রুশ পার্লামেন্টে বিল-বাইরে থেকে তহবিলনেওয়া এনজিও ‘বিদেশি এজেন্ট’
রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং বিদেশ থেকে তহবিল সংগ্রহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এনজিও) ‘বিদেশি এজেন্ট’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা সংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে গতকাল শুক্রবার রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে (স্টেট ডুমা) বিতর্ক হয়েছে। ডুমায় ক্ষমতাসীন দলের আধিক্য থাকায় বিলটি গতকালই পাস হওয়ার জোর সম্ভাবনা ছিল।
ক্রেমলিন বলছে, বাইরের ইন্ধন থেকে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে মুক্ত রাখতেই এ আইন প্রয়োজন। তবে সমালোচকেরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ আইনটিকে বিরোধীদের ধ্বংস করার চেষ্টায় ব্যবহার করছে।
বিলটির আওতায় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বিদেশি সাহায্যপুষ্ট এনজিওগুলোতে আর্থিক জরিপ চালানো যাবে। এ ছাড়া বছরে দুবার এনজিওগুলোকে তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এতে ব্যর্থ হলে শাস্তিস্বরূপ বড় অঙ্কের জরিমানা, এমনকি দুই বছরের সাজা পর্যন্ত হওয়ার বিধান রয়েছে।
বিলটি আইনে পরিণত হতে হলে এটি নিয়ে পার্লামেন্টে আরও দুবার বিতর্ক হবে। পরে এটি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে (ফেডারেশন কাউন্সিল) অনুমোদন হবে এবং সবশেষে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাতে সই করবেন।
ডুমায় পুতিনের দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। নিম্নকক্ষে একমাত্র যে দলটি বিলটির বিরোধিতা করছে, সেটি হলো এ জাস্ট রাশিয়া। ৪৫০ আসনের ডুমায় দলটির দখলে রয়েছে মাত্র ৬৪টি আসন।
তবে মানবাধিকারবিষয়ক প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের প্রধান মিখাইল ফেদোতভ ডুমার বিতর্ক স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান, বিলটি নিয়ে প্রথমে জনগণকে পূর্ণ আলোচনার সুযোগ দিতে হবে।
রুশ সরকারের দাবি, বিদেশি সরকারগুলো রাশিয়ার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের জন্য এনজিওগুলোকে ব্যবহার করছে। বিলটির অন্যতম প্রণেতা ও ক্ষমতাসীন দলের এমপি নিকোনভ বলেন, ‘যুগোস্লাভিয়ায় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে বিদেশিদের প্রভাবের অনেক প্রমাণ রয়েছে। এখন লিবিয়া, মিসর, তিউনিসিয়া ও কসোভোতেও তা হচ্ছে। এটা বিশ্বজুড়েই ঘটছে। কিছু সরকার অন্য দেশগুলোর সরকার পরিবর্তনে কাজ করছে।’ তিনি বলেন, ‘বাইরের ইন্ধন থেকে রুশ গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে।’ বিবিসি।
বিলটির আওতায় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বিদেশি সাহায্যপুষ্ট এনজিওগুলোতে আর্থিক জরিপ চালানো যাবে। এ ছাড়া বছরে দুবার এনজিওগুলোকে তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এতে ব্যর্থ হলে শাস্তিস্বরূপ বড় অঙ্কের জরিমানা, এমনকি দুই বছরের সাজা পর্যন্ত হওয়ার বিধান রয়েছে।
বিলটি আইনে পরিণত হতে হলে এটি নিয়ে পার্লামেন্টে আরও দুবার বিতর্ক হবে। পরে এটি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে (ফেডারেশন কাউন্সিল) অনুমোদন হবে এবং সবশেষে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাতে সই করবেন।
ডুমায় পুতিনের দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। নিম্নকক্ষে একমাত্র যে দলটি বিলটির বিরোধিতা করছে, সেটি হলো এ জাস্ট রাশিয়া। ৪৫০ আসনের ডুমায় দলটির দখলে রয়েছে মাত্র ৬৪টি আসন।
তবে মানবাধিকারবিষয়ক প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের প্রধান মিখাইল ফেদোতভ ডুমার বিতর্ক স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান, বিলটি নিয়ে প্রথমে জনগণকে পূর্ণ আলোচনার সুযোগ দিতে হবে।
রুশ সরকারের দাবি, বিদেশি সরকারগুলো রাশিয়ার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের জন্য এনজিওগুলোকে ব্যবহার করছে। বিলটির অন্যতম প্রণেতা ও ক্ষমতাসীন দলের এমপি নিকোনভ বলেন, ‘যুগোস্লাভিয়ায় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে বিদেশিদের প্রভাবের অনেক প্রমাণ রয়েছে। এখন লিবিয়া, মিসর, তিউনিসিয়া ও কসোভোতেও তা হচ্ছে। এটা বিশ্বজুড়েই ঘটছে। কিছু সরকার অন্য দেশগুলোর সরকার পরিবর্তনে কাজ করছে।’ তিনি বলেন, ‘বাইরের ইন্ধন থেকে রুশ গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে।’ বিবিসি।
No comments