আইনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে by আমীর-উল ইসলাম
প্রথম আলো ২ আগস্ট হাইকোর্টে মামলার শুনানি নিয়ে কী ঘটেছিল? আমীর-উল ইসলাম প্রেসে যেভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, এটা দুই পক্ষের একটা পাল্টাপাল্টি বিষয়। কিন্তু সেটা তো নয়। আইনজীবীদের দায়িত্ব যুক্তিতর্ক নিবেদনের পর হাইকোর্ট যে জাজমেন্ট দেন, সেটা প্রাথমিকভাবে মেনে নেওয়া।
জোর করে বলানো বা কিছু ছুড়ে ফেলা আইনজীবীসুলভ আচরণ নয়। তবে এটা বিএনপিপন্থী বা আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদেরও কোনো বিষয় নয়।
প্রথম আলো ঘটনার এক দিন আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এক সাধারণ সভার এজেন্ডা ছিল ‘জনৈক বিচারকের অবিচারকসুলভ আচরণ’ প্রসঙ্গে। সেখানে আপনারা একটা উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
আমীর-উল ইসলাম একজন বিচারকের উদ্দেশে যে কথা বলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেটা সঠিক ছিল না।
প্রথম আলো সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমাদের বলেছেন, আপনাদের কারণে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেননি।
আমীর-উল ইসলাম তাঁরা সেটা খুঁচিয়ে ছিলেন। যেদিন মামলাটির শুনানি, তার আগের দিন এই সভা করেছিলেন। সেটা খুব একটা সুরুচিসম্পন্ন কাজ হয়নি।
প্রথম আলো ঘটনার দিন কি বারের সভাপতি আপনাকে নিয়ে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর চেম্বারে গিয়েছিলেন? সেখানে আপনাদের কী আলোচনা হয়েছিল?
আমীর-উল ইসলাম ওখানে আমি ছাড়াও ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, নুরুল ইসলাম সুজন ছিলেন।
প্রথম আলো তখনো তো হট্টগোলের ঘটনা ঘটেনি।
আমীর-উল ইসলাম না, তখনো হয়তো ঘটেনি। আমি ঠিক জানি না। আপিল বিভাগ থেকে বেরিয়েছি। আমাকে বারের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বললেন, ‘আপনার একটু যাওয়া দরকার, যাতে বিষয়টি প্রশমিত হয়।’ আমিও গিয়েছিলাম, যাতে বার ও বেঞ্চের সম্পর্ক অটুট থাকে। সেটাই বলতে গিয়েছিলাম। বারের প্রেসিডেন্ট আমাকে বলছিলেন, তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। এমন কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক আছেন। জটিলতা যাতে আর না বাড়ে, সে জন্যই গিয়েছিলাম। অন্য কোনো কারণে নয়।
প্রথম আলো ওখানে কি কোনো সমঝোতা বা লক্ষ্য অর্জিত হয়েছিল?
আমীর-উল ইসলাম মূলত গিয়েছিলাম ব্যাপারটা বলতে, যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য। সেটাই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল। উনি (বিচারপতি) বলেছিলেন, অর্ডার যা দেওয়ার, তা তো তিনি দিয়ে দিয়েছেন।
প্রথম আলো সংবাদপত্রে এসেছে, আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া ও আমিনীর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অপরাধের ধরনকে রাষ্ট্রদ্রোহ বলার মতোও একটা ইঙ্গিত মিলেছে।
আমীর-উল ইসলাম এই মামলার অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে যা বলার, তা আমি বলেছি। এর বাইরে কোনো কথা বলা বা শোনার সুযোগ আমার হয়নি।
প্রথম আলো বেগম জিয়াসংক্রান্ত আদালতের এক প্রশ্নের জবাবে আপনি কী বলেছিলেন?
আমীর-উল ইসলাম আমি বলেছিলাম, দুজনের মন্তব্য একই রকম কি না, সেটা দেখার ব্যাপার আছে। দ্বিতীয়ত, বিরোধীদলীয় নেতার বক্তব্য একটা রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর (রেটরিক) হতে পারে। এটা আদালত এড়াতে পারেন। তবে পরে এই মর্মে আমার প্রতীতি জন্মেছে যে সংবিধানের প্রতি সম্মান ও আনুগত্যের বিষয়টি মাননীয় আদালত সবকিছুর ওপর স্থান দিয়েছেন। এবং এ ব্যাপারে কোনো নাগরিকের, বিশেষ করে দায়িত্বশীল সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত বর্তমান বা সাবেক পদধারীর মন্তব্যের ব্যাপারে আদালতের মনোভাব ছিল দৃঢ়। কারণ, মাননীয় বিচারকেরা সংবিধান রক্ষণ, সমর্থন এবং নিরাপত্তাবিধানের শপথ নিয়েছেন।
প্রথম আলো আদালত সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে শুনে রায় দেবেন। বিচার চলাকালে আদালতের কোনো দিকে ঝুঁকে পড়া প্রতীয়মান হলে তাতে প্রতিষ্ঠিত বিচারিক রেওয়াজের কোনো বিচ্যুতি ঘটে কি না?
আমীর-উল ইসলাম আইনজীবী হিসেবে আমি মনে করি, এই বিষয়গুলো মিডিয়ায় আলোচনা সঠিক নয়। একাডেমিকভাবে এই আলোচনা চলে। আমি যেটা বলব সেটা হলো, এই আদেশে যদি কেউ সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, তিনি আপিল বিভাগে যেতে পারেন।
প্রথম আলো ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা আমাদের জানিয়েছেন, তাঁরা লিখিত আদেশ পাচ্ছেন না। তাই আপিল বিভাগে যেতে পারেননি।
আমীর-উল ইসলাম তাঁরা পাচ্ছেন কি পাচ্ছেন না, সেটা আমি জানি না। পাওয়ার তো কারণ নেই। সার্টিফায়েড কপি তাঁরা চাইলে পেতে পারেন।
প্রথম আলো আমরা জানি, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আদালত কখনো অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। কিন্তু এখানে তাঁর কোনো যৌক্তিকতা ছিল বলে মনে হয়?
আমীর-উল ইসলাম এ বিষয়ে আমি কোনো প্রকাশ্য আলোচনায় আসতে চাই না। এ ধরনের প্রশ্ন আদালতে যতখানি নিষ্পত্তি হওয়া সম্ভব, সেটাই সঠিক। এটা পাবলিক ডিবেটে না আনাই মনে হয় শ্রেয়।
প্রথম আলো অতীতে আমরা দেখেছি, প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারাসহ অনেক উচ্ছৃঙ্খল আচরণেও কেউ শাস্তি পাননি। এখন আবার সমঝোতার কথা শুনছি। তাহলে দোষী ব্যক্তিরা কি আবার পার পেয়ে যাবেন?
আমীর-উল ইসলাম আইনকে বাধাগ্রস্ত করার যে প্রয়াস এখন চলছে, সেটা আইনের শাসনের পরিপন্থী। এটাকে দলীয় রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখাটাই প্রত্যাশিত।
প্রথম আলো ঘটনার এক দিন আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এক সাধারণ সভার এজেন্ডা ছিল ‘জনৈক বিচারকের অবিচারকসুলভ আচরণ’ প্রসঙ্গে। সেখানে আপনারা একটা উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
আমীর-উল ইসলাম একজন বিচারকের উদ্দেশে যে কথা বলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেটা সঠিক ছিল না।
প্রথম আলো সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমাদের বলেছেন, আপনাদের কারণে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেননি।
আমীর-উল ইসলাম তাঁরা সেটা খুঁচিয়ে ছিলেন। যেদিন মামলাটির শুনানি, তার আগের দিন এই সভা করেছিলেন। সেটা খুব একটা সুরুচিসম্পন্ন কাজ হয়নি।
প্রথম আলো ঘটনার দিন কি বারের সভাপতি আপনাকে নিয়ে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর চেম্বারে গিয়েছিলেন? সেখানে আপনাদের কী আলোচনা হয়েছিল?
আমীর-উল ইসলাম ওখানে আমি ছাড়াও ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, নুরুল ইসলাম সুজন ছিলেন।
প্রথম আলো তখনো তো হট্টগোলের ঘটনা ঘটেনি।
আমীর-উল ইসলাম না, তখনো হয়তো ঘটেনি। আমি ঠিক জানি না। আপিল বিভাগ থেকে বেরিয়েছি। আমাকে বারের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বললেন, ‘আপনার একটু যাওয়া দরকার, যাতে বিষয়টি প্রশমিত হয়।’ আমিও গিয়েছিলাম, যাতে বার ও বেঞ্চের সম্পর্ক অটুট থাকে। সেটাই বলতে গিয়েছিলাম। বারের প্রেসিডেন্ট আমাকে বলছিলেন, তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। এমন কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক আছেন। জটিলতা যাতে আর না বাড়ে, সে জন্যই গিয়েছিলাম। অন্য কোনো কারণে নয়।
প্রথম আলো ওখানে কি কোনো সমঝোতা বা লক্ষ্য অর্জিত হয়েছিল?
আমীর-উল ইসলাম মূলত গিয়েছিলাম ব্যাপারটা বলতে, যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য। সেটাই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল। উনি (বিচারপতি) বলেছিলেন, অর্ডার যা দেওয়ার, তা তো তিনি দিয়ে দিয়েছেন।
প্রথম আলো সংবাদপত্রে এসেছে, আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া ও আমিনীর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অপরাধের ধরনকে রাষ্ট্রদ্রোহ বলার মতোও একটা ইঙ্গিত মিলেছে।
আমীর-উল ইসলাম এই মামলার অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে যা বলার, তা আমি বলেছি। এর বাইরে কোনো কথা বলা বা শোনার সুযোগ আমার হয়নি।
প্রথম আলো বেগম জিয়াসংক্রান্ত আদালতের এক প্রশ্নের জবাবে আপনি কী বলেছিলেন?
আমীর-উল ইসলাম আমি বলেছিলাম, দুজনের মন্তব্য একই রকম কি না, সেটা দেখার ব্যাপার আছে। দ্বিতীয়ত, বিরোধীদলীয় নেতার বক্তব্য একটা রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর (রেটরিক) হতে পারে। এটা আদালত এড়াতে পারেন। তবে পরে এই মর্মে আমার প্রতীতি জন্মেছে যে সংবিধানের প্রতি সম্মান ও আনুগত্যের বিষয়টি মাননীয় আদালত সবকিছুর ওপর স্থান দিয়েছেন। এবং এ ব্যাপারে কোনো নাগরিকের, বিশেষ করে দায়িত্বশীল সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত বর্তমান বা সাবেক পদধারীর মন্তব্যের ব্যাপারে আদালতের মনোভাব ছিল দৃঢ়। কারণ, মাননীয় বিচারকেরা সংবিধান রক্ষণ, সমর্থন এবং নিরাপত্তাবিধানের শপথ নিয়েছেন।
প্রথম আলো আদালত সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে শুনে রায় দেবেন। বিচার চলাকালে আদালতের কোনো দিকে ঝুঁকে পড়া প্রতীয়মান হলে তাতে প্রতিষ্ঠিত বিচারিক রেওয়াজের কোনো বিচ্যুতি ঘটে কি না?
আমীর-উল ইসলাম আইনজীবী হিসেবে আমি মনে করি, এই বিষয়গুলো মিডিয়ায় আলোচনা সঠিক নয়। একাডেমিকভাবে এই আলোচনা চলে। আমি যেটা বলব সেটা হলো, এই আদেশে যদি কেউ সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, তিনি আপিল বিভাগে যেতে পারেন।
প্রথম আলো ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা আমাদের জানিয়েছেন, তাঁরা লিখিত আদেশ পাচ্ছেন না। তাই আপিল বিভাগে যেতে পারেননি।
আমীর-উল ইসলাম তাঁরা পাচ্ছেন কি পাচ্ছেন না, সেটা আমি জানি না। পাওয়ার তো কারণ নেই। সার্টিফায়েড কপি তাঁরা চাইলে পেতে পারেন।
প্রথম আলো আমরা জানি, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আদালত কখনো অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। কিন্তু এখানে তাঁর কোনো যৌক্তিকতা ছিল বলে মনে হয়?
আমীর-উল ইসলাম এ বিষয়ে আমি কোনো প্রকাশ্য আলোচনায় আসতে চাই না। এ ধরনের প্রশ্ন আদালতে যতখানি নিষ্পত্তি হওয়া সম্ভব, সেটাই সঠিক। এটা পাবলিক ডিবেটে না আনাই মনে হয় শ্রেয়।
প্রথম আলো অতীতে আমরা দেখেছি, প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারাসহ অনেক উচ্ছৃঙ্খল আচরণেও কেউ শাস্তি পাননি। এখন আবার সমঝোতার কথা শুনছি। তাহলে দোষী ব্যক্তিরা কি আবার পার পেয়ে যাবেন?
আমীর-উল ইসলাম আইনকে বাধাগ্রস্ত করার যে প্রয়াস এখন চলছে, সেটা আইনের শাসনের পরিপন্থী। এটাকে দলীয় রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখাটাই প্রত্যাশিত।
No comments