ট্রেনের টিকিট সোনার হরিণ by মোঃ আতিকুর রহমান
এক বছরে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ৪ বার। ফলে বাস ভাড়াও বেড়েছে কয়েকগুণ। শুধ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের নন-এসি বাসের ভাড়া গত ১ বছরে ৩শ' টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩০ টাকা। সড়কে যাত্রীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এর ফলে এখনও সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতের ভরসা বাংলাদেশ রেলওয়ে।
মহাসড়কগুলোরও পদে পদে যানজট, বাঁকে বাঁকে দুর্ঘটনার ঝুঁঁকি আর সড়ক সংস্কারের নামে চলছে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট। সড়কপথের এরূপ বেহাল অবস্থা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণেও ট্রেনের দিকে ঝুঁঁকছেন যাত্রীরা। আর যাত্রীদের এমন বিপুল চাহিদাকে পুঁজি করে ট্রেনের টিকিট নিয়ে কালোবাজারিরা হয়ে উঠেছে সচল। রেলওয়ের নির্ধারিত দামে ট্রেনের টিকিট পাওয়া রেলযাত্রীদের জন্য এখন আকাশ-কুসুম কল্পনা।
দেশের বৃহৎ স্টেশন কমলাপুরে টিকিট কাউন্টার আছে ২০টি, যা যাত্রীদের তুলনায় খুবই কম। এ ছাড়া কাউন্টারগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় কম্পিউটারের সংখ্যা কম। পুরনো হওয়ায় অধিকাংশ কম্পিউটার প্রায় সময়ই নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে। টিকিট প্রিন্টারগুলোও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে ক্রমশ। ফলে টিকিটের জন্য যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ ছাড়া টাকা ভাংতি না থাকলে যাত্রীদের পড়তে হয় আরেক বিড়ম্বনায়। কাউন্টার থেকে খুচরা টাকা বেশিরভাগ সময়ই ফেরত পাওয়া যায় না। কর্তৃপক্ষের দুর্বলতা, অনিয়মের কারণে এ যুগের অর্থবাণিজ্যের বণিক অসাধু ব্যক্তিদের সিন্ডিকেট ট্রেনের টিকিট নিয়ন্ত্রণ করছে। যে কারণে বরাবরই স্টেশনে ট্রেনের টিকিট সংকট দেখা দিচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশনের কিছু অসাধু ব্যক্তির সহযোগিতায় এসব টিকিট আগেভাগেই চলে যায় কালোবাজারিদের হাতে। স্টেশনগুলোতে রয়েছে এসব কালোবাজারির একাধিক চক্র।
রেলের অগ্রগতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কিছুদিন আগে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করে পৃথক রেল মন্ত্রণালয় গঠন করেছে। এছাড়া টিকিটপ্রাপ্তি সহজতর করার লক্ষ্যে যাত্রীদের জন্য চালু হয়েছে অনলাইন ও মোবাইল টিকিট সার্ভিস। তার ওপর কালোবাজারি রোধে অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময় ১০ দিন থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৩ দিনে। এত কিছুর পরও কমেনি টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য। বরং বর্তমান সময়ে তা যেন ফুলে-ফেঁপে একাকার।
রেলওয়ের উন্নতিকল্পে ট্রেনের টিকিট সহজলভ্য করা, সঠিক মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ, কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য কমানো ও তাদের যথাযথ শাস্তি প্রদান এবং আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর বগির সংখ্যা বৃদ্ধির মতো কাজ করা উচিত। রেল যোগাযোগ উন্নত করা গেলে বাংলাদেশ রেলওয়ে ধীরে ধীরে লোকসান কাটিয়ে উঠে লাভের মুখ দেখবে, সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে, পাশাপাশি যানজট থেকেও কিছুটা রক্ষা মিলবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে তার জরাজীর্ণ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসুক_ এটাই মানুষের আশা।
য় গড়পাড়া, মানিকগঞ্জ
onatiq88@yahoo.com
দেশের বৃহৎ স্টেশন কমলাপুরে টিকিট কাউন্টার আছে ২০টি, যা যাত্রীদের তুলনায় খুবই কম। এ ছাড়া কাউন্টারগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় কম্পিউটারের সংখ্যা কম। পুরনো হওয়ায় অধিকাংশ কম্পিউটার প্রায় সময়ই নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে। টিকিট প্রিন্টারগুলোও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে ক্রমশ। ফলে টিকিটের জন্য যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ ছাড়া টাকা ভাংতি না থাকলে যাত্রীদের পড়তে হয় আরেক বিড়ম্বনায়। কাউন্টার থেকে খুচরা টাকা বেশিরভাগ সময়ই ফেরত পাওয়া যায় না। কর্তৃপক্ষের দুর্বলতা, অনিয়মের কারণে এ যুগের অর্থবাণিজ্যের বণিক অসাধু ব্যক্তিদের সিন্ডিকেট ট্রেনের টিকিট নিয়ন্ত্রণ করছে। যে কারণে বরাবরই স্টেশনে ট্রেনের টিকিট সংকট দেখা দিচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশনের কিছু অসাধু ব্যক্তির সহযোগিতায় এসব টিকিট আগেভাগেই চলে যায় কালোবাজারিদের হাতে। স্টেশনগুলোতে রয়েছে এসব কালোবাজারির একাধিক চক্র।
রেলের অগ্রগতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কিছুদিন আগে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করে পৃথক রেল মন্ত্রণালয় গঠন করেছে। এছাড়া টিকিটপ্রাপ্তি সহজতর করার লক্ষ্যে যাত্রীদের জন্য চালু হয়েছে অনলাইন ও মোবাইল টিকিট সার্ভিস। তার ওপর কালোবাজারি রোধে অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময় ১০ দিন থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৩ দিনে। এত কিছুর পরও কমেনি টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য। বরং বর্তমান সময়ে তা যেন ফুলে-ফেঁপে একাকার।
রেলওয়ের উন্নতিকল্পে ট্রেনের টিকিট সহজলভ্য করা, সঠিক মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ, কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য কমানো ও তাদের যথাযথ শাস্তি প্রদান এবং আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর বগির সংখ্যা বৃদ্ধির মতো কাজ করা উচিত। রেল যোগাযোগ উন্নত করা গেলে বাংলাদেশ রেলওয়ে ধীরে ধীরে লোকসান কাটিয়ে উঠে লাভের মুখ দেখবে, সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে, পাশাপাশি যানজট থেকেও কিছুটা রক্ষা মিলবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে তার জরাজীর্ণ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসুক_ এটাই মানুষের আশা।
য় গড়পাড়া, মানিকগঞ্জ
onatiq88@yahoo.com
No comments