মাওয়া মৎস্য আড়ত-সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাক

মাত্র দুই ঘণ্টার মৎস্য আড়তে প্রতিদিন অর্ধকোটি টাকার মাছ বিকিকিনি হয়। এই একটি তথ্যই মৎস্য আড়তটির সাফল্য তুলে ধরে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ ব্যবসায়ীরা মাছ বিক্রি করতে আসেন এই মাছ বাজারে। সময়ের পরিক্রমায় মাওয়া পদ্মা পাড়ের মাছ বাজারটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য আড়ত হয়ে উঠেছে। রোববার সমকালের লোকালয় পাতায়


প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর আগে মাওয়া পদ্মা পাড়ের মাছ বাজারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপর থেকে প্রতি সকালেই জমে ওঠে এই বাজার। স্বল্প সময়ের এই মৎস্য আড়তের সঙ্গে দেশের মৎস্য বাজারগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলের জেলেরা মাছ নিয়ে হাজির হন মাওয়া মৎস্য আড়তে। অনেক এলাকার মাছের খুচরা বাজার নির্ভর করে মাওয়া মৎস্য আড়তের ওপর। এ বাজার থেকে নির্ঝঞ্ঝাটে মাছ কিনতে পারলে বিপুলসংখ্যক খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়ে। এ কারণে এই আড়তের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি। প্রতিদিনের অর্ধকোটি টাকার লেনদেনের স্বার্থেই নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাগ্রে আসে। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পাইকাররা যাতে লেনদেন নিরাপদে করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। তাজা এবং ফরমালিনমুক্ত মাছের বাজার হিসেবে এই আড়তের সুনাম রয়েছে। এটা যাতে বজায় থাকে সে জন্য প্রয়োজনীয় মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আশার কথা হলো, যে সমবায় সমিতির মাধ্যমে মৎস্য বাজারটি গড়ে উঠেছে তারা এ ব্যাপারে এরই মধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। পাইকারদের নিরাপদে অর্থনৈতিক লেনদেনের সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিতকরণে কাজ করছে সমিতি। তবে মৎস্য আড়তের আশপাশের এলাকায় সৃষ্ট যানজট নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। সকালে কিছু বাস মৎস্য আড়তের আশপাশে পার্কিং করে রাখায় এই যানজট তৈরি হয়ে থাকে। আমরা মনে করি, সমস্যাগুলোর সমাধানে প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে। আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা গেলে পদ্মা পাড়ের মাওয়া মৎস্য আড়তটির দৈনিক বিকিকিনি আরও বাড়তে পারে।

No comments

Powered by Blogger.