জনগণকে দেওয়া ওয়াদা কতটা পূরণ হয়েছে?-মন্ত্রীদের কথা ও কাজ
জবরদখল করে ক্ষমতায় আসা সরকারের মন্ত্রীরা দায়বদ্ধ থাকেন কেবল নিয়োগকর্তার প্রতি। ব্যক্তিকে খুশি করতেই তাঁরা সদা ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু নির্বাচিত ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকারের মন্ত্রীদের দায়বদ্ধ থাকার কথা জনগণের কাছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, মহাজোট সরকারের মন্ত্রীদের সাম্প্রতিক কথাবার্তায় সেই দায়বদ্ধতা বা জবাবদিহির কোনো
লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। তাঁরা একেক সময় একেক কথা বলছেন, এতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ও হতাশা বাড়ছে। প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে সরকারের কার্যক্রম।
রোজার আগে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান বলেছিলেন, রোজার সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জোগান নিশ্চিত থাকবে এবং দামও বাড়বে না। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন, নানা আশ্বাসের বাণী শোনান। কিন্তু রোজা না আসতেই চিনি, ছোলা ও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ায় মন্ত্রী হতাশার সুরে ভোক্তাদের কম খাওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁর এই সদুপদেশে ব্যবসায়ীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবেন, তাতে সন্দেহ নেই।
এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শেয়ারবাজারের দরপতনে ক্ষুব্ধ খুদে বিনিয়োগকারীদের সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা-ও সুবিবেচনাপ্রসূত নয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে যাঁরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন, তাঁদের সবাই ফাটকাবাজ—মন্ত্রী মহোদয় এই তথ্য কোথায় পেলেন? শেয়ারবাজারে ফাটকাবাজি করে কারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বাধীন কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিস্তারিত বিবরণ আছে। কিন্তু সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি বা নেয়নি। এখন দরপতনের দায় খুদে বিনিয়োগকারীদের ওপর চাপালে প্রকৃত অপরাধীরা আড়ালে চলে যাবেন।
কয়েক দিন আগে আদমশুমারির প্রতিবেদন নিয়েও একাধিক জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর পরস্পরবিরোধী অবস্থান প্রমাণ করে, সরকারের কাজে সমন্বয়ের যথেষ্ট অভাব আছে। রাজনৈতিক মঞ্চ সরগরম করা মন্ত্রীরা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম সম্পর্কে যে উদাসীন, তার অনেক উদাহরণ আছে। বিদ্যু ৎ , জ্বালানি, বাজারদর—সবকিছুতে যদি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়, তা হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা কী করেন? মাঝেমধ্যে মন্ত্রীদের কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যে খোদ শাসক দলের নেতারাও উষ্মা প্রকাশ করেছেন। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য ‘না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার’ও পরামর্শ দিয়েছেন। আরেকজন প্রবীণ নেতা কথাবার্তায় মন্ত্রীদের আরও সংযমী হওয়ার কথা বলেছেন।
বর্তমান মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্য নবীন ও অনভিজ্ঞ। এটি দোষের নয়। দোষের হলো, জনগণের আবেগ-অনুভূতিকে সঠিকভাবে অনুধাবন না করে বেসামাল বক্তব্য দেওয়া। নির্বাচনের আগে মন্ত্রীরা জনগণের কাছে কী ওয়াদা করেছিলেন, সেই ওয়াদার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছেন, সে বিষয়ে আত্মসমালোচনা জরুরি। অন্যকে পরামর্শ দেওয়ার আগে আয়নায় একবার নিজের মুখ দেখা শ্রেয় নয় কি? মেয়াদের অর্ধেকের বেশি সময় পার হওয়ার পর মন্ত্রীদের কাছে দেশবাসী বাগাড়ম্বর শুনতে চায় না, কাজই দেখতে চায়।
রোজার আগে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান বলেছিলেন, রোজার সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জোগান নিশ্চিত থাকবে এবং দামও বাড়বে না। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন, নানা আশ্বাসের বাণী শোনান। কিন্তু রোজা না আসতেই চিনি, ছোলা ও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ায় মন্ত্রী হতাশার সুরে ভোক্তাদের কম খাওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁর এই সদুপদেশে ব্যবসায়ীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবেন, তাতে সন্দেহ নেই।
এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শেয়ারবাজারের দরপতনে ক্ষুব্ধ খুদে বিনিয়োগকারীদের সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা-ও সুবিবেচনাপ্রসূত নয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে যাঁরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন, তাঁদের সবাই ফাটকাবাজ—মন্ত্রী মহোদয় এই তথ্য কোথায় পেলেন? শেয়ারবাজারে ফাটকাবাজি করে কারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বাধীন কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিস্তারিত বিবরণ আছে। কিন্তু সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি বা নেয়নি। এখন দরপতনের দায় খুদে বিনিয়োগকারীদের ওপর চাপালে প্রকৃত অপরাধীরা আড়ালে চলে যাবেন।
কয়েক দিন আগে আদমশুমারির প্রতিবেদন নিয়েও একাধিক জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর পরস্পরবিরোধী অবস্থান প্রমাণ করে, সরকারের কাজে সমন্বয়ের যথেষ্ট অভাব আছে। রাজনৈতিক মঞ্চ সরগরম করা মন্ত্রীরা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম সম্পর্কে যে উদাসীন, তার অনেক উদাহরণ আছে। বিদ্যু ৎ , জ্বালানি, বাজারদর—সবকিছুতে যদি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়, তা হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা কী করেন? মাঝেমধ্যে মন্ত্রীদের কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যে খোদ শাসক দলের নেতারাও উষ্মা প্রকাশ করেছেন। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য ‘না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার’ও পরামর্শ দিয়েছেন। আরেকজন প্রবীণ নেতা কথাবার্তায় মন্ত্রীদের আরও সংযমী হওয়ার কথা বলেছেন।
বর্তমান মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্য নবীন ও অনভিজ্ঞ। এটি দোষের নয়। দোষের হলো, জনগণের আবেগ-অনুভূতিকে সঠিকভাবে অনুধাবন না করে বেসামাল বক্তব্য দেওয়া। নির্বাচনের আগে মন্ত্রীরা জনগণের কাছে কী ওয়াদা করেছিলেন, সেই ওয়াদার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছেন, সে বিষয়ে আত্মসমালোচনা জরুরি। অন্যকে পরামর্শ দেওয়ার আগে আয়নায় একবার নিজের মুখ দেখা শ্রেয় নয় কি? মেয়াদের অর্ধেকের বেশি সময় পার হওয়ার পর মন্ত্রীদের কাছে দেশবাসী বাগাড়ম্বর শুনতে চায় না, কাজই দেখতে চায়।
No comments