এই পরিকল্পিত নৃশংসতার কী জবাব দেবে পুলিশ?-কোম্পানীগঞ্জে কিশোর মিলন হত্যা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গত ২৭ জুলাই ঘটে যাওয়া ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশ না পেলে কি কেউ ভাবতে পারত যে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা এতটা নৃশংস ও নির্মম হতে পারে! আইন যাতে কেউ নিজের হাতে তুলে নিতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতেই সভ্য দুনিয়ায় যে পুলিশের সৃষ্টি, তারাই কিনা ‘জনগণকে’ দিয়ে এক কিশোরকে পিটিয়ে মেরে ফেলল!
ঘটনাটি দিন দশেকেরও বেশি সময় পর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। ভিডিও চিত্রে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ১৬ বছরের এক কিশোরকে, যার নাম মিলন, তাকে পুলিশ জনতার হাতে তুলে দিচ্ছে ‘গণপিটুনির’ জন্য। এর পরের দৃশ্যগুলো ভয়াবহ, এই ‘জনতা’ কিশোর মিলনকে রাস্তায় ফেলে লাঠিপেটা করে, মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, কতিপয় পুলিশ সেই পৈশাচিক দৃশ্য ‘উপভোগ’ করেছে। তারা যে এই কিশোরকে মেরে ফেলতে বলেছে, তা-ও ভিডিওতে শোনা গেছে লোকজনের মুখ থেকে। এরপর ওই কিশোরের লাশ গাড়িতে তুলে নেয় তারা। পুলিশের তরফ থেকে সেই দিন কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ডাকাত সন্দেহে ছয়জনকে পিটিয়ে হত্যার কথা বলা হয়। এখন জানা গেল, ওই ছয়জনের একজন হচ্ছে এই কিশোর মিলন এবং আমরা এও জানলাম, কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
যে পুলিশ সদস্যরা মিলনকে জনতার হাতে তুলে দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করলেন, তাঁদের কি আমরা একটি প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারি? সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এ ধরনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেয়ে তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টাটাই জোরালো থাকে। চাপে না পড়লে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নিতে অনীহাই প্রকাশ পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাদেরের ওপর বর্বর আচরণের ক্ষেত্রেও পুলিশ শুরুতে একই ভূমিকা নিয়েছিল। এ ধরনের ঘটনার যারা শিকার হয়, তাদের ডাকাত বা অপরাধী হিসেবে প্রমাণের চেষ্টায় পুলিশ সব সময়ই ত ৎ পর থাকে। কেউ অপরাধী হলেও তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা যায় না।
সাম্প্রতিক সময়ে সাভারের আমিনবাজারে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাদেরের ওপর পুলিশের নির্যাতন ও কোম্পানীগঞ্জের এই পৈশাচিক ঘটনাটি কেবল নিন্দনীয় নয়, পুলিশের ভাবমূর্তির জন্যও বিপর্যয়কর। একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে জনগণের ন্যূনতম আস্থা ধরে রাখতে হলে দায়ী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ জনগণের সেবক না হতে পারে, ঘাতক হওয়ার অধিকার তাকে কেউ দেয়নি।
যে পুলিশ সদস্যরা মিলনকে জনতার হাতে তুলে দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করলেন, তাঁদের কি আমরা একটি প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারি? সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এ ধরনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেয়ে তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টাটাই জোরালো থাকে। চাপে না পড়লে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নিতে অনীহাই প্রকাশ পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাদেরের ওপর বর্বর আচরণের ক্ষেত্রেও পুলিশ শুরুতে একই ভূমিকা নিয়েছিল। এ ধরনের ঘটনার যারা শিকার হয়, তাদের ডাকাত বা অপরাধী হিসেবে প্রমাণের চেষ্টায় পুলিশ সব সময়ই ত ৎ পর থাকে। কেউ অপরাধী হলেও তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা যায় না।
সাম্প্রতিক সময়ে সাভারের আমিনবাজারে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাদেরের ওপর পুলিশের নির্যাতন ও কোম্পানীগঞ্জের এই পৈশাচিক ঘটনাটি কেবল নিন্দনীয় নয়, পুলিশের ভাবমূর্তির জন্যও বিপর্যয়কর। একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে জনগণের ন্যূনতম আস্থা ধরে রাখতে হলে দায়ী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ জনগণের সেবক না হতে পারে, ঘাতক হওয়ার অধিকার তাকে কেউ দেয়নি।
No comments