আঙ্কটাডের প্রতিবেদন-২০১১ সালে 'রেকর্ড' পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ আসে
২০১১ সালে বাংলাদেশে ১১৩ কোটি ডলারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট। আঙ্কটাড নামে পরিচিত ওই সংস্থাটির প্রতিবেদন তুলে ধরে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বোর্ড বলেছে, এর আগে বাংলাদেশে এত বেশি বিনিয়োগ কখনো আসেনি।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছর নতুন বিনিয়োগ কমে গিয়ে দেশে কর্মরত কম্পানিগুলোর পুনর্বিনিয়োগই বেশি হয়েছে। নতুন বিনিয়োগ কমেছে ১৬ শতাংশ।
গত বৃহস্পতিবার একযোগে সারা বিশ্বে প্রকাশিত হয় আঙ্কটাডের 'বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন'। এটি অনুসারে ২০১১ সালে সারা বিশ্বে গড় বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি ২৩ শতাংশ হলেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪.৪২ শতাংশ।
বাংলাদেশে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় বিনিয়োগ বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে। এতে বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. এস এ সামাদ ও প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে সারা বিশ্বেই বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০১০ সালে এই পরিমাণ ছিল ১.২৪ ট্রিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে মিসর থেকে, যার পরিমাণ ১৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার। এর পরের অবস্থানগুলোতে আছে যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, জাপান ও ভারত।
তবে ২০১১ সালে নতুন বিনিয়োগ (গ্রিনফিল্ড) বাড়ার চেয়ে দেশে কর্মরত কম্পানিগুলোর পুনর্বিনিয়োগ বেশি বেড়েছে। নতুন বিনিয়োগ আগের বছরের চেয়ে ১৬ শতাংশ কম হয়েছে। ২০১০ সালে নতুন বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৫১ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ইউএস ডলার। ২০১১ সালে তা কমে ৪৩ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ডলারে নেমে গেছে। তবে পুনর্বিনিয়োগ ৩৬ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার ডলার থেকে ৩৪.২৮ শতাংশ বেড়ে ২০১১ সালে ৪৮ কোটি ৯৬ লাখ ৩০ হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া ইন্ট্রা-কম্পানি লোন (বিদেশি কম্পানি থেকে আনা অন্য কম্পানির ঋণ) দুই কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার ডলার থেকে ৬৪৮.২৫ শতাংশ বেড়ে ২১ কোটি ৪৯ লাখে উন্নীত হয়েছে।
প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম ইসমাইল হোসেন। এতে দেখা যায়, ২০১০ সালে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৯১ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার ইউএস ডলার। ২০১১ সালে তা বেড়ে ১১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার ডলারে উন্নীত হয়। এর আগে ২০০৮ সালে ১০৮ কোটি ৬৩ লাখ এবং ২০০৯ সালে ৭০ কোটি এক লাখ ৬০ হাজার ইউএস ডলার বিনিয়োগ হয় বাংলাদেশে।
বিনিয়োগ বোর্ড জানায়, ২০০৮ সালে ১০৮ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ হলেও তা সাধারণ ধারার কারণে হয়নি। ওই বছর ৬০ কোটি ডলারের মতো বিনিয়োগ হয়েছে টেলিকম খাতে। বিনিয়োগ বোর্ডের সদস্য বিভাস চন্দ্র মণ্ডল বলেন, '২০০৭ সালে বিদেশি বিনিয়োগ হয় ৬৬ কোটি ডলার। আর ২০০৯ সালে বিনিয়োগ হয় ৭০ কোটি মার্কিন ডলার। আর মাঝের বছরের ১০৮ কোটি ডলারের মধ্যে ৬০ কোটি ডলার বাদ দিলে প্রকৃতপক্ষে বিনিয়োগ কমেছিল।'
গত বৃহস্পতিবার একযোগে সারা বিশ্বে প্রকাশিত হয় আঙ্কটাডের 'বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন'। এটি অনুসারে ২০১১ সালে সারা বিশ্বে গড় বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি ২৩ শতাংশ হলেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪.৪২ শতাংশ।
বাংলাদেশে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় বিনিয়োগ বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে। এতে বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. এস এ সামাদ ও প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে সারা বিশ্বেই বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০১০ সালে এই পরিমাণ ছিল ১.২৪ ট্রিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে মিসর থেকে, যার পরিমাণ ১৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার। এর পরের অবস্থানগুলোতে আছে যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, জাপান ও ভারত।
তবে ২০১১ সালে নতুন বিনিয়োগ (গ্রিনফিল্ড) বাড়ার চেয়ে দেশে কর্মরত কম্পানিগুলোর পুনর্বিনিয়োগ বেশি বেড়েছে। নতুন বিনিয়োগ আগের বছরের চেয়ে ১৬ শতাংশ কম হয়েছে। ২০১০ সালে নতুন বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৫১ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ইউএস ডলার। ২০১১ সালে তা কমে ৪৩ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ডলারে নেমে গেছে। তবে পুনর্বিনিয়োগ ৩৬ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার ডলার থেকে ৩৪.২৮ শতাংশ বেড়ে ২০১১ সালে ৪৮ কোটি ৯৬ লাখ ৩০ হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া ইন্ট্রা-কম্পানি লোন (বিদেশি কম্পানি থেকে আনা অন্য কম্পানির ঋণ) দুই কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার ডলার থেকে ৬৪৮.২৫ শতাংশ বেড়ে ২১ কোটি ৪৯ লাখে উন্নীত হয়েছে।
প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম ইসমাইল হোসেন। এতে দেখা যায়, ২০১০ সালে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৯১ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার ইউএস ডলার। ২০১১ সালে তা বেড়ে ১১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার ডলারে উন্নীত হয়। এর আগে ২০০৮ সালে ১০৮ কোটি ৬৩ লাখ এবং ২০০৯ সালে ৭০ কোটি এক লাখ ৬০ হাজার ইউএস ডলার বিনিয়োগ হয় বাংলাদেশে।
বিনিয়োগ বোর্ড জানায়, ২০০৮ সালে ১০৮ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ হলেও তা সাধারণ ধারার কারণে হয়নি। ওই বছর ৬০ কোটি ডলারের মতো বিনিয়োগ হয়েছে টেলিকম খাতে। বিনিয়োগ বোর্ডের সদস্য বিভাস চন্দ্র মণ্ডল বলেন, '২০০৭ সালে বিদেশি বিনিয়োগ হয় ৬৬ কোটি ডলার। আর ২০০৯ সালে বিনিয়োগ হয় ৭০ কোটি মার্কিন ডলার। আর মাঝের বছরের ১০৮ কোটি ডলারের মধ্যে ৬০ কোটি ডলার বাদ দিলে প্রকৃতপক্ষে বিনিয়োগ কমেছিল।'
No comments