মৈত্রীবন্ধন: এগিয়ে চলো-নানা খাবার আর বাউলগানে মাতালেন ফরিদা-পার্বতী by অমর সাহা

কলকাতায় মৈত্রীবন্ধন উৎসবের চতুর্থ দিনও ছিল জমজমাট। একদিকে খাদ্য উৎসবে বাংলাদেশি নানা খাবারের আয়োজন, অন্যদিকে সন্ধ্যায় বাউল-লালনগীতির সুর মূর্ছনায় উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতার ঐতিহাসিক প্রিন্সেপঘাটের উন্মুক্ত মঞ্চ।
কলকাতার এলগিন রোডের ‘ওহ্ কলকাতা!’ রেস্তোরাঁয় আয়োজন করা হয় দুই দিনব্যাপী খাদ্য উৎসবের।


উৎসব শনিবার শুরু হয়ে চলে গতকাল রোববার পর্যন্ত। বাংলাদেশি খাবার খেতে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ভিড় জমে রেস্তোরাঁয়। রেস্তোরাঁর প্রধান শেফ সুবীর কুমার দেব প্রথম আলোকে বলেন, প্রত্যাশার চেয়েও ভিড় ছিল বেশি। বাংলাদেশের নতুন নতুন খাবার খেয়ে মুগ্ধ হন কলকাতাবাসী।
আগের তিন দিনের মতো গতকালও বাংলাদেশ ও ভারতের দুই প্রখ্যাত শিল্পী ফরিদা পারভীন ও পার্বতী বাউল মাতিয়ে তোলেন কলকাতা। ফরিদার কণ্ঠে লালনগীতি, আর পার্বতী গেয়ে শোনান বাউলসংগীত। পার্বতী বাউল মঞ্চে নেচে নেচে বাউলসংগীতে মুগ্ধ করেন দর্শক-শ্রোতাদের। আর ফরিদা পারভীন লালনগীতি গেয়ে মাত করেন মঞ্চ।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে টাইমস অব ইন্ডিয়ার যুগ্ম সম্পাদক ঝিমলি মুখার্জি পান্ডে বলেন, আজকের এই দুই শিল্পী দুই দেশেরই গৌরব। ফরিদা পারভীনই সারা বিশ্বে লালনগীতিকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। আর পার্বতী বাউলের নাম আজ দেশজুড়ে। গতকাল এই উৎসবের সূচনা হয় সন্ধ্যা সাতটায়। প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের পূর্বাঞ্চল সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল কে এস কুম্বার।
মৈত্রীবন্ধন উৎসবের আয়োজক ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশের শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলো। ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ় করতেই এই উদ্যোগ।
অনুষ্ঠানের দুই শিল্পীই এই উদ্যোগের জন্য টাইমস অব ইন্ডিয়া ও প্রথম আলোকে অভিনন্দন জানান। তাঁরা বলেন, এই উৎসবই নতুন করে মৈত্রীবন্ধনে আবদ্ধ করবে দুই দেশকে। উৎসব শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার, চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
পার্বতী বাউলের গান গাওয়ার পরপরই মঞ্চে ওঠেন বাংলাদেশের ফরিদা পারভীন। এরপর দর্শক-শ্রোতাদের অনুরোধে বিপুল করতালির মধ্যে এই দুই শিল্পী একত্রে লালনগীতি পরিবেশন করেন ‘মিলন হবে কত দিনে, আমার মনের মানুষের সনে।’
আজ মৈত্রীবন্ধন উৎসবের পঞ্চম দিন। এদিন কলকাতার নজরুল মঞ্চে আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার। এতে গান গাইবে বাংলাদেশের ব্যান্ড মাইলস এবং কলকাতার ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দু।

No comments

Powered by Blogger.