সাক্ষাৎকারে শেরি রেহমান-পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার আলোচনা আবার শুরু হচ্ছে

নিরাপত্তা-সহযোগিতা, জঙ্গি হুমকি, ত্রাণ ও অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত শেরি রেহমান গত বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। আফগানিস্তানে ন্যাটোর রসদ পরিবহনের জন্য পাকিস্তান সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে এ আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে।


এদিকে, পাকিস্তানের ওপর দিয়ে যাওয়া ন্যাটোর যানগুলোতে কোনো প্রাণঘাতী রসদ পরিবহন করা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত হতে এগুলো এখন থেকে নিয়মিত তল্লাশি করা হবে। পাকিস্তানের শুল্ক কর্মকর্তারা গতকাল শুক্রবার এ কথা জানান।
রাষ্ট্রদূত শেরি রহমান এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আফগানিস্তানে ন্যাটোর রসদ পরিবহনের পথ আবার খুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও বহু বিষয় নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পথ খুলে গেল বলে আমি মনে করি। এর মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে একটি মজবুত সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হলো।’
গত নভেম্বরে মার্কিন বিমান হামলায় ২৪ পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার পর আফগানিস্তানে ন্যাটোর রসদ পরিবহনের পথ বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। চলতি সপ্তাহে ওই ঘটনার জন্য ওবামা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন টেলিফোনে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খারের কাছে ক্ষমা চান। এর পরই আবার ওই পথ খুলে দেয় পাকিস্তান। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে কমপক্ষে ১২ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে।
এদিকে, ইসলামাবাদ ন্যাটোর রসদ সরবরাহের জন্য পথ খুলে দেওয়ার পর এ পর্যন্ত বেশ কিছু ট্রাক আফগানিস্তানে গেছে। তবে করাচির আরব সাগর বন্দরে এখনো আরও বহু যান আটকে আছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তান পার্লামেন্টের নীতিমালা মেনে এই যানগুলোকে কঠোর তল্লাশির মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যানগুলোতে কোনো প্রাণঘাতী উপকরণ বহন করা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়াই এই তল্লাশির উদ্দেশ্য।
করাচি শুল্ক বিভাগের মুখপাত্র কামার থালহো বলেন, ‘আমরা আগেও বিক্ষিপ্তভাবে ন্যাটো কনটেইনারগুলো তল্লাশি করতাম। তবে এখন এগুলো যথাযথভাবে তল্লাশি করা হবে।’ রয়টার্স, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.