বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে পুরান ঢাকা by ইফতেখার আহমেদ টিপু
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কারণে সরকারীভাবে নির্মিত রাজধানীর কোন আবাসিক এলাকার বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ- রাখা যাচ্ছে না। আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ক্লিনিক, হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় যানজটে চলাচল করাও দায় হয়ে পড়ছে।
ফলে আবাসিক এলাকাকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের যে কা-জ্ঞানহীন প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
রাজধানী ঢাকা দিনে দিনে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে, এমন অভিযোগ অনেকেরই। একদিকে বাড়ছে জনসংখ্যার চাপ, অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। পরিবেশবান্ধব রাজধানী গড়ে তোলার স্বপ্ন আজ অবধি পূরণ হয়নি। দিনে দিনে নগরীর পরিধি বাড়লেও পরিকল্পনার অভাব এখনও প্রকটভাবেই দৃশ্যমান। অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও মানুষের লোভের আগুনে পুড়ছে রাজধানীবাসীর স্বপ্ন।
শিল্প, বাণিজ্য আর বসতিÑএই তিনের সমাহার পুরান ঢাকায়। একই বাড়িতে নিচতলায় সহজে দাহ্য পদার্থের গুদাম কিংবা কারখানা, দোতলায় হয়তো বাণিজ্যিক কার্যালয়, আর ওপরে বসতি এমন চিত্র পুরান ঢাকার জন্য খুবই স্বাভাবিক। এ অবস্থা আজকের দিনে বিপজ্জনক হলেও একসময় ছিল স্বাভাবিক। কারণ সেই এলাকায় যখন শহর গড়ে উঠেছে তখন জনসংখ্যা ছিল খুবই কম। বহুতল দালান-কোঠাও ছিল হাতেগোনা। ফলে ঘরের পাশে দোকানপাট, গুদাম কিংবা কারখানা মানুষের তত ক্ষতি করতে পারত না। কিন্তু আজকে সেই অবস্থা নেই। হাজার হাজার বাড়ি আর ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের গুদাম কিংবা কারখানা সেখানকার জনজীবনকে চূড়ান্ত বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বাড়িগুলোর অধিকাংশই বসবাসের উপযোগী নেই।
পুরান ঢাকার অধিবাসীদের মধ্যে যে সামাজিক বন্ধন, তা অন্য এলাকার মানুষের সঙ্গে মেলে না। তাদের এ সামাজিক বন্ধন অটুট রাখার কারণেও সেখানে যতই গুদাম কিংবা ক্ষুদ্র কারখানাই গড়ে উঠুক না কেন, আদি ঢাকার মানুষ স্থান ত্যাগ করতে চায় না। ফলে বাসযোগ্য বাড়িঘর উপরের দিকেই বেড়েছে। পুরান ঢাকায় বিপজ্জনকভাবে রাসায়নিক পদার্থের গুদাম কিংবা বাজারগুলো এভাবে যত্রতত্র সম্প্রসারিত হতো না। আর সেখানে এসবের অবস্থান থাকলেও অন্তত বসতিগুলো দূরে সরে যেত। মিটফোর্ড কিংবা তাঁতীবাজার এলাকায় যেমন রাসায়নিক পদার্থ বেচাকেনা হয়, তেমনি উর্দু রোড থেকে শুরু করে ওপারে কামরাঙ্গীরচর সবখানেই ছড়িয়ে আছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কারখানা। বংশালে আছে চামড়া শিল্পে ব্যবহার্য নানা রাসায়নিক পদার্থের দোকান। সিদ্দিকবাজার এলাকায় আছে কুটির শিল্প। এমনি অনেক জায়গায়ই আছে ছোট শিল্পকারখানা। যেখানে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহƒত হয় সহজে দাহ্য, এমনকি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নানা উপকরণ। যত্রতত্র গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠান যে মানুষের জন্য কত বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে নিমতলী তার বড় উদাহরণ।দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, গুদামগুলো সেসব নিয়মনীতি মেনে নেয়ার কথা চিন্তাও করে না।
রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য করে তুলতে হলে এর পরিবেশ বদলে দিতে হবে। রাজধানীকে বাসযোগ্য করার স্বার্থে এটা করতেই হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
লেখক : চেয়ারম্যান ইফাদ গ্রুপ
রাজধানী ঢাকা দিনে দিনে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে, এমন অভিযোগ অনেকেরই। একদিকে বাড়ছে জনসংখ্যার চাপ, অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। পরিবেশবান্ধব রাজধানী গড়ে তোলার স্বপ্ন আজ অবধি পূরণ হয়নি। দিনে দিনে নগরীর পরিধি বাড়লেও পরিকল্পনার অভাব এখনও প্রকটভাবেই দৃশ্যমান। অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও মানুষের লোভের আগুনে পুড়ছে রাজধানীবাসীর স্বপ্ন।
শিল্প, বাণিজ্য আর বসতিÑএই তিনের সমাহার পুরান ঢাকায়। একই বাড়িতে নিচতলায় সহজে দাহ্য পদার্থের গুদাম কিংবা কারখানা, দোতলায় হয়তো বাণিজ্যিক কার্যালয়, আর ওপরে বসতি এমন চিত্র পুরান ঢাকার জন্য খুবই স্বাভাবিক। এ অবস্থা আজকের দিনে বিপজ্জনক হলেও একসময় ছিল স্বাভাবিক। কারণ সেই এলাকায় যখন শহর গড়ে উঠেছে তখন জনসংখ্যা ছিল খুবই কম। বহুতল দালান-কোঠাও ছিল হাতেগোনা। ফলে ঘরের পাশে দোকানপাট, গুদাম কিংবা কারখানা মানুষের তত ক্ষতি করতে পারত না। কিন্তু আজকে সেই অবস্থা নেই। হাজার হাজার বাড়ি আর ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের গুদাম কিংবা কারখানা সেখানকার জনজীবনকে চূড়ান্ত বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বাড়িগুলোর অধিকাংশই বসবাসের উপযোগী নেই।
পুরান ঢাকার অধিবাসীদের মধ্যে যে সামাজিক বন্ধন, তা অন্য এলাকার মানুষের সঙ্গে মেলে না। তাদের এ সামাজিক বন্ধন অটুট রাখার কারণেও সেখানে যতই গুদাম কিংবা ক্ষুদ্র কারখানাই গড়ে উঠুক না কেন, আদি ঢাকার মানুষ স্থান ত্যাগ করতে চায় না। ফলে বাসযোগ্য বাড়িঘর উপরের দিকেই বেড়েছে। পুরান ঢাকায় বিপজ্জনকভাবে রাসায়নিক পদার্থের গুদাম কিংবা বাজারগুলো এভাবে যত্রতত্র সম্প্রসারিত হতো না। আর সেখানে এসবের অবস্থান থাকলেও অন্তত বসতিগুলো দূরে সরে যেত। মিটফোর্ড কিংবা তাঁতীবাজার এলাকায় যেমন রাসায়নিক পদার্থ বেচাকেনা হয়, তেমনি উর্দু রোড থেকে শুরু করে ওপারে কামরাঙ্গীরচর সবখানেই ছড়িয়ে আছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কারখানা। বংশালে আছে চামড়া শিল্পে ব্যবহার্য নানা রাসায়নিক পদার্থের দোকান। সিদ্দিকবাজার এলাকায় আছে কুটির শিল্প। এমনি অনেক জায়গায়ই আছে ছোট শিল্পকারখানা। যেখানে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহƒত হয় সহজে দাহ্য, এমনকি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নানা উপকরণ। যত্রতত্র গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠান যে মানুষের জন্য কত বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে নিমতলী তার বড় উদাহরণ।দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, গুদামগুলো সেসব নিয়মনীতি মেনে নেয়ার কথা চিন্তাও করে না।
রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য করে তুলতে হলে এর পরিবেশ বদলে দিতে হবে। রাজধানীকে বাসযোগ্য করার স্বার্থে এটা করতেই হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
লেখক : চেয়ারম্যান ইফাদ গ্রুপ
No comments