রেলওয়ের প্রতি মনোযোগ আরও বাড়ুক-কমিউটার ট্রেন
রেলওয়ের উন্নয়নে কিছু হচ্ছে, এমন আশার খবর শোনাই যায় না। কমিউটার রেল সার্ভিস চালুর জন্য ২০টি বিশেষ ধরনের দুই ইঞ্জিন ও তিন বগির রেল কিনছে বাংলাদেশ—এ খবরটি সে দিক দিয়ে কিছুটা হলেও আশা জাগিয়েছে। তবে পরদিনই পত্রিকায় ছাপা হয়েছে উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহের সঙ্গে রাজধানীর রেলযোগাযোগ বিঘ্নিত হওয়ার খবর।
আসলে রেলের জন্য বগি কেনার পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের প্রতি মনোযোগ আরও বাড়ুক, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বাংলাদেশের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলওয়ে কেন গুরুত্ব পায় না—এই প্রশ্ন বহু পুরোনো। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে জন ও পণ্য পরিবহনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে গড়ে ওঠা উচিত ছিল রেলওয়ের। অন্য যেকোনো পরিবহনের চেয়ে কম সময়ে, কম খরচে, তুলনামূলকভাবে নিরাপদে সবচেয়ে বেশি জন ও পণ্য পরিবহন করতে পারে রেলওয়ে। এটি পরিবেশবান্ধবও বটে। যদিও নীতিনির্ধারকদের কাছে রেলওয়ে সব সময়ই গুরুত্বের বাইরে থেকেছে।
সরকার কমিউটার ট্রেনগুলো কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, উত্তরবঙ্গে স্বল্প দূরত্বে চলাচলের জন্য। এই ট্রেনগুলো আসতে সময় লাগবে প্রায় ১৫ মাস। এরপর এই সার্ভিস চালু হলে ঢাকার আশপাশের জেলা ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও গাজীপুর থেকে সহজেই অল্প সময়ে যাত্রীরা ঢাকায় আসা-যাওয়া করতে পারবে। এই সার্ভিস নিয়মিত ও ঠিক সময়ে প্রতিদিন যাত্রীদের সেবা দিতে পারলে বাসের ওপর নির্ভরতা যেমন কমবে, তেমনি যানজটে আটকে থাকার অত্যাচার থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে। এই সার্ভিস নিয়ে তাই আশাবাদী হওয়ার কারণ রয়েছে। তবে সুষ্ঠুভাবে এই সার্ভিস পরিচালনার জন্য রেলওয়ের ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের বিকল্প নেই। কমিউটার সার্ভিসের জন্য এই ট্রেনগুলো আসার আগেই এর ব্যবস্থাপনাগত দিকটি কীভাবে পরিচালনা করা যায়, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা ও সিদ্ধান্তে আসা জরুরি। সময়মতো ও নিয়মিত চলাচলের ওপরই নির্ভর করবে কমিউটার ট্রেন সার্ভিসের সাফল্যের বিষয়টি। যথাযথ ব্যবস্থাপনাই তা নিশ্চিত করতে পারে।
দেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে রেলওয়ের ওপর নির্ভরতা বাড়াতে হলেও সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করার কোনো বিকল্প নেই। এটা নিশ্চিত করা গেলে ইঞ্জিনে আকস্মিকভাবে আগুন লাগা বা বৃষ্টিপাতে রেললাইনের মাটি ধসে রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা কমে আসবে। আমরা মনে করি, যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রেলওয়ের নীতিনির্ধারকদের কাছে গুরুত্ব পেতে শুরু করলে এই সমস্যাগুলো পর্যায়ক্রমে কটিয়ে ওঠা যাবে।
বাংলাদেশের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলওয়ে কেন গুরুত্ব পায় না—এই প্রশ্ন বহু পুরোনো। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে জন ও পণ্য পরিবহনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে গড়ে ওঠা উচিত ছিল রেলওয়ের। অন্য যেকোনো পরিবহনের চেয়ে কম সময়ে, কম খরচে, তুলনামূলকভাবে নিরাপদে সবচেয়ে বেশি জন ও পণ্য পরিবহন করতে পারে রেলওয়ে। এটি পরিবেশবান্ধবও বটে। যদিও নীতিনির্ধারকদের কাছে রেলওয়ে সব সময়ই গুরুত্বের বাইরে থেকেছে।
সরকার কমিউটার ট্রেনগুলো কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, উত্তরবঙ্গে স্বল্প দূরত্বে চলাচলের জন্য। এই ট্রেনগুলো আসতে সময় লাগবে প্রায় ১৫ মাস। এরপর এই সার্ভিস চালু হলে ঢাকার আশপাশের জেলা ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও গাজীপুর থেকে সহজেই অল্প সময়ে যাত্রীরা ঢাকায় আসা-যাওয়া করতে পারবে। এই সার্ভিস নিয়মিত ও ঠিক সময়ে প্রতিদিন যাত্রীদের সেবা দিতে পারলে বাসের ওপর নির্ভরতা যেমন কমবে, তেমনি যানজটে আটকে থাকার অত্যাচার থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে। এই সার্ভিস নিয়ে তাই আশাবাদী হওয়ার কারণ রয়েছে। তবে সুষ্ঠুভাবে এই সার্ভিস পরিচালনার জন্য রেলওয়ের ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের বিকল্প নেই। কমিউটার সার্ভিসের জন্য এই ট্রেনগুলো আসার আগেই এর ব্যবস্থাপনাগত দিকটি কীভাবে পরিচালনা করা যায়, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা ও সিদ্ধান্তে আসা জরুরি। সময়মতো ও নিয়মিত চলাচলের ওপরই নির্ভর করবে কমিউটার ট্রেন সার্ভিসের সাফল্যের বিষয়টি। যথাযথ ব্যবস্থাপনাই তা নিশ্চিত করতে পারে।
দেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে রেলওয়ের ওপর নির্ভরতা বাড়াতে হলেও সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করার কোনো বিকল্প নেই। এটা নিশ্চিত করা গেলে ইঞ্জিনে আকস্মিকভাবে আগুন লাগা বা বৃষ্টিপাতে রেললাইনের মাটি ধসে রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা কমে আসবে। আমরা মনে করি, যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রেলওয়ের নীতিনির্ধারকদের কাছে গুরুত্ব পেতে শুরু করলে এই সমস্যাগুলো পর্যায়ক্রমে কটিয়ে ওঠা যাবে।
No comments