নীলফামারীতে অবিরাম বৃষ্টি, সব নদীর পানি বৃদ্ধি-তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খোলা, জলাবদ্ধতা
দুই দিনের টানা বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির চাপ সামলাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তা ব্যারাজের সব কটি (৪৪টি) স্লুইসগেট খুলে দিয়েছে। ফলে ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার অনেক স্থানে হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি উঠেছে।
পাউবোর ডালিয়া বন্যা পূর্বাভাসকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বেলা দুইটায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় ডালিয়ায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ২২৩ মিলিমিটার। নীলফামারী জেলা শহরে ২৬৫ মিলিমিটার ও ডিমলা উপজেলা শহরে ১৭৫ মিলিমিটার।
ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, তিস্তা নদী মূল চ্যানেল ছাড়াও তার ইউনিয়নের ভেতর চরখড়িবাড়ি দিয়ে আরেকটি চ্যানেলের মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানি উজান থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ফলে চরখড়িবাড়ি, পূর্বখড়িবাড়ি শেখ সিন্দুর এলাকার পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে।
পুবছাতনাই ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান জানান, তাঁর এলাকায় চার শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। খালিশাচাঁপানীর ছোটখাতা বানপাড়া গ্রামে তিস্তার পানি ঢুকেছে।
ডালিয়া পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন মণ্ডল জানান, দুই দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল বেলা দুইটার দিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
অবিরাম বর্ষণের কারণে জেলার ডোমার ডিমলা জলঢাকা কিশোরগঞ্জ ও নীলফামারী সদর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে।
নীলফামারী শহরের বাবুপাড়া, প্রগতিপাড়া, কলেজপাড়া সওদাগরপাড়া মাছুয়াপড়াসহ কয়েকটি মহল্লায় হাঁটুসমান পানি উঠেছে। অনেকের ঘরে ও রান্নাঘরে পানি ওঠার কারণে তারা রান্নাবান্না করতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পৌর মেয়র প্রতিবছর পানি নিষ্কাশনের জন্য নর্দমা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যত এর বাস্তবায়ন হয়নি। তাই একটু বৃষ্টি হলেই কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও কোমরপানির নিচে বসবাস করতে হয়।
সওদাগরপাড়ার সাবেরা বেগম জানান, বাড়ির ভেতর হাঁটুপানি, ঘরেও পানি, রান্নাঘরে পানি ওঠার কারণে রান্নাবান্না কিছুই করা যাচ্ছে না।
মাছুয়াপাড়ার আকরাম হোসেন জানান, বাড়ির মধ্যে কোমরসমান পানি উঠেছে। সকাল থেকে বাচ্চারা কিছুই খেতে পারেনি।
নীলফামারী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের বাবুপাড়া প্রগতিপাড়া ও গাছবাড়ি এলাকার প্রায় ৬০-৭০টি পরিবার জলমগ্ন অবস্থায় আছে।’ অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ ব্যাপারে নীলফামারী পৌরমেয়র দেওয়ান কামাল আহম্মেদ প্রথম আলোকে জানান, ওইসব এলাকায় কিছু নতুন নর্দমা করা হয়েছে। আগামী বর্ষার আগে বরাদ্দ পাওয়া গেলে আরও কিছু নর্দমা করে সমস্যা সমাধান করা হবে।
ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, তিস্তা নদী মূল চ্যানেল ছাড়াও তার ইউনিয়নের ভেতর চরখড়িবাড়ি দিয়ে আরেকটি চ্যানেলের মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানি উজান থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ফলে চরখড়িবাড়ি, পূর্বখড়িবাড়ি শেখ সিন্দুর এলাকার পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে।
পুবছাতনাই ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান জানান, তাঁর এলাকায় চার শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। খালিশাচাঁপানীর ছোটখাতা বানপাড়া গ্রামে তিস্তার পানি ঢুকেছে।
ডালিয়া পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন মণ্ডল জানান, দুই দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল বেলা দুইটার দিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
অবিরাম বর্ষণের কারণে জেলার ডোমার ডিমলা জলঢাকা কিশোরগঞ্জ ও নীলফামারী সদর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে।
নীলফামারী শহরের বাবুপাড়া, প্রগতিপাড়া, কলেজপাড়া সওদাগরপাড়া মাছুয়াপড়াসহ কয়েকটি মহল্লায় হাঁটুসমান পানি উঠেছে। অনেকের ঘরে ও রান্নাঘরে পানি ওঠার কারণে তারা রান্নাবান্না করতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পৌর মেয়র প্রতিবছর পানি নিষ্কাশনের জন্য নর্দমা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যত এর বাস্তবায়ন হয়নি। তাই একটু বৃষ্টি হলেই কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও কোমরপানির নিচে বসবাস করতে হয়।
সওদাগরপাড়ার সাবেরা বেগম জানান, বাড়ির ভেতর হাঁটুপানি, ঘরেও পানি, রান্নাঘরে পানি ওঠার কারণে রান্নাবান্না কিছুই করা যাচ্ছে না।
মাছুয়াপাড়ার আকরাম হোসেন জানান, বাড়ির মধ্যে কোমরসমান পানি উঠেছে। সকাল থেকে বাচ্চারা কিছুই খেতে পারেনি।
নীলফামারী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের বাবুপাড়া প্রগতিপাড়া ও গাছবাড়ি এলাকার প্রায় ৬০-৭০টি পরিবার জলমগ্ন অবস্থায় আছে।’ অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ ব্যাপারে নীলফামারী পৌরমেয়র দেওয়ান কামাল আহম্মেদ প্রথম আলোকে জানান, ওইসব এলাকায় কিছু নতুন নর্দমা করা হয়েছে। আগামী বর্ষার আগে বরাদ্দ পাওয়া গেলে আরও কিছু নর্দমা করে সমস্যা সমাধান করা হবে।
No comments