রাজবন্দীদের শিশুসন্তান চুরি-আর্জেন্টিনার সাবেক দুই সেনাশাসকের কারাদণ্ড
রাজনৈতিক বন্দীদের শিশু চুরির ঘটনায় আর্জেন্টিনার ‘ডার্টি ওয়ার’ নামে পরিচিত সামরিক শাসনামলের সাবেক দুই নেতা জর্জ ভিদেলা ও রিনালদো বিগনোনের কারাদণ্ড হয়েছে। রাজধানী বুয়েনস এইরেসের একটি আদালত গত বৃহস্পতিবার তাঁদের যথাক্রমে ৫০ ও ১৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
এই রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছে চুরি হওয়া শিশুদের স্বজনেরা। অবশ্য, সে সময় সংঘটিত অন্যান্য অপরাধের দায়ে ভিদেলা এবং বিগনোন ইতিমধ্যে দীর্ঘ মেয়াদে জেল খাটছেন।
আর্জেন্টিনার সেনাবাহিনীর সাবেক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ভিদেলা ১৯৭৬ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের ক্ষমতা দখল করেন তিনি। আর ভিদেলার পর সেনাবাহিনীর সাবেক জেনারেল বিগনোন ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ওই সময়ে ভিন্নমতাবলম্বী বামপন্থী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চালানো হয় ব্যাপক ধরপাকড় ও নির্যাতন। মানবাধিকার গ্রুপগুলোর হিসেবে, সে সময় সশস্ত্র বাহিনীর অভিযানে আনুমানিক ৩০ হাজার ব্যক্তি হত্যা বা গুমের শিকার হয়। আর কারাগারে আটক মা-বাবার অন্তত ৪০০ শিশুকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় সে সময়। আর এই শিশুদের বেশির ভাগই সামরিক পরিবারগুলোকে অবৈধভাবে দত্তক দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ১০২ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তিন দশকেরও বেশি সময় পর আজও অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের খুঁজে ফিরছে।
শিশু চুরির ওই ঘটনার বিচার শুরু হয় ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সব মিলিয়ে ১১ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছিল, যাঁদের বেশির ভাগই সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা। তবে মোট ৩৪টি শিশু চুরির ঘটনায় ভিদেলা ও বিগনোনসহ নয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকি দুজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ভিদেলাকে ওই শিশু চুরির পরিকল্পনার মূল হোতা হিসেবে মনে করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ২০টি শিশু চুরির ঘটনা তত্ত্বাবধান করার সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন আদালত। এ কারণে তাঁকে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
রায়ে আদালত বলেন, ‘সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ, আটক এবং ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের লুকিয়ে রাখার’ ঘটনায় ভিদেলার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ভিদেলা। তবে তাঁর মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়নি।
৩১ জন ভিন্নমতাবলম্বী ব্যক্তিকে নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় ২০১০ সালে ভিদেলাকে এবং ২০১১ সালে বিগনোনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সামরিক শাসনামলে নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা এই সর্বশেষ রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। শিশু চুরির ওই ঘটনাকে সামরিক শাসনামলে সংঘটিত সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকে অনেকেই। রায় ঘোষণার পরপরই আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে চুরি হওয়া শিশুদের স্বজন ও সে সময় অপহরণের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা। ম্যাকারেনা গেলম্যান নামের একজন এই রায়কে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে বলেন, ন্যায়বিচারের যে অগ্রগতি হচ্ছে এটা তার নিদর্শন। রয়টার্স ও বিবিসি।
আর্জেন্টিনার সেনাবাহিনীর সাবেক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ভিদেলা ১৯৭৬ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের ক্ষমতা দখল করেন তিনি। আর ভিদেলার পর সেনাবাহিনীর সাবেক জেনারেল বিগনোন ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ওই সময়ে ভিন্নমতাবলম্বী বামপন্থী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চালানো হয় ব্যাপক ধরপাকড় ও নির্যাতন। মানবাধিকার গ্রুপগুলোর হিসেবে, সে সময় সশস্ত্র বাহিনীর অভিযানে আনুমানিক ৩০ হাজার ব্যক্তি হত্যা বা গুমের শিকার হয়। আর কারাগারে আটক মা-বাবার অন্তত ৪০০ শিশুকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় সে সময়। আর এই শিশুদের বেশির ভাগই সামরিক পরিবারগুলোকে অবৈধভাবে দত্তক দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ১০২ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তিন দশকেরও বেশি সময় পর আজও অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের খুঁজে ফিরছে।
শিশু চুরির ওই ঘটনার বিচার শুরু হয় ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সব মিলিয়ে ১১ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছিল, যাঁদের বেশির ভাগই সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা। তবে মোট ৩৪টি শিশু চুরির ঘটনায় ভিদেলা ও বিগনোনসহ নয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকি দুজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ভিদেলাকে ওই শিশু চুরির পরিকল্পনার মূল হোতা হিসেবে মনে করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ২০টি শিশু চুরির ঘটনা তত্ত্বাবধান করার সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন আদালত। এ কারণে তাঁকে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
রায়ে আদালত বলেন, ‘সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ, আটক এবং ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের লুকিয়ে রাখার’ ঘটনায় ভিদেলার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ভিদেলা। তবে তাঁর মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়নি।
৩১ জন ভিন্নমতাবলম্বী ব্যক্তিকে নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় ২০১০ সালে ভিদেলাকে এবং ২০১১ সালে বিগনোনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সামরিক শাসনামলে নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা এই সর্বশেষ রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। শিশু চুরির ওই ঘটনাকে সামরিক শাসনামলে সংঘটিত সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকে অনেকেই। রায় ঘোষণার পরপরই আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে চুরি হওয়া শিশুদের স্বজন ও সে সময় অপহরণের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা। ম্যাকারেনা গেলম্যান নামের একজন এই রায়কে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে বলেন, ন্যায়বিচারের যে অগ্রগতি হচ্ছে এটা তার নিদর্শন। রয়টার্স ও বিবিসি।
No comments