোলাচল।
পদ্মা সেতুর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। সেতুটি নিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন যেমন আবর্তিত হয়েছে, তেমনি সব সরকারের আমলেই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ পদ্মা সেতুর মতো ব্যয়বহুল একটি সেতু নির্মাণের ক্ষমতা রাখে কি না, সেটাও বড় প্রশ্ন। সংগত কারণেই মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে সব সময় প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থায়ন। তবু মানুষের আশা ও স্বপ্নকে সম্মান দেখিয়েই যেন বিগত সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একনেকে পাস হয় পদ্মা সেতু প্রকল্প। সেই থেকে আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু। পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে একটি সেতু নির্মিত হবে এবং দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। অর্থনীতিতে আসবে গতি। খুলে যাবে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত। বাস্তবায়িত হবে ট্রান্স-এশিয়ান রুট। মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে পদ্মা সেতু বিশেষ ভূমিকা রাখবে- এমনই আশা করা হয়েছিল।
সেই আশায়ই পদ্মাপারের তিন জেলার জমি অধিগ্রহণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত সেতু নির্মিত না হলে এলাকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে, এই ভেবে এলাকার মানুষের মধ্যেও দেখা দিয়েছে হতাশা। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। একবার বাতিল হওয়া প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক নতুন করে অর্থায়ন করে না; কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে ব্যতিক্রম ঘটেছে। এখন সব শর্ত মিলে গেলে তবেই শুরু হবে পদ্মা সেতুর কাজ। তবে এই সরকারের আমলে কোনোভাবেই সেতুর মূল কাজ শুরু করা যাবে না বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের একটি দায়িত্ব ছিল। কিন্তু কেন সরকার নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছে, সেটা বিবেচনা করে দেখা দরকার। বিশ্বব্যাংক যখন অর্থায়নে অপারগতা প্রকাশ করে তখন সংসদে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে হিসাব খোলার কথা বলা হয়েছিল। এসব কথা এখন নিছকই কথার কথা হয়ে গেছে। অন্যদিকে প্রকল্পের মূল কাজ শুরুর আগেও অনেক কাজ থাকে। অধিগ্রহণের পর পুনর্বাসন বন্ধ রয়েছে। সংযোগ সড়কের কাজও বন্ধ। এগুলো নতুন করে শুরু করে এলাকার মানুষের মন থেকে হতাশা দূর করা সম্ভব। কিন্তু সেদিকে না গিয়ে সরকার তাকিয়ে আছে বিশ্বব্যাংকের দিকে। আমরা মনে করি, এই প্রকল্প ঘিরে মানুষের মনে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল তা বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে না থেকে সেতুর প্রাথমিক কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে দূর করতে হবে সব সংশয় ও আশা-নিরাশার দোলাচল।
No comments