আমার আমলে কোনো দুর্নীতির ‘বিস্ফোরণ’ হয়নি: মনমোহন
ভারতের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বড় বড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, তাঁর সরকার স্বচ্ছতার প্রতীক। তাঁর অধীনে বড় কোনো দুর্নীতি হয়নি।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, বাস্তবে দেশের অর্থনীতি তার চেয়ে অনেক ভালো। প্রবৃদ্ধি অক্ষত আছে।
গতকাল শুক্রবার হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনমোহন সিং এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমার সমালোচনার জবাবে আমি বলব, আমি কেবল আমার ব্যক্তিগত চারিত্রিক সততাই রক্ষা করিনি, গোটা প্রশাসনে একটা মান আনার চেষ্টা করেছি।’
বর্তমানে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মনমোহন। তবে প্রথম মেয়াদের চেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে তাঁকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বড় বড় বেশ কটি দুর্নীতির ঘটনায় ক্ষমতাসীন ইউপিএ সরকার চাপের মুখে রয়েছে। ২০১৪ সালে ভারতের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন। তবে ওই নির্বাচনে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলেও মনমোহন আর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকছেন না বলেই সবার ধারণা।
তথ্য অধিকার আইনের কথা উল্লেখ করে মনমোহন বলেছেন, দাপ্তরিক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে তাঁর প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এতে পরবর্তী প্রজন্ম উপকৃত হবে। তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণে এত অল্প সময়ে অতীতের কোনো সরকার এত পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতি হলেও আমি মনে করি না, আমার অধীনে দুর্নীতির কোনো বিস্ফোরণ হয়েছে।’
ক্ষমতাসীন সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্নীতির ঘটনা টেলিকম বাণিজ্য নিয়ে। দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে সাবেক টেলিকমমন্ত্রী এ রাজা ২০১০ সালের নভেম্বরে পদত্যাগ করেন। রাজা পরবর্তী সময়ে গ্রেপ্তার হন এবং এখন তাঁর বিচার চলছে।
ভারতে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ হারে। যা গত নয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এ ছাড়া গত এক বছরে ডলারের বিপরীতে রুপির দামও পড়েছে এক-চতুর্থাংশ। দেশটির অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
ভারত কঠিন সময় পার করছে স্বীকার করলেও প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অক্ষত আছে।’ এএফপি।
গতকাল শুক্রবার হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনমোহন সিং এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমার সমালোচনার জবাবে আমি বলব, আমি কেবল আমার ব্যক্তিগত চারিত্রিক সততাই রক্ষা করিনি, গোটা প্রশাসনে একটা মান আনার চেষ্টা করেছি।’
বর্তমানে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মনমোহন। তবে প্রথম মেয়াদের চেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে তাঁকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বড় বড় বেশ কটি দুর্নীতির ঘটনায় ক্ষমতাসীন ইউপিএ সরকার চাপের মুখে রয়েছে। ২০১৪ সালে ভারতের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন। তবে ওই নির্বাচনে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলেও মনমোহন আর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকছেন না বলেই সবার ধারণা।
তথ্য অধিকার আইনের কথা উল্লেখ করে মনমোহন বলেছেন, দাপ্তরিক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে তাঁর প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এতে পরবর্তী প্রজন্ম উপকৃত হবে। তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণে এত অল্প সময়ে অতীতের কোনো সরকার এত পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতি হলেও আমি মনে করি না, আমার অধীনে দুর্নীতির কোনো বিস্ফোরণ হয়েছে।’
ক্ষমতাসীন সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্নীতির ঘটনা টেলিকম বাণিজ্য নিয়ে। দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে সাবেক টেলিকমমন্ত্রী এ রাজা ২০১০ সালের নভেম্বরে পদত্যাগ করেন। রাজা পরবর্তী সময়ে গ্রেপ্তার হন এবং এখন তাঁর বিচার চলছে।
ভারতে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ হারে। যা গত নয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এ ছাড়া গত এক বছরে ডলারের বিপরীতে রুপির দামও পড়েছে এক-চতুর্থাংশ। দেশটির অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
ভারত কঠিন সময় পার করছে স্বীকার করলেও প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অক্ষত আছে।’ এএফপি।
No comments